বাসব রায়
‘আহা আজি এ বসন্তে…’
রবিঠাকুরের এমন নিবেদনের পর আর কোনো কথা নেই; অন্তরের সবকিছুই উদ্বেলিত হয়েছে তাঁর এই গানে। বসন্ত নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদের কৌতূহলের শেষ নেই। আসলে আমরা যৌবনকে কখনোই এড়িয়ে যেতে পারি না। তাই প্রতি বসন্তে যৌবন যেন নতুনরূপে আবির্ভূত হয় মানুষের মনে।
‘বসন্ত এসে গেছে’—এভাবেই বারবার দোলা দিয়ে যায় রঙিন ফাল্গুন; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের জন্য বসন্ত নিয়ে আসে রোমান্টিক ভাবনা। বহুভাবে, বহু রঙে বসন্ত আসে প্রকৃতিতে, আমাদের মাঝে। উচ্ছ্বাস আর কৌতূহলোদ্দীপক আবেগের ধারায় মনের বিস্তৃত পরিধিতে বরণ করে নেওয়া হয় পয়লা ফাল্গুনকে।
যদিও বয়সের ওপর এর প্রভাব বেশি, তাই বসন্ত পেরোনো সব মানুষ নিজ নিজ হৃদয়-উদ্যানে এটা উদ্যাপন করেন। যেভাবেই হোক, আর যেখানেই হোক, বসন্তের রঙে রঙিন হয়ে ওঠেন সবাই। ‘মন বসন্ত’ যে শেষ হওয়ার নয়। প্রকৃতি মনের ওপর প্রভাব ফেলে ফুল আর রঙের সম্ভারে। মানুষের যুবক অন্তর সেই রংকে ধারণ করে ভেতরে, বাইরে—সবখানে। এ জন্য বসন্তের কাছে আমরা সবাই ঋণী। মন খারাপের আকাশে বসন্ত এনে দেয় সজীব ভালোবাসা আর ভালো লাগার সুন্দর অনুভব। এক দিকে গাছে গাছে পাতা ঝরার হাহাকার, অন্যদিকে নতুন পাতা ও ফুলের সমাহার—এ যেন মানুষের জীবনের আনন্দ-বেদনার অনিবার্য গতিরই প্রতিচ্ছবি।
যদিও বসন্ত বিলাসে মন রাঙা হওয়ার পরে পরেই এসে যায় চৈত্রের খরা। আবার তার অব্যবহিত পরেই প্রচণ্ড উষ্ণতা। তবু মানুষ বসন্তের রোমান্সকে বাদ দিতে পারে না বা বাদ দেওয়া সম্ভবও হয় না। থাকুক বসন্ত মনে মনে সব সময়ই। ফাল্গুনের দোলা না খেয়ে চলাও বুঝি কঠিন। জীবনকে নতুন করে ভাবতে শেখায় এই ঋতু, জীবনকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে বৈচিত্র্যের বর্ণে। আমরা উপভোগ করি এবং উপভোগ্য সময়টুকুকে হৃদয়ে ধারণ করে বেঁচে থাকি।
বসন্ত উৎসবের কবে, কোথায়, কীভাবে উৎপত্তি হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে মানুষের বেঁচে থাকার অনুষঙ্গে এমন একটি আনন্দময় উৎসবের প্রয়োজনকে অস্বীকার করার উপায়ও তো থাকে না। সব মিলিয়েই বসন্তকে মনে-প্রাণে অভিবাদন জানাই এবং আলিঙ্গন করি। আবেগ-অনুভূতিতে বরাবরই মাখামাখি বাঙালির অন্তরে বসন্ত উদ্যাপন নতুন এক মাত্রা এনে দেয়; বাংলার প্রকৃতির যে অসাধারণ রূপবৈচিত্র্য, তা কেবল বসন্তেই ধরা পড়ে।
বসন্ত উদ্যাপনের অনুষ্ঠান বা উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মনে একটা উদার ভাবনার সৃষ্টি হয়; সবাইকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে আবার সবার ভালোবাসা পেতেও ইচ্ছে করে। রঙিন সাজসজ্জা আর পুষ্পিত ঝলকের দুর্নিবার আকর্ষণের কাছে ভেসে যায় মন। আবার কখনো বিভোর উদাসীনতাও ঘোর লাগায় ভেতরে-বাইরে। বাউলের একতারার টান বা রাখালিয়া বাঁশির মোহ ভাবজগতে উন্মাদনার সৃষ্টি করে, যা মানুষকে আবারও বাঁচার প্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। মানুষ হেসে-খেলে পথ চলতে চায়, যদিও তা সব সময় সম্ভব নয়, কিন্তু এরই মাঝে একটু হলেও এসব আনন্দ-উৎসব মানুষের অন্তরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আবেগের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। আবার আবেগের নানা রকম ভাবের ঠেলায় বসন্ত অন্তরের নিভৃতে কোথাও ঘরছাড়া মনোভাবের উন্মেষ ঘটায়। এমনিতেই আমরা বেগের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আবেগকে অনেকটাই সংহার করে ফেলেছি, শুধু বসন্ত এলে কিছুটা আবেগ অনেককেই ছুঁয়ে যায়। বোধকরি বসন্ত উৎসবে সবার আবেগ প্রায় একই রকম হয়। অনাবশ্যক এবং শুষ্ক প্রেমও যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে; ঠিক যেন ‘ভালোবাসিবার সাধ জাগে’। ব্যস্ততম জীবনে মানুষের অবকাশ খুব কম। আর এ জন্যই এসব আবেগ-অনুভূতির বৈচিত্র্যে যদি কিছুটা ডুব দেওয়া যায়, তাতে ক্ষতি কী!
কবি-সাহিত্যিকেরা বসন্ত বন্দনায় তুলকালাম মেতেছেন বা আজও তেমনই মাতামাতিতেই আছেন। হৃদয়কে উজ্জীবিত করার একটা শক্তি নিয়েই বসন্ত আবির্ভূত হয় এবং উৎসবের আনন্দে উদ্বেলিত প্রেমকে স্বাগত জানায়। তাই তো ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত!
‘আহা আজি এ বসন্তে…’
রবিঠাকুরের এমন নিবেদনের পর আর কোনো কথা নেই; অন্তরের সবকিছুই উদ্বেলিত হয়েছে তাঁর এই গানে। বসন্ত নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদের কৌতূহলের শেষ নেই। আসলে আমরা যৌবনকে কখনোই এড়িয়ে যেতে পারি না। তাই প্রতি বসন্তে যৌবন যেন নতুনরূপে আবির্ভূত হয় মানুষের মনে।
‘বসন্ত এসে গেছে’—এভাবেই বারবার দোলা দিয়ে যায় রঙিন ফাল্গুন; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের জন্য বসন্ত নিয়ে আসে রোমান্টিক ভাবনা। বহুভাবে, বহু রঙে বসন্ত আসে প্রকৃতিতে, আমাদের মাঝে। উচ্ছ্বাস আর কৌতূহলোদ্দীপক আবেগের ধারায় মনের বিস্তৃত পরিধিতে বরণ করে নেওয়া হয় পয়লা ফাল্গুনকে।
যদিও বয়সের ওপর এর প্রভাব বেশি, তাই বসন্ত পেরোনো সব মানুষ নিজ নিজ হৃদয়-উদ্যানে এটা উদ্যাপন করেন। যেভাবেই হোক, আর যেখানেই হোক, বসন্তের রঙে রঙিন হয়ে ওঠেন সবাই। ‘মন বসন্ত’ যে শেষ হওয়ার নয়। প্রকৃতি মনের ওপর প্রভাব ফেলে ফুল আর রঙের সম্ভারে। মানুষের যুবক অন্তর সেই রংকে ধারণ করে ভেতরে, বাইরে—সবখানে। এ জন্য বসন্তের কাছে আমরা সবাই ঋণী। মন খারাপের আকাশে বসন্ত এনে দেয় সজীব ভালোবাসা আর ভালো লাগার সুন্দর অনুভব। এক দিকে গাছে গাছে পাতা ঝরার হাহাকার, অন্যদিকে নতুন পাতা ও ফুলের সমাহার—এ যেন মানুষের জীবনের আনন্দ-বেদনার অনিবার্য গতিরই প্রতিচ্ছবি।
যদিও বসন্ত বিলাসে মন রাঙা হওয়ার পরে পরেই এসে যায় চৈত্রের খরা। আবার তার অব্যবহিত পরেই প্রচণ্ড উষ্ণতা। তবু মানুষ বসন্তের রোমান্সকে বাদ দিতে পারে না বা বাদ দেওয়া সম্ভবও হয় না। থাকুক বসন্ত মনে মনে সব সময়ই। ফাল্গুনের দোলা না খেয়ে চলাও বুঝি কঠিন। জীবনকে নতুন করে ভাবতে শেখায় এই ঋতু, জীবনকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে বৈচিত্র্যের বর্ণে। আমরা উপভোগ করি এবং উপভোগ্য সময়টুকুকে হৃদয়ে ধারণ করে বেঁচে থাকি।
বসন্ত উৎসবের কবে, কোথায়, কীভাবে উৎপত্তি হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে মানুষের বেঁচে থাকার অনুষঙ্গে এমন একটি আনন্দময় উৎসবের প্রয়োজনকে অস্বীকার করার উপায়ও তো থাকে না। সব মিলিয়েই বসন্তকে মনে-প্রাণে অভিবাদন জানাই এবং আলিঙ্গন করি। আবেগ-অনুভূতিতে বরাবরই মাখামাখি বাঙালির অন্তরে বসন্ত উদ্যাপন নতুন এক মাত্রা এনে দেয়; বাংলার প্রকৃতির যে অসাধারণ রূপবৈচিত্র্য, তা কেবল বসন্তেই ধরা পড়ে।
বসন্ত উদ্যাপনের অনুষ্ঠান বা উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মনে একটা উদার ভাবনার সৃষ্টি হয়; সবাইকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে আবার সবার ভালোবাসা পেতেও ইচ্ছে করে। রঙিন সাজসজ্জা আর পুষ্পিত ঝলকের দুর্নিবার আকর্ষণের কাছে ভেসে যায় মন। আবার কখনো বিভোর উদাসীনতাও ঘোর লাগায় ভেতরে-বাইরে। বাউলের একতারার টান বা রাখালিয়া বাঁশির মোহ ভাবজগতে উন্মাদনার সৃষ্টি করে, যা মানুষকে আবারও বাঁচার প্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। মানুষ হেসে-খেলে পথ চলতে চায়, যদিও তা সব সময় সম্ভব নয়, কিন্তু এরই মাঝে একটু হলেও এসব আনন্দ-উৎসব মানুষের অন্তরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আবেগের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। আবার আবেগের নানা রকম ভাবের ঠেলায় বসন্ত অন্তরের নিভৃতে কোথাও ঘরছাড়া মনোভাবের উন্মেষ ঘটায়। এমনিতেই আমরা বেগের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আবেগকে অনেকটাই সংহার করে ফেলেছি, শুধু বসন্ত এলে কিছুটা আবেগ অনেককেই ছুঁয়ে যায়। বোধকরি বসন্ত উৎসবে সবার আবেগ প্রায় একই রকম হয়। অনাবশ্যক এবং শুষ্ক প্রেমও যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে; ঠিক যেন ‘ভালোবাসিবার সাধ জাগে’। ব্যস্ততম জীবনে মানুষের অবকাশ খুব কম। আর এ জন্যই এসব আবেগ-অনুভূতির বৈচিত্র্যে যদি কিছুটা ডুব দেওয়া যায়, তাতে ক্ষতি কী!
কবি-সাহিত্যিকেরা বসন্ত বন্দনায় তুলকালাম মেতেছেন বা আজও তেমনই মাতামাতিতেই আছেন। হৃদয়কে উজ্জীবিত করার একটা শক্তি নিয়েই বসন্ত আবির্ভূত হয় এবং উৎসবের আনন্দে উদ্বেলিত প্রেমকে স্বাগত জানায়। তাই তো ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত!
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪