মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মুহুরী সেচ প্রকল্পের ব্যস্ততম সড়কে গতিরোধক বসিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। সেই গতিরোধক পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মুহুরী সেচ প্রকল্পের পূর্ব পাশের গেট থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার পশ্চিমে সড়কে ১০ ইঞ্চি লোহার পাইপ বসানো হয়। তার ওপর সিমেন্টের উঁচু ঢালাই দিয়ে সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে বালু পার করা হচ্ছে। গত দুই মাস আগে এটি স্থাপন করা হয়।
উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখানে। পাশেই রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মৎস্য জোনের প্রায় ২ হাজার প্রকল্প। এখান থেকে প্রতি রাতে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাছ সরবরাহ করা হয়। এসব প্রকল্পে মাছের খাদ্য নিতে হয়। সেচ প্রকল্পে পর্যটকদের পদচারণা বাড়ছে। ব্যস্ততম এ সড়কে গতিরোধক স্থাপন করার কারণে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডে অভিযোগ করেছি। এলাকাবাসীকে বলেছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার কাছে এলে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। কিন্তু কেউ সাহস করে এগিয়ে আসছে না।’
এই স্থানে সর্বশেষ গত শুক্রবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। সোনাগাজী থানার ৮ নম্বর আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আজিজুল হক সেদিন দেশে ফেরেন। বিকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে এই স্থানে দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সড়কের ওপর বাঁধ দিয়ে বালু তোলা অন্যায় হচ্ছে বলে স্বীকার করেন বালু তোলার কাজে জড়িত সাঈদ খান দুখু। তিনি জানান, এ কাজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ওসমানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ, পারভেজ, মোর্শেদসহ কয়েকজন।
এ সড়কে চলাচলকারী পিকআপচালক কবির হোসেন জানান, সেচ প্রকল্পের সড়কে এভাবে উঁচু গতিরোধ দেওয়ার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাতের বেলা দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, এখানে বালু তোলার কোনো অনুমতি নেই। তা ছাড়া সেচ প্রকল্পের সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ গতিরোধক দেওয়া গুরুতর অপরাধ। শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরন্নবী বলেন, সেচ প্রকল্পের সড়কে এ ধরনের বাঁধ দিয়ে বালু তোলার কোনো অনুমতি নেই। তা ছাড়া সেচ প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে হলেও সড়কটি সওজের তত্ত্বাবধানে। এভাবে সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ গতিরোধক স্থাপন করে বালু তুলে মানুষের জীবন বিপন্ন করা হলে তা সওজের দেখা উচিত।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) ফেনী অঞ্চলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, সড়কের ওপর গতিরোধক বসিয়ে পাইপের ওপর উঁচু ঢালাই দিয়ে বালু তোলার অনুমতি কে দিল?
তবে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে সওজের সড়কে কার্পেটিং করার একটি অস্থায়ী চুক্তি হয়েছে। আমরা সেটা করেছি। সড়কের মূল স্ট্রাকচার এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। এ বিষয়ে তাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মুহুরী সেচ প্রকল্পের ব্যস্ততম সড়কে গতিরোধক বসিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। সেই গতিরোধক পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মুহুরী সেচ প্রকল্পের পূর্ব পাশের গেট থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার পশ্চিমে সড়কে ১০ ইঞ্চি লোহার পাইপ বসানো হয়। তার ওপর সিমেন্টের উঁচু ঢালাই দিয়ে সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে বালু পার করা হচ্ছে। গত দুই মাস আগে এটি স্থাপন করা হয়।
উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখানে। পাশেই রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মৎস্য জোনের প্রায় ২ হাজার প্রকল্প। এখান থেকে প্রতি রাতে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাছ সরবরাহ করা হয়। এসব প্রকল্পে মাছের খাদ্য নিতে হয়। সেচ প্রকল্পে পর্যটকদের পদচারণা বাড়ছে। ব্যস্ততম এ সড়কে গতিরোধক স্থাপন করার কারণে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডে অভিযোগ করেছি। এলাকাবাসীকে বলেছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার কাছে এলে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। কিন্তু কেউ সাহস করে এগিয়ে আসছে না।’
এই স্থানে সর্বশেষ গত শুক্রবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। সোনাগাজী থানার ৮ নম্বর আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আজিজুল হক সেদিন দেশে ফেরেন। বিকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে এই স্থানে দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সড়কের ওপর বাঁধ দিয়ে বালু তোলা অন্যায় হচ্ছে বলে স্বীকার করেন বালু তোলার কাজে জড়িত সাঈদ খান দুখু। তিনি জানান, এ কাজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ওসমানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ, পারভেজ, মোর্শেদসহ কয়েকজন।
এ সড়কে চলাচলকারী পিকআপচালক কবির হোসেন জানান, সেচ প্রকল্পের সড়কে এভাবে উঁচু গতিরোধ দেওয়ার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাতের বেলা দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, এখানে বালু তোলার কোনো অনুমতি নেই। তা ছাড়া সেচ প্রকল্পের সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ গতিরোধক দেওয়া গুরুতর অপরাধ। শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরন্নবী বলেন, সেচ প্রকল্পের সড়কে এ ধরনের বাঁধ দিয়ে বালু তোলার কোনো অনুমতি নেই। তা ছাড়া সেচ প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে হলেও সড়কটি সওজের তত্ত্বাবধানে। এভাবে সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ গতিরোধক স্থাপন করে বালু তুলে মানুষের জীবন বিপন্ন করা হলে তা সওজের দেখা উচিত।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) ফেনী অঞ্চলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, সড়কের ওপর গতিরোধক বসিয়ে পাইপের ওপর উঁচু ঢালাই দিয়ে বালু তোলার অনুমতি কে দিল?
তবে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে সওজের সড়কে কার্পেটিং করার একটি অস্থায়ী চুক্তি হয়েছে। আমরা সেটা করেছি। সড়কের মূল স্ট্রাকচার এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। এ বিষয়ে তাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪