ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম উৎস কাশের খড়। ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা চরে কাশের খড় বিক্রি করেই চলছে শত শত পরিবারের জীবিকা।
জানা যায়, বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া ও উড়িয়া ইউনিয়নের চরগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে কাশবন।
প্রথম দিকে ছোট আকারের কাশগুলো গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার হলেও জমির মালিকেরা চেষ্টা করেন এগুলো রক্ষার। পরে তিন মাসের মধ্যেই কাশগুলো পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করে। তবে কিছু চরের প্রভাবশালীরা খাসজমি হিসেবে এগুলো নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কুচখালী চরের বাহেজ মিয়া জানান, চরে গজিয়ে ওঠা কাশবনের খড় বিক্রি করে এখন তাঁর সংসার চলে। তবে প্রভাবশালীদের কারণে নিজের জমির খড় বিক্রি করতে পারছেন না। তাঁর দাবি, নদীতে ভেঙে যাওয়া জমি খাস, তাই এগুলো সবার ভোগ করার অধিকার আছে।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কঞ্চিপাড়া গ্রামের রিনা বেগম (৩৮), রহিমা খাতুন (৪৫), আকলিমা বেগমসহ (৪২) আরও কয়েকজন জানান, তাঁরা ৩০০ টাকা দিনমজুর হিসেবে চরে গিয়ে খড় কাটার কাজ করেন। এ ছাড়া অবসর সময়ে চরে পড়ে থাকা কাশের খড় কুড়িয়ে বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালান।
উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বুলবুলির চরের হুরমুজ আলী জানান, নিজের জমিতে নদীর পলির সঙ্গে কাশ জন্ম নেয়, কিন্তু এগুলো চরের লোকজনের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁরা গরুর খাবার হিসেবে জোর করে কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে মানুষের কাজ-কর্ম না থাকায় কাশ বিক্রি করেই অনেকে দিনাতিপাত করছেন।
হরিচণ্ডী গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, কার্তিকের আকালে একমাত্র ভরসা কাশের খড় বিক্রি। এ থেকেই চলে অনেকের সংসার।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মণ্ডল জানান, চরের মধ্যে জমিজমার সীমানা নির্ধারণ করা দুরূহ। তাই একজনের জমির খড় আরেকজন কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে কাশের কদরও রয়েছে। তবে পরিবহন সমস্যায় ব্যয় বেশি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ-উন্নয়ন কেন্দ্রের সিনিয়র সমন্বয়কারী মহিরুল ইসলাম তুষার আজকের পত্রিকাকে জানান, কাশবন পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। নদীতে পলি জমাট, গোখাদ্য, জ্বালানি ও ঘরবাড়ি মেরামতেও ব্যবহার হয়। এ জন্য কাশ বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা যেতে পারে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম উৎস কাশের খড়। ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা চরে কাশের খড় বিক্রি করেই চলছে শত শত পরিবারের জীবিকা।
জানা যায়, বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া ও উড়িয়া ইউনিয়নের চরগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে কাশবন।
প্রথম দিকে ছোট আকারের কাশগুলো গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার হলেও জমির মালিকেরা চেষ্টা করেন এগুলো রক্ষার। পরে তিন মাসের মধ্যেই কাশগুলো পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করে। তবে কিছু চরের প্রভাবশালীরা খাসজমি হিসেবে এগুলো নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কুচখালী চরের বাহেজ মিয়া জানান, চরে গজিয়ে ওঠা কাশবনের খড় বিক্রি করে এখন তাঁর সংসার চলে। তবে প্রভাবশালীদের কারণে নিজের জমির খড় বিক্রি করতে পারছেন না। তাঁর দাবি, নদীতে ভেঙে যাওয়া জমি খাস, তাই এগুলো সবার ভোগ করার অধিকার আছে।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কঞ্চিপাড়া গ্রামের রিনা বেগম (৩৮), রহিমা খাতুন (৪৫), আকলিমা বেগমসহ (৪২) আরও কয়েকজন জানান, তাঁরা ৩০০ টাকা দিনমজুর হিসেবে চরে গিয়ে খড় কাটার কাজ করেন। এ ছাড়া অবসর সময়ে চরে পড়ে থাকা কাশের খড় কুড়িয়ে বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালান।
উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বুলবুলির চরের হুরমুজ আলী জানান, নিজের জমিতে নদীর পলির সঙ্গে কাশ জন্ম নেয়, কিন্তু এগুলো চরের লোকজনের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁরা গরুর খাবার হিসেবে জোর করে কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে মানুষের কাজ-কর্ম না থাকায় কাশ বিক্রি করেই অনেকে দিনাতিপাত করছেন।
হরিচণ্ডী গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, কার্তিকের আকালে একমাত্র ভরসা কাশের খড় বিক্রি। এ থেকেই চলে অনেকের সংসার।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মণ্ডল জানান, চরের মধ্যে জমিজমার সীমানা নির্ধারণ করা দুরূহ। তাই একজনের জমির খড় আরেকজন কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে কাশের কদরও রয়েছে। তবে পরিবহন সমস্যায় ব্যয় বেশি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ-উন্নয়ন কেন্দ্রের সিনিয়র সমন্বয়কারী মহিরুল ইসলাম তুষার আজকের পত্রিকাকে জানান, কাশবন পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। নদীতে পলি জমাট, গোখাদ্য, জ্বালানি ও ঘরবাড়ি মেরামতেও ব্যবহার হয়। এ জন্য কাশ বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা যেতে পারে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫