কঙ্কন সরকার
কার্তিকে হঠাৎ একদিন চোখে পড়ল রোপণ করা গাছটিতে অনেকটা লাল রঙের ফুল ফুটে আছে। গাছটি কাঞ্চন। কাঞ্চন ফুল মানে জানতাম শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চনের নাম। শ্বেতকাঞ্চন বর্ষা ও শরতে ফুটে উজ্জ্বলতা ছড়ায়। আর রক্তকাঞ্চন বসন্তে রং ছড়ায়। কিন্তু হেমন্তেও যে কাঞ্চন ফোটে, সেটা জানা ছিল না। তারপর এর ওর কাছে জানতে চাই, গুগলেও সার্চ দিই। জানতে পারি, এটা দেবকাঞ্চন—যার ফুল ফোটে হেমন্ত থেকে শীত পর্যন্ত। মন ভরে গেল এই ভেবে যে শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চনের পর নিজের অজ্ঞাতেই রোপণ করেছিলাম দেবকাঞ্চন!
কাঞ্চন ফুলের গাছ দেখে এর ভিন্নতা নিরূপণ করা মুশকিল। কারণ, কাঞ্চনের সব কটি প্রজাতির গাছ দেখতে প্রায় একই রকম। যাহোক, একে নিয়ে জানার কৌতূহল জাগে। তবে শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চন প্রায় সব জায়গায় দেখা গেলেও দেবকাঞ্চন খুব একটা সুলভ নয়। একে রাঙা কাঞ্চনও বলা হয়।
বাংলাদেশে বনে, জঙ্গলে, পার্কে, বাগানে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোথাও কোথাও কদাচিৎ দেবকাঞ্চনের দেখা মেলে। এর ফুল সাধারণত দুই রঙের হয়; একটি রং হালকা গোলাপি আভাসহ সাদা, অন্যটি হালকা গোলাপি-বেগুনি। প্রস্ফুটন উজ্জ্বলতা ততটা প্রবল না হলেও সুঘ্রাণ আছে। এর ফুলের সঙ্গে প্রজাপতি, মৌমাছির সখ্য দেখা যায়।
দেবকাঞ্চন মাঝারি আকারের অর্ধ চিরসবুজ গাছ। এর গাছ ৮ থেকে ১০ মিটার উঁচু হয়। তবে মাঝেমধ্যে বড় আকৃতির গাছও চোখে পড়ে। পাতাসহ মাথা ছড়ানো থাকে। পাতা মাথার দিকে দুই দিকে বিভক্ত। লতির আগা চোখা বা ভোঁতা—দুই-ই হয়। ফুল ৬ থেকে ৮ সেন্টিমিটার চওড়া, সুগন্ধযুক্ত। কয়েকটি ফুল একত্রে একটি ডাঁটায় থাকে। পুরো গাছে ফুল ফোটে। পাঁচটি পাপড়ি যুক্ত এ ফুল লম্বাটে। ফল শিমের মতো চ্যাপ্টা এবং তাতে বীজ থাকে ৮ থেকে ১০টি। ফলের রং প্রথমে সবুজ থাকে। পরিণত হলে কালচে খয়েরি রং ধারণ করে এবং শুকিয়ে গিয়ে একসময় আপনা-আপনিই ফেটে গিয়ে বীজগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বীজের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়।
অনেক সময় কম বয়সী গাছেও ফুল ধরে। দেবকাঞ্চনের আদি নিবাস হিমালয়ের পাদদেশ এবং আসামের পাহাড়ি অঞ্চল। তবে চীন, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ায় দেবকাঞ্চনের দেখা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এর বিস্তার হয়েছে বহুকাল আগে। আমাদের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে এ গাছ দেখা যায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছটি এই অঞ্চলের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে। একেক দেশে একেক নামে পরিচিতিও পেয়েছে দেবকাঞ্চন। এর মধ্যে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে অর্কিড ট্রি, পার্পল বহিনিয়া, ক্যামেলস ফুট, বাটারফ্লাই ট্রি, হাউয়াইয়ান অর্কিড ট্রি ইত্যাদি। দেবকাঞ্চনের বৈজ্ঞানিক নাম ফনেরা পুরপুরেয়া এবং এটি ফ্যাবিসি পরিবারের উদ্ভিদ।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, দেবকাঞ্চনের কিছু ভেষজ গুণ আছে। এর মূল বায়ুনাশক এবং ফুল রেচক রূপে ব্যবহৃত হয়। বাকল আমাশয়ে উপকার করে। বাকলের ক্বাথ ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। কাঠ মাঝারি মানের শক্ত এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ও গৃহনির্মাণের উপযোগী। দেবকাঞ্চন বেশ কষ্টসহিষ্ণুগাছ।
কার্তিকে হঠাৎ একদিন চোখে পড়ল রোপণ করা গাছটিতে অনেকটা লাল রঙের ফুল ফুটে আছে। গাছটি কাঞ্চন। কাঞ্চন ফুল মানে জানতাম শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চনের নাম। শ্বেতকাঞ্চন বর্ষা ও শরতে ফুটে উজ্জ্বলতা ছড়ায়। আর রক্তকাঞ্চন বসন্তে রং ছড়ায়। কিন্তু হেমন্তেও যে কাঞ্চন ফোটে, সেটা জানা ছিল না। তারপর এর ওর কাছে জানতে চাই, গুগলেও সার্চ দিই। জানতে পারি, এটা দেবকাঞ্চন—যার ফুল ফোটে হেমন্ত থেকে শীত পর্যন্ত। মন ভরে গেল এই ভেবে যে শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চনের পর নিজের অজ্ঞাতেই রোপণ করেছিলাম দেবকাঞ্চন!
কাঞ্চন ফুলের গাছ দেখে এর ভিন্নতা নিরূপণ করা মুশকিল। কারণ, কাঞ্চনের সব কটি প্রজাতির গাছ দেখতে প্রায় একই রকম। যাহোক, একে নিয়ে জানার কৌতূহল জাগে। তবে শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চন প্রায় সব জায়গায় দেখা গেলেও দেবকাঞ্চন খুব একটা সুলভ নয়। একে রাঙা কাঞ্চনও বলা হয়।
বাংলাদেশে বনে, জঙ্গলে, পার্কে, বাগানে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোথাও কোথাও কদাচিৎ দেবকাঞ্চনের দেখা মেলে। এর ফুল সাধারণত দুই রঙের হয়; একটি রং হালকা গোলাপি আভাসহ সাদা, অন্যটি হালকা গোলাপি-বেগুনি। প্রস্ফুটন উজ্জ্বলতা ততটা প্রবল না হলেও সুঘ্রাণ আছে। এর ফুলের সঙ্গে প্রজাপতি, মৌমাছির সখ্য দেখা যায়।
দেবকাঞ্চন মাঝারি আকারের অর্ধ চিরসবুজ গাছ। এর গাছ ৮ থেকে ১০ মিটার উঁচু হয়। তবে মাঝেমধ্যে বড় আকৃতির গাছও চোখে পড়ে। পাতাসহ মাথা ছড়ানো থাকে। পাতা মাথার দিকে দুই দিকে বিভক্ত। লতির আগা চোখা বা ভোঁতা—দুই-ই হয়। ফুল ৬ থেকে ৮ সেন্টিমিটার চওড়া, সুগন্ধযুক্ত। কয়েকটি ফুল একত্রে একটি ডাঁটায় থাকে। পুরো গাছে ফুল ফোটে। পাঁচটি পাপড়ি যুক্ত এ ফুল লম্বাটে। ফল শিমের মতো চ্যাপ্টা এবং তাতে বীজ থাকে ৮ থেকে ১০টি। ফলের রং প্রথমে সবুজ থাকে। পরিণত হলে কালচে খয়েরি রং ধারণ করে এবং শুকিয়ে গিয়ে একসময় আপনা-আপনিই ফেটে গিয়ে বীজগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বীজের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়।
অনেক সময় কম বয়সী গাছেও ফুল ধরে। দেবকাঞ্চনের আদি নিবাস হিমালয়ের পাদদেশ এবং আসামের পাহাড়ি অঞ্চল। তবে চীন, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ায় দেবকাঞ্চনের দেখা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এর বিস্তার হয়েছে বহুকাল আগে। আমাদের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে এ গাছ দেখা যায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছটি এই অঞ্চলের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে। একেক দেশে একেক নামে পরিচিতিও পেয়েছে দেবকাঞ্চন। এর মধ্যে জনপ্রিয় নাম হচ্ছে অর্কিড ট্রি, পার্পল বহিনিয়া, ক্যামেলস ফুট, বাটারফ্লাই ট্রি, হাউয়াইয়ান অর্কিড ট্রি ইত্যাদি। দেবকাঞ্চনের বৈজ্ঞানিক নাম ফনেরা পুরপুরেয়া এবং এটি ফ্যাবিসি পরিবারের উদ্ভিদ।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, দেবকাঞ্চনের কিছু ভেষজ গুণ আছে। এর মূল বায়ুনাশক এবং ফুল রেচক রূপে ব্যবহৃত হয়। বাকল আমাশয়ে উপকার করে। বাকলের ক্বাথ ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। কাঠ মাঝারি মানের শক্ত এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ও গৃহনির্মাণের উপযোগী। দেবকাঞ্চন বেশ কষ্টসহিষ্ণুগাছ।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫