Ajker Patrika

বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দুই কিশোরী

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৬
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই কিশোরী। গত মঙ্গলবার মেরুং ইউপির জামতলী বাঙালিপাড়ায় স্কুলছাত্রী ও গত শুক্রবার বেলছড়ি এলাকায় কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফার উদ্যোগ ও মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকীর তৎপরতায় রক্ষা পায় কিশোরীরা।

গত মঙ্গলবার উপজেলার মেরুং ইউপি জামতলী বাঙালিপাড়া এলাকায় হাচিনসনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজনের খবর পান ইউএনও। এ সময় মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকীকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি। ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, ‘ইউএনও বাল্যবিবাহের বিষয়টি অবগত করলে মেয়ের পরিবারকে বুঝিয়ে আয়োজন বন্ধ করতে সক্ষম হই।’

এদিকে গত শুক্রবার একই ইউপির বেলছড়ি এলাকার মো. আব্দুল জলিলের কিশোরী মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার খবর পান ইউএনও। পরে মেরুং ইউপির চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করা হয়। তবে কিশোরীর পরিবার বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় গোপনে বিয়ের আয়োজন করলে অভিযান চালিয়ে তা করেন ইউএনও। কিশোরী বাবা ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

দীঘিনালা ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন সোচ্চার। উপজেলার ৫টি ইউপির প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে টিম সচেতনতায় কাজ করছে। কোথায় বাল্য বিবাহ হলে তথ্য আমরা পাই। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলায় বাল্য বিবাহ সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত