আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। এ জন্য রুটিন তৈরি করে দেওয়া হলেও অনেক জায়গায় তা মানা হচ্ছে না। যেকোনো সময় চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। কোথাও কোথাও তা দিনের অর্ধেক সময় থাকছে না। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
বগুড়া: দিনে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও গড়ে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎবঞ্চিত হচ্ছেন বগুড়াবাসী। প্রতিদিন তিন থেকে আটবার পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সরবরাহের অপ্রতুলতার কথা বলছেন কর্মকর্তারা।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরকে ৩০টি ফিডারে ভাগ করে প্রতিটি এলাকায় এক ঘণ্টা করে দুই দফায় মোট দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার কথা রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা বলছেন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ মিলছে না।
শহরের বড়গোলা টিনপট্টি মহল্লার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দিন নেই, রাত নেই যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আসছে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর। ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে এখানে।’
চেলোপাড়া এলাকার গৃহিণী আয়েশা খান জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটবার বিদ্যুৎ ছিল না। আর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চারবার লোডশেডিং হয়েছে।
এ বিষয়ে নেসকোর বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মন্নাফ বলেন, প্রয়োজনীয় সরবরাহ না থাকায় রুটিন মানা সম্ভব হচ্ছে না। যেকোনো সময়ই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সাপ্লাই অনেক কম। তাই দুই ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখতে হচ্ছে।’
ডিমলা (নীলফামারী): উপজেলায় এক দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা বয়স্ক ও শিশুদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
ডিমলা জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সরোয়ার জাহান সোহাগ বলেন, বিদ্যুৎ সংকটে আগেও লোডশেডিং করা হতো। তবে এবার একটু বেশি মাত্রায় করা হচ্ছে। দিন-রাতে দেড় ঘণ্টা অন্তর করে ১২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা দুলালী বেগম বলেন, বিদ্যুৎ যখন চলে যাচ্ছে তখন গরমে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, লোডশেডিংয়ে রোগীদের একটু অসুবিধা তো হবেই।
যোগাযোগ করা হলে ডিমলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, সরকারি নির্দেশনা ও চাহিদার তুলনায় যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে তা দিতে এভাবে লোডশেডিং করা হচ্ছে। এখানে স্থানীয়ভাবে কিছু করার নেই। সামনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়বে আর তখন লোডশেডিংও কমে যাবে।
ভাঙ্গুড়া (পাবনা): এখানে প্রতিদিন চার-পাঁচ ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। আবার কখন কোথায় লোডশেডিং দেওয়া হবে, তা-ও জানতে পারছেন না গ্রাহকেরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ রুটিন না করে ইচ্ছামতো লোডশেডিং করছে। ফলে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সময়মতো করতে না পেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় রুটিন অনুযায়ী তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার বড় পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মেহেদি হাসান বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও এখানে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা থাকছে না। কখন বিদ্যুৎ আসবে আর কখন যাবে, সেটা আমরা জানতে পারছি না।’
নুরনগর গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়বার করে লোডশেডিং হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দিনে চারবার এবং রাতে দুবার বিদ্যুৎ ছিল না।
এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর এজিএম মোহাম্মদ মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙ্গুড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে আট মেগাওয়াট, কিন্তু আমরা পাচ্ছি তিন থেকে সাড়ে তিন মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। এ জন্য রুটিন তৈরি করে দেওয়া হলেও অনেক জায়গায় তা মানা হচ্ছে না। যেকোনো সময় চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। কোথাও কোথাও তা দিনের অর্ধেক সময় থাকছে না। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
বগুড়া: দিনে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও গড়ে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎবঞ্চিত হচ্ছেন বগুড়াবাসী। প্রতিদিন তিন থেকে আটবার পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সরবরাহের অপ্রতুলতার কথা বলছেন কর্মকর্তারা।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরকে ৩০টি ফিডারে ভাগ করে প্রতিটি এলাকায় এক ঘণ্টা করে দুই দফায় মোট দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার কথা রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকেরা বলছেন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ মিলছে না।
শহরের বড়গোলা টিনপট্টি মহল্লার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দিন নেই, রাত নেই যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আসছে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর। ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে এখানে।’
চেলোপাড়া এলাকার গৃহিণী আয়েশা খান জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটবার বিদ্যুৎ ছিল না। আর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চারবার লোডশেডিং হয়েছে।
এ বিষয়ে নেসকোর বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মন্নাফ বলেন, প্রয়োজনীয় সরবরাহ না থাকায় রুটিন মানা সম্ভব হচ্ছে না। যেকোনো সময়ই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সাপ্লাই অনেক কম। তাই দুই ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাখতে হচ্ছে।’
ডিমলা (নীলফামারী): উপজেলায় এক দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা বয়স্ক ও শিশুদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
ডিমলা জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সরোয়ার জাহান সোহাগ বলেন, বিদ্যুৎ সংকটে আগেও লোডশেডিং করা হতো। তবে এবার একটু বেশি মাত্রায় করা হচ্ছে। দিন-রাতে দেড় ঘণ্টা অন্তর করে ১২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা দুলালী বেগম বলেন, বিদ্যুৎ যখন চলে যাচ্ছে তখন গরমে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, লোডশেডিংয়ে রোগীদের একটু অসুবিধা তো হবেই।
যোগাযোগ করা হলে ডিমলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, সরকারি নির্দেশনা ও চাহিদার তুলনায় যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে তা দিতে এভাবে লোডশেডিং করা হচ্ছে। এখানে স্থানীয়ভাবে কিছু করার নেই। সামনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়বে আর তখন লোডশেডিংও কমে যাবে।
ভাঙ্গুড়া (পাবনা): এখানে প্রতিদিন চার-পাঁচ ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। আবার কখন কোথায় লোডশেডিং দেওয়া হবে, তা-ও জানতে পারছেন না গ্রাহকেরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ রুটিন না করে ইচ্ছামতো লোডশেডিং করছে। ফলে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সময়মতো করতে না পেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় রুটিন অনুযায়ী তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার বড় পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মেহেদি হাসান বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও এখানে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা থাকছে না। কখন বিদ্যুৎ আসবে আর কখন যাবে, সেটা আমরা জানতে পারছি না।’
নুরনগর গ্রামের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়বার করে লোডশেডিং হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দিনে চারবার এবং রাতে দুবার বিদ্যুৎ ছিল না।
এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর এজিএম মোহাম্মদ মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙ্গুড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে আট মেগাওয়াট, কিন্তু আমরা পাচ্ছি তিন থেকে সাড়ে তিন মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪