সাবিত আল হাসান, (বন্দর) নারায়ণগঞ্জ
সড়ক পার হতে গিয়ে পথচারীদের মৃত্যু নতুন কিছু নয়। এর জন্য পথচারীদের অসচেতনতা অনেকাংশে দায়ী। মোবাইল কানে দিয়ে কিংবা গাড়ির দিকে না তাকিয়েই পারাপার হতে চাওয়া কাল হয়ে দাঁড়ায় চালক-পথচারী উভয়ের। তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে রাতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। চালকদের দাবি, এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ গাড়ির সাদা আলোর হেডলাইট, যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
গাড়ির হেডলাইট সাধারণত তিন ধরনের হয়। এগুলো হলো হ্যালোজেন, জেনন ও এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড)। তবে সবচেয়ে প্রচলিত হচ্ছে হ্যালোজেন হেডলাইট, এটিও সাদা আলো দেয়। তবে এলইডি লাইটের সাদা আলো বেশি তীব্র।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সাদা আলোর কারণে চালকের দেখতে অসুবিধা হয় বলে হেডলাইটের ওপরের অংশে দুই ইঞ্চির মতো জায়গায় কালো কালির প্রলেপ লাগিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু এখন আর সেটা মানছে না কেউ।
গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর থেকে নারায়ণগঞ্জে রাতে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮টি। এর মধ্যে পথচারী নিহত হয়েছেন ৬ জন। দিনের চেয়ে রাতে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছে। তাঁদের মুখেই উঠে আসে রাতের বেলা সড়কে নানা বিড়ম্বনার কথা।
লিংক রোডের ইজিবাইক চালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমাগো গাড়ির সামনে কাচ থাকে। যখন বিপরীত পাশ থিকা কোন গাড়ি সাদা আলো জালায়া পার হয়, তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য অন্ধ হইয়া যাই। খালি চোখে এই সমস্যা না হইলেও কাচের ভেতরে গাড়ি চালাইলে এই সমস্যা বেশি হয়। সাদা আলোটা কাচে রিফ্লেক্ট কইরা অন্ধ বানায় দেয়। তখন রাস্তার সামনে মানুষ, নাকি কুকুর নাকি কোনো গর্ত, তা বোঝার উপায় থাকে না। ওই সময়ে দুর্ঘটনা বেশি হয়।’
একই অভিযোগ তোলেন পঞ্চবটি রুটের সিএনজিচালক তুষার। তিনি বলেন, ‘ইজিবাইকগুলোতে সাদা এলইডি লাইট ব্যবহার করে। তাদের হেডলাইটে আপার ডিপার কোনো অপশন নেই। এগুলোতে হেডলাইট মাঝামাঝি রাখায় রাতে রাস্তায় চোখে দেখা যায় না। পুরো রাস্তাতেই ইজিবাইকের হেডলাইটের এমন অত্যাচার থাকেই।’
লাইটের পাশাপাশি আরও কিছু অভিযোগ যুক্ত করে মোটরবাইক আরোহী সুজন বলেন, ‘কিছু পথচারী কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা হেঁটে রাস্তা পার হয়। গাড়ি থামাতে ইশারা দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করে না। তাদের কারণে চালকেরা ঝুঁকিতে থাকে। হুটহাট মাঝ রাস্তায় চলে আসে এসব পথচারী। আর রাতের বেলা সাদা হেডলাইটের আলো অনেক সমস্যা করে। হেলমেটের কাচের ওপর আলো পড়লে কিছু দেখা যায় না। মাঝে মাঝে কাচ সরিয়ে বাইক চালাতে হয়।’
সুজন আরও বলেন, ‘অধিকাংশ সড়কেই কোনো সড়কবাতি নেই। বাতি থাকলে কিছুটা বোঝা যেত সামনে কে রাস্তা পার হচ্ছে বা কোনো গর্ত আছে কি না। দিনের বেলা রাস্তার দুই লেনই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু রাতের বেলা শুধু আমাদের গাড়ির সামনের হেডলাইটের আলো পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টি সীমাবদ্ধ থাকে সড়কবাতি থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেত গাড়ি চালকেরা।’
চালকদের এসব অভিযোগ আংশিক স্বীকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আইনুল হুদা চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদা আলো ডিপারে (নিচে) রেখে কোনো গাড়ি চললে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আপারে (ওপরে) রেখে চালালে বিপরীত পাশের চালকের সমস্যা হবেই। সেটা সাদা হোক কিংবা হলুদ হোক। আর ইজিবাইকের তো কোনো বৈধতাই নেই। তারা দিনে রাতে সব সময়েই বিপজ্জনক। আমরা প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই কথা বলে আসছি। কিন্তু কিছুতেই এদের রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদা হেডলাইট অবশ্যই একটি সমস্যা। এর কারণে দুর্ঘটনার একটা ঝুঁকি থাকে। কদিন ধরে নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। আমরা সবখানে বলে দিয়েছি সাদা আলোর ওপরের অংশে কালি দেওয়া হয় কি না তা নিয়মিত চেক করতে। যদি তা না করা হয়, তাহলে মামলা দিয়ে জরিমানা করা হবে।’
সড়ক পার হতে গিয়ে পথচারীদের মৃত্যু নতুন কিছু নয়। এর জন্য পথচারীদের অসচেতনতা অনেকাংশে দায়ী। মোবাইল কানে দিয়ে কিংবা গাড়ির দিকে না তাকিয়েই পারাপার হতে চাওয়া কাল হয়ে দাঁড়ায় চালক-পথচারী উভয়ের। তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে রাতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। চালকদের দাবি, এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ গাড়ির সাদা আলোর হেডলাইট, যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
গাড়ির হেডলাইট সাধারণত তিন ধরনের হয়। এগুলো হলো হ্যালোজেন, জেনন ও এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড)। তবে সবচেয়ে প্রচলিত হচ্ছে হ্যালোজেন হেডলাইট, এটিও সাদা আলো দেয়। তবে এলইডি লাইটের সাদা আলো বেশি তীব্র।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সাদা আলোর কারণে চালকের দেখতে অসুবিধা হয় বলে হেডলাইটের ওপরের অংশে দুই ইঞ্চির মতো জায়গায় কালো কালির প্রলেপ লাগিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু এখন আর সেটা মানছে না কেউ।
গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর থেকে নারায়ণগঞ্জে রাতে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮টি। এর মধ্যে পথচারী নিহত হয়েছেন ৬ জন। দিনের চেয়ে রাতে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছে। তাঁদের মুখেই উঠে আসে রাতের বেলা সড়কে নানা বিড়ম্বনার কথা।
লিংক রোডের ইজিবাইক চালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমাগো গাড়ির সামনে কাচ থাকে। যখন বিপরীত পাশ থিকা কোন গাড়ি সাদা আলো জালায়া পার হয়, তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য অন্ধ হইয়া যাই। খালি চোখে এই সমস্যা না হইলেও কাচের ভেতরে গাড়ি চালাইলে এই সমস্যা বেশি হয়। সাদা আলোটা কাচে রিফ্লেক্ট কইরা অন্ধ বানায় দেয়। তখন রাস্তার সামনে মানুষ, নাকি কুকুর নাকি কোনো গর্ত, তা বোঝার উপায় থাকে না। ওই সময়ে দুর্ঘটনা বেশি হয়।’
একই অভিযোগ তোলেন পঞ্চবটি রুটের সিএনজিচালক তুষার। তিনি বলেন, ‘ইজিবাইকগুলোতে সাদা এলইডি লাইট ব্যবহার করে। তাদের হেডলাইটে আপার ডিপার কোনো অপশন নেই। এগুলোতে হেডলাইট মাঝামাঝি রাখায় রাতে রাস্তায় চোখে দেখা যায় না। পুরো রাস্তাতেই ইজিবাইকের হেডলাইটের এমন অত্যাচার থাকেই।’
লাইটের পাশাপাশি আরও কিছু অভিযোগ যুক্ত করে মোটরবাইক আরোহী সুজন বলেন, ‘কিছু পথচারী কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা হেঁটে রাস্তা পার হয়। গাড়ি থামাতে ইশারা দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করে না। তাদের কারণে চালকেরা ঝুঁকিতে থাকে। হুটহাট মাঝ রাস্তায় চলে আসে এসব পথচারী। আর রাতের বেলা সাদা হেডলাইটের আলো অনেক সমস্যা করে। হেলমেটের কাচের ওপর আলো পড়লে কিছু দেখা যায় না। মাঝে মাঝে কাচ সরিয়ে বাইক চালাতে হয়।’
সুজন আরও বলেন, ‘অধিকাংশ সড়কেই কোনো সড়কবাতি নেই। বাতি থাকলে কিছুটা বোঝা যেত সামনে কে রাস্তা পার হচ্ছে বা কোনো গর্ত আছে কি না। দিনের বেলা রাস্তার দুই লেনই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু রাতের বেলা শুধু আমাদের গাড়ির সামনের হেডলাইটের আলো পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টি সীমাবদ্ধ থাকে সড়কবাতি থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেত গাড়ি চালকেরা।’
চালকদের এসব অভিযোগ আংশিক স্বীকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আইনুল হুদা চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদা আলো ডিপারে (নিচে) রেখে কোনো গাড়ি চললে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আপারে (ওপরে) রেখে চালালে বিপরীত পাশের চালকের সমস্যা হবেই। সেটা সাদা হোক কিংবা হলুদ হোক। আর ইজিবাইকের তো কোনো বৈধতাই নেই। তারা দিনে রাতে সব সময়েই বিপজ্জনক। আমরা প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই কথা বলে আসছি। কিন্তু কিছুতেই এদের রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদা হেডলাইট অবশ্যই একটি সমস্যা। এর কারণে দুর্ঘটনার একটা ঝুঁকি থাকে। কদিন ধরে নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। আমরা সবখানে বলে দিয়েছি সাদা আলোর ওপরের অংশে কালি দেওয়া হয় কি না তা নিয়মিত চেক করতে। যদি তা না করা হয়, তাহলে মামলা দিয়ে জরিমানা করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪