আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
মাছের আকার দেখলে ভিরমি খেতে হয়! স্থানীয় স্কুলমাঠে বসেছে মেলা। তারই এক পাশে সারি সারি মাছের দোকান। সেগুলোতে আছে বাগাড়, আইড়, বোয়াল, কাতল, পাঙাশ, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, চিতলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। নধর কান্তি সেসব মাছের ওজন ৫ থেকে ২০ কেজি বা তারও বেশি। কিনছেন কারা?
গল্পটি এখানেই অনন্য। এ মেলার মূল চরিত্র ‘জামাই’ সম্পর্কের মানুষটি। আর মূল আকর্ষণ, তাঁদের হাতে বিশাল বিশাল মাছ। মেলার সময় আশপাশের গ্রামগুলোতে মেয়ে আর জামাইকে দাওয়াত করে আনা হয়। জামাতারা মেলা থেকে বড় বড় মাছ কেনেন শ্বশুরবাড়ির জন্য। এটা এখানকার দীর্ঘদিনের প্রচলিত রীতি। এ কারণে মেলাটিকে ‘জামাই মেলা’ বলা হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জামাতাদের দেওয়া হয় গরু, মহিষ, আসবাব, স্বর্ণালংকার ইত্যাদির মতো উপহারসামগ্রী। যে জামাই যত বড় মাছ কিনবেন, তাঁর কদর তত বেশি, প্রচলিত প্রথা এমন না হলেও বড় মাছ কিনে জামাইদের বুকের ছাতি যে টান টান হয় না, তা নয়। তাতে ভালোবাসা বাড়ে, কদরও বাড়ে নিশ্চয়।
প্রচলিত গল্প আর কিংবদন্তির ওপর ভিত্তি করে ঘিওর এলাকার মানুষ মনে করেন, মেলাটির বয়স ৩০০ বছর বা তার বেশি। অনুষ্ঠিত হয় প্রতি দোলপূর্ণিমা তিথিতে। প্রাচীন এ মেলা এখন চলে দুই দিন। স্থানীয় স্কুলমাঠে এবারের মেলা বসেছে গতকাল মঙ্গলবার, শেষ হবে আজ। এর আয়োজক মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাঙ্গালা মুক্তা সংঘ। এটি স্থানীয়ভাবে বউ মেলা, বাঙ্গালা মেলা বা মাছের মেলা নামেও পরিচিত।
দুই দিনের এ মেলার দ্বিতীয় দিন বসে বউ মেলা। এদিন এলাকার নববধূ ও বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা নতুন বিবাহিত মেয়েরা মেলায় আসেন। সুদীর্ঘকালের চর্চায় এগুলো এখন ঘিওরের সংস্কৃতির অংশ। ডা. গণি-সাহেরা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলালচন্দ্র সরকার তেমনটিই মনে করেন। কথায় কথায় তিনি বললেন, এটি কেবল একটি মেলা নয়, সুদীর্ঘ ইতিহাস। বংশপরম্পরায় তা চলে আসছে। এ কথাই যেন প্রতিধ্বনিত হলো সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়ার কণ্ঠে। তিনি জানালেন, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে ১২ বছর আগে। নিয়ম করে প্রতিবছর তিনি মেলার সময় মেয়ে ও জামাতাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসেন, তাঁদের উপহার দেন। এ বছর তিনি উপহার হিসেবে কিনেছেন একটি গরু।
মেলায় স্ত্রী ও শ্যালিকাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন এলাকার প্রবীণ জামাতা আবদুস সাত্তার। প্রায় ৬০ বছর বয়সের সাত্তার জানালেন, তিনি ৪০ বছর আগে বিয়ে করেছেন বাঙ্গালা গ্রামে। তখন থেকে মেলায় আসছেন নিয়ম করে। ঐতিহ্যগতভাবে শুধু যে জামাইরা এ মেলায় আসেন, তা নয়। হারান পালের মতো মানুষেরাও এখানে পরম্পরার সাক্ষী। তাঁর বাবা ও দাদা এ মেলায় মাটির বাসনপত্রের ব্যবসা করেছেন এককালে। তৃতীয় প্রজন্মের হারান এখন আসেন মেলায়।
মাছের মতোই ঘিওরের এ জামাই মেলায় পাওয়া যায় বাঁশ-বেত-কাঠের আসবাব থেকে শুরু করে সংসারের যাবতীয় উপকরণ। আছে বছরান্তের গ্রামীণ বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, লোকসংগীতের আয়োজন, নানা ধরনের মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়দৌড়। এতে অংশ নেয় প্রায় অর্ধশত ঘোড়া। বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য থাকে পুরস্কার।
মাছের আকার দেখলে ভিরমি খেতে হয়! স্থানীয় স্কুলমাঠে বসেছে মেলা। তারই এক পাশে সারি সারি মাছের দোকান। সেগুলোতে আছে বাগাড়, আইড়, বোয়াল, কাতল, পাঙাশ, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, চিতলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। নধর কান্তি সেসব মাছের ওজন ৫ থেকে ২০ কেজি বা তারও বেশি। কিনছেন কারা?
গল্পটি এখানেই অনন্য। এ মেলার মূল চরিত্র ‘জামাই’ সম্পর্কের মানুষটি। আর মূল আকর্ষণ, তাঁদের হাতে বিশাল বিশাল মাছ। মেলার সময় আশপাশের গ্রামগুলোতে মেয়ে আর জামাইকে দাওয়াত করে আনা হয়। জামাতারা মেলা থেকে বড় বড় মাছ কেনেন শ্বশুরবাড়ির জন্য। এটা এখানকার দীর্ঘদিনের প্রচলিত রীতি। এ কারণে মেলাটিকে ‘জামাই মেলা’ বলা হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জামাতাদের দেওয়া হয় গরু, মহিষ, আসবাব, স্বর্ণালংকার ইত্যাদির মতো উপহারসামগ্রী। যে জামাই যত বড় মাছ কিনবেন, তাঁর কদর তত বেশি, প্রচলিত প্রথা এমন না হলেও বড় মাছ কিনে জামাইদের বুকের ছাতি যে টান টান হয় না, তা নয়। তাতে ভালোবাসা বাড়ে, কদরও বাড়ে নিশ্চয়।
প্রচলিত গল্প আর কিংবদন্তির ওপর ভিত্তি করে ঘিওর এলাকার মানুষ মনে করেন, মেলাটির বয়স ৩০০ বছর বা তার বেশি। অনুষ্ঠিত হয় প্রতি দোলপূর্ণিমা তিথিতে। প্রাচীন এ মেলা এখন চলে দুই দিন। স্থানীয় স্কুলমাঠে এবারের মেলা বসেছে গতকাল মঙ্গলবার, শেষ হবে আজ। এর আয়োজক মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাঙ্গালা মুক্তা সংঘ। এটি স্থানীয়ভাবে বউ মেলা, বাঙ্গালা মেলা বা মাছের মেলা নামেও পরিচিত।
দুই দিনের এ মেলার দ্বিতীয় দিন বসে বউ মেলা। এদিন এলাকার নববধূ ও বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা নতুন বিবাহিত মেয়েরা মেলায় আসেন। সুদীর্ঘকালের চর্চায় এগুলো এখন ঘিওরের সংস্কৃতির অংশ। ডা. গণি-সাহেরা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলালচন্দ্র সরকার তেমনটিই মনে করেন। কথায় কথায় তিনি বললেন, এটি কেবল একটি মেলা নয়, সুদীর্ঘ ইতিহাস। বংশপরম্পরায় তা চলে আসছে। এ কথাই যেন প্রতিধ্বনিত হলো সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়ার কণ্ঠে। তিনি জানালেন, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে ১২ বছর আগে। নিয়ম করে প্রতিবছর তিনি মেলার সময় মেয়ে ও জামাতাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসেন, তাঁদের উপহার দেন। এ বছর তিনি উপহার হিসেবে কিনেছেন একটি গরু।
মেলায় স্ত্রী ও শ্যালিকাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন এলাকার প্রবীণ জামাতা আবদুস সাত্তার। প্রায় ৬০ বছর বয়সের সাত্তার জানালেন, তিনি ৪০ বছর আগে বিয়ে করেছেন বাঙ্গালা গ্রামে। তখন থেকে মেলায় আসছেন নিয়ম করে। ঐতিহ্যগতভাবে শুধু যে জামাইরা এ মেলায় আসেন, তা নয়। হারান পালের মতো মানুষেরাও এখানে পরম্পরার সাক্ষী। তাঁর বাবা ও দাদা এ মেলায় মাটির বাসনপত্রের ব্যবসা করেছেন এককালে। তৃতীয় প্রজন্মের হারান এখন আসেন মেলায়।
মাছের মতোই ঘিওরের এ জামাই মেলায় পাওয়া যায় বাঁশ-বেত-কাঠের আসবাব থেকে শুরু করে সংসারের যাবতীয় উপকরণ। আছে বছরান্তের গ্রামীণ বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, লোকসংগীতের আয়োজন, নানা ধরনের মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়দৌড়। এতে অংশ নেয় প্রায় অর্ধশত ঘোড়া। বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য থাকে পুরস্কার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪