সম্পাদকীয়
নাগিব মাহফুজের বাঁচার ধরনটা তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন। সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অফিস করতেন। এরপর চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত লিখতেন। সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন। এই রুটিনের কোনো হেরফের হতো না। সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই এই ছিল তাঁর জীবনধারা।
বিয়ে করেছিলেন সাঁইত্রিশ বা আটত্রিশ বছর বয়সে। নিজের জীবনধারায় স্ত্রীর জায়গা কোথায়? সারা দিনই তো ব্যস্ততা! এর ওপর ভর করেছিল ভয়। বিয়ে হওয়া মানেই এমন এক সামাজিক জীবনযাপন করা, যা তাঁর পোষাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতেন তিনি। নিজের ভাই-বোনদের দেখতেন, বিয়ের পর তাঁদের জীবনযাত্রা গেছে বদলে। সমাজ-সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তাঁরা। কেউ একজন পরিবারসমেত গেলেন দাওয়াত খেতে, কেউ অন্য কোনো পরিবারকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দিলেন। নাগিব মাহফুজ ভাবলেন, বিয়ে করলে তো তাঁর নিজের রুটিনটাই আর থাকবে না! সে জীবনে স্বাধীনতা কোথায়?
নৈশভোজ কিংবা কোনো বরণ উৎসব ইত্যাদি থেকে নিজেকে আগলে রেখেছেন সারা জীবন। চেষ্টা করেছেন রাতের কোনো আসরে না যেতে। এমনকি কোনো বন্ধুর বাড়িতেও বেড়াতে যেতেন না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতো কফি শপে।
তিনি কখনোই মনে করেননি নোবেল পুরস্কার পাবেন। পশ্চিমারা প্রাচ্যের একজন লেখককে এই পুরস্কার দেবে না বলেই ধারণা ছিল তাঁর। তবে সেবার দুই আরব লেখক ইউসুফ ইদ্রিস আর আদোনিসের নাম শোনা যাচ্ছিল মনোনীত হয়েছেন বলে। সেদিন সকালে ছিলেন আল আহরামে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। তখন আল আহরাম থেকে খবর এল। খবর পেলেন নাগিবের স্ত্রী। বাশার নামে একজন ফোনে নাগিবকে জানালেন নোবেল পাওয়ার কথা। বিশ্বাস করেননি নাগিব।
পায়জামা পরে বসে আছেন নাগিব। এ সময় বেজে উঠল দোরঘণ্টি। কোনো সাংবাদিক এসেছেন ভেবেছেন নাগিব। দরজা খুলে দেখা গেল সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে! নাগিব বললেন, ‘এক্সকিউজ মি, আমি কাপড় পরে আসি।’
সূত্র: মিজান মল্লিকের অনুবাদে ‘নন্দিত লেখক কবির সাক্ষাৎকার’
নাগিব মাহফুজের বাঁচার ধরনটা তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন। সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অফিস করতেন। এরপর চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত লিখতেন। সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন। এই রুটিনের কোনো হেরফের হতো না। সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই এই ছিল তাঁর জীবনধারা।
বিয়ে করেছিলেন সাঁইত্রিশ বা আটত্রিশ বছর বয়সে। নিজের জীবনধারায় স্ত্রীর জায়গা কোথায়? সারা দিনই তো ব্যস্ততা! এর ওপর ভর করেছিল ভয়। বিয়ে হওয়া মানেই এমন এক সামাজিক জীবনযাপন করা, যা তাঁর পোষাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতেন তিনি। নিজের ভাই-বোনদের দেখতেন, বিয়ের পর তাঁদের জীবনযাত্রা গেছে বদলে। সমাজ-সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তাঁরা। কেউ একজন পরিবারসমেত গেলেন দাওয়াত খেতে, কেউ অন্য কোনো পরিবারকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দিলেন। নাগিব মাহফুজ ভাবলেন, বিয়ে করলে তো তাঁর নিজের রুটিনটাই আর থাকবে না! সে জীবনে স্বাধীনতা কোথায়?
নৈশভোজ কিংবা কোনো বরণ উৎসব ইত্যাদি থেকে নিজেকে আগলে রেখেছেন সারা জীবন। চেষ্টা করেছেন রাতের কোনো আসরে না যেতে। এমনকি কোনো বন্ধুর বাড়িতেও বেড়াতে যেতেন না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতো কফি শপে।
তিনি কখনোই মনে করেননি নোবেল পুরস্কার পাবেন। পশ্চিমারা প্রাচ্যের একজন লেখককে এই পুরস্কার দেবে না বলেই ধারণা ছিল তাঁর। তবে সেবার দুই আরব লেখক ইউসুফ ইদ্রিস আর আদোনিসের নাম শোনা যাচ্ছিল মনোনীত হয়েছেন বলে। সেদিন সকালে ছিলেন আল আহরামে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। তখন আল আহরাম থেকে খবর এল। খবর পেলেন নাগিবের স্ত্রী। বাশার নামে একজন ফোনে নাগিবকে জানালেন নোবেল পাওয়ার কথা। বিশ্বাস করেননি নাগিব।
পায়জামা পরে বসে আছেন নাগিব। এ সময় বেজে উঠল দোরঘণ্টি। কোনো সাংবাদিক এসেছেন ভেবেছেন নাগিব। দরজা খুলে দেখা গেল সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে! নাগিব বললেন, ‘এক্সকিউজ মি, আমি কাপড় পরে আসি।’
সূত্র: মিজান মল্লিকের অনুবাদে ‘নন্দিত লেখক কবির সাক্ষাৎকার’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫