Ajker Patrika

সেতুর জন্য অপেক্ষা ফুরোচ্ছে

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ২৬
সেতুর জন্য অপেক্ষা ফুরোচ্ছে

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চার গ্রামের মানুষকে। দীর্ঘদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হচ্ছে তাঁদের। জয়চণ্ডী ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত গুগালীছড়া নদীতে একটি সেতুর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এত দিন সেই দাবি শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ ছিল। অবশেষে ওই এলাকায় একটি সেতু হচ্ছে। সম্প্রতি অনুমোদন মিলেছে। শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গুগালীছড়া নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে গত বছর চাহিদা দেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। সম্প্রতি আবুতালিবপুর-মিঠুপুর এলাকায় গুগালীছড়া নদীর ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি সেতুর অনুমোদন দেয়। ইতিমধ্যে সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

সেতুর অভাবে দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আহমদ, দেওয়ান খাঁ, রজব আলী, নিয়াজ আহমদ, আতাউর রহমান, ইমরান হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই মিঠুপুর, আবুতালিবপুর, বেগমানপুর ও নুরপুর এলাকার বাসিন্দারা গুগালীছড়া নদীর ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু ৫০ বছর ধরে সে দাবি শুধু আশ্বাসেই রয়ে গেছে। সেতু না থাকায় কেউ অসুস্থ হলেও অ্যাম্বুলেন্স এবং গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। গত্যন্তর না থাকায় দুর্ভোগ সয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদী পারাপার হতে হয় তাঁদের। গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিপাকে। বয়স্কদের জন্য বাঁশের সাঁকো যেন মরণফাঁদ।

তাঁরা আরও বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নেমে বাঁশের সাঁকোটি একাধিকবার চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে সেটি মেরামত করে থাকেন। এভাবেই দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

অবশেষে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সেতুটি নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলেন তাঁরা।

সার্বিক বিষয়ে কুলাউড়া ইউএনও এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘একটি সেতুর অভাবে জয়চণ্ডীর ৪টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা জানতে পারি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় একটি পাকা সেতুর চাহিদা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে একটি পাকা সেতু ওই এলাকায় নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছি। শিগগিরই সেতুর কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত