Ajker Patrika

বিদ্যার জন্য আজ সরস্বতী বন্দনায় মাতবেন শিক্ষার্থীরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ১০
বিদ্যার জন্য আজ সরস্বতী বন্দনায় মাতবেন শিক্ষার্থীরা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে আজ। প্রতিবছরের মতো এবারও জাঁকজমকভাবে কিশোরগঞ্জে উদ্‌যাপিত হবে সরস্বতী পূজা। বিদ্যা ও সংগীতের দেবী হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতীকে পূজা করে থাকেন। মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে এই পূজা হয়। গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে গেলে দেখা যায় পূজার শেষ আয়োজন। বিদ্যা ও জ্ঞানলাভের জন্য সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও অঞ্জলিতে মেতে উঠবেন বিদ্যার্থীরা।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে বসেছিল প্রতিমার হাট। গতকাল ছিল হাটের শেষ দিন। গতকাল বিকেলে ওই হাটে গেলে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী প্রতিমা কিনতে ভিড় করছেন। হাটে সাজানো রয়েছে সরস্বতী প্রতিমার সারি। এ হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৮-১০ জন প্রতিমা কারিগর অংশ নিয়েছেন।

ভক্তদের চাহিদা মোতাবেক চলছে প্রতিমার অবয়ব ও গায়ে রঙের প্রলেপের কাজ। ভক্তরা যেভাবে দেবী সরস্বতীকে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, কারিগরেরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। আকারভেদে প্রতিমার মূল্য ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা।

কিশোরগঞ্জে ধুলদিয়া গচিহাটার প্রতিমা কারিগর নারায়ণ পাল জানান, তিন বছর ধরে এ হাটে প্রতিমা বিক্রি করে আসছেন। মাটির কাজ করে সংসার চালানো কঠিন এখন। তবে এ হাটে প্রতিমা বিক্রি ভালোই হয়।

প্রতিমা কিনতে আসা কলেজছাত্রী পুষ্পিতা রানী রায় বলেন, ‘প্রতিবছরই বাসায় সরস্বতী পূজা করে থাকি। প্রতিবছর এখান থেকে প্রতিমা নিয়ে যাই। এখানে এলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। প্রতিটি প্রতিমা রূপ-সৌন্দর্য্যে অনন্য।

তাড়াইল উপজেলা থেকে প্রতিমার হাটে এসেছেন সুবল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমরা দলবেঁধে কয়েকজন প্রতিমা কিনতে এসেছি। তিন দিন আগে সাড়ে ৮ হাজার টাকায় একটি প্রতিমা বায়না করেছিলাম। আজ নিতে এসেছি।’

শ্রী শ্রী কালীবাড়ির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভক্তদের চাহিদা মোতাবেক প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা হাটের আয়োজন করেছি। পুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকে কারিগরেরা কাজ শুরু করেন। তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও কালীবাড়ির পক্ষ থেকে করা হয়। প্রতিমা কারিগরেরা এখানে প্রতিবছরই বেশ ভালো একটা লভ্যাংশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত