Ajker Patrika

এটাই তবে মোস্তাফিজদের মনের মতো উইকেট

রানা আব্বাস, সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪, ১৪: ০৬
এটাই তবে মোস্তাফিজদের মনের মতো উইকেট

এত দিনে বিশ্বকাপে তাহলে ‘মনের মতো উইকেট’ পেয়েছে বাংলাদেশ! আইসিসির টুর্নামেন্ট মানেই ফ্ল্যাট, হাই স্কোরিং উইকেট—এই চিত্র গত এক দশকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছিল। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতে কীভাবে রানের বন্যা হয়েছে, মনে আছে তো?

নিয়মিত দেশের মন্থর উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশের পক্ষে হুট করে ব্যাটিং স্বর্গে গিয়ে রানের বন্যা ছুটিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। নিয়মিত প্রতিপক্ষের রানের বোঝায় চাপা পড়া বাংলাদেশের তখন উপলব্ধি হয়েছিল, দেশের মাঠে অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলার অভ্যাস করতে হবে। এই বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে আবার অন্য ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটগুলো প্রায় বধ্যভূমি হয়ে গেছে ব্যাটারদের কাছে। রানবন্যা ছোটাবে কি, উল্টো রান তুলতেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে ব্যাটারদের। এখনো পর্যন্ত মাত্র একটি দলীয় স্কোর ২০০ ছাড়িয়েছে, ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মাঝপথে চলে আসা বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে, এখন ১৬০-১৭০ রানের স্কোরই জিততে যথেষ্ট। আর এই কন্ডিশন-উইকেট, পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দেওয়ার কথা বাংলাদেশের।

সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তাই ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই বিশ্বকাপ সত্যিই আমাদের জন্য বিশাল সুযোগ। এত স্লো উইকেটে খেলা, যেটা আমরা সব সময় আশা করি। সেরা আটে স্বাগত! এবার শুরু হবে আমাদের আসল বিশ্বকাপ। এই উইকেটে কেউ সেরা দল নয়, আমরা বিশ্বাস রাখতে পারলে দারুণ কিছু করা সম্ভব।’

এবার উইকেট বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে পারে, অনুমান করা যাচ্ছিল আসার আগেই। আজকের পত্রিকায় লেখা কলামে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন লিখেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। জ্যামাইকা, বার্বাডোজ ছাড়া 
বাকি দ্বীপগুলো কিন্তু বাংলাদেশের মতো কন্ডিশন। আশি ও নব্বইয়ের দশকে, এমনকি ২০০০-এর শুরুতে ব্যাপারটা অন্য রকম ছিল। তবে ২০১০ সালের পর এখনো বার্বাডোজের উইকেটগুলো পেস এবং বাউন্সি। বাকি সব জায়গার উইকেট, কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে থাকবে।’

এ ধরনের উইকেট সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার কথা মোস্তাফিজুর রহমানের। তাঁর বিষাক্ত কাটার, স্লোয়ারগুলো প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নিখুঁত ছোবল দিতে পারে এ ধরনের উইকেটে। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেও ডট বলই দিয়েছেন ১৭টি। তাঁর এই চাপে চ্যাপ্টা ডাচদের পরে বড় আঘাত করেছেন রিশাদ হোসেন। উইকেটে টার্ন পেয়েছেন, নিজের ভ্যারিয়েশনগুলো দারুণ ব্যবহার করা তরুণ লেগ স্পিনার পরশু মিক্সড জোন থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে বলছিলেন, ‘জোরে বল করলে এই উইকেটে ভালো টার্ন পাওয়া যায়।’

মোস্তাফিজ দারুণ ছন্দে, তাসকিন আহমেদও উইকেট শিকার করছেন নিয়মিত। নিউইয়র্কে তানজিম হাসান সাকিবের সেই দুর্দান্ত বোলিং—অসাধারণ এই পেস বোলিং আক্রমণে শরীফুল ইসলামেরই জায়গা হচ্ছে না! আর স্পিন বিভাগে অভিজ্ঞ সাকিবের সঙ্গে রিশাদ জাদুকর তো আছেনই,

তাঁদের সমর্থন দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। কন্ডিশন-উইকেট হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ধারালো বোলিং আক্রমণকে। এখন শুধু ব্যাটাররা, বিশেষ করে টপ অর্ডার ধারাবাহিক জ্বলে উঠলেই এই বিশ্বকাপ বাংলাদেশের কাছে বিশেষ স্মরণীয় হয়ে থাকতে বাধ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত