সম্পাদকীয়
শিরোনাম দেখে কেউ ভাবতে পারেন, এ আবার কেমন কথা! আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও গরু কেনাবেচার ব্যবসা করেন বলে শোনা যায়নি। নেতাদের গরুর খামার আছে বলেও কোনো খবর বের হয়নি। তাহলে সম্পাদকীয়র শিরোনাম ‘নেতাদের গরু হারিয়েছে’ কেন?
লোকপ্রিয় কৌতুকটি শুনেছেন তো? সেই যে একবার গোপালের একটি গরু হারিয়ে গিয়েছিল। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ্দুরে মাঠঘাট, বনবাদাড়ে ‘গরুখোঁজা’ খুঁজে বিফল মনোরথ হয়ে বিকেলে নিজের বাড়ির দাওয়ায় ধপাস করে বসে ছেলেকে ডেকে বলল, ‘ও ভাই, জলদি এক ঘটি জল আন, তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে।’ গোপাল হা-হুতাশ করে বলতে থাকে, ‘ভাই রে! তেষ্টায় আর বুঝি বাঁচি না।’
ঘরে গোপালের কোনো ভাই ছিল না। একমাত্র ছেলে আর বউ নিয়ে তার সংসার। গোপালের স্ত্রী রান্নাঘর থেকে গোপালের কথা শুনে মুখ খিঁচিয়ে জবাব দিল, ‘মিনসের এতটা বয়স হলো, তবু যদি একটু কাণ্ডজ্ঞান থাকত! নিজের ছেলেকে ভাই বলে ডাকছে! ঘরে ছেলে ছাড়া আর কটা ভাই আছে গো তোমার?’
স্ত্রীর কথা শুনে গোপাল বলল, ‘সাধের গরু হারালে এমনই হয় মা!’ স্ত্রীকে মা বলায় এক হাত জিব বের করে স্ত্রী তেড়ে ওঠে, ‘মিনসের হলো কী গো আজ?’
হ্যাঁ, একসময় গরু ছিল কৃষকের বড় সম্পদ। সেই গরু হারিয়ে গেলে কৃষকের মাথা ঠিক থাকত না। গরু খুঁজে না পেলে ছেলেকে ভাই, স্ত্রীকে মা বলার মতো ঘটনা স্বাভাবিক ছিল।
সম্প্রতি আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা শুনে মনে হয়, তাঁদেরও বুঝি মাথা ঠিক নেই, তাঁদের গরু হারিয়েছে। হারানো গরু খুঁজে না পেয়ে তাই কাণ্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলছেন!
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো নিয়মতান্ত্রিক পথ নেই। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু বিরোধী দল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারপতনের গোঁ ধরে আছে। তারা আশা করছে, যেকোনো দিন দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়ে যাবে।
তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দলীয় কর্মীদের সাহস জোগানোর জন্য (নাকি নিজের বুকে জোর ফিরে পাওয়ার জন্য) বলেছেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে, আর কোনো চিন্তা নেই, এবার নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’ কিন্তু তাঁর এই ছেলেমানুষি বক্তব্য দলকে নতুন চাপে ফেলেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, কার সঙ্গে কে তলে তলে আপস করল? কিসের বিনিময়ে হলো এই আপস?
এটা ঠিক, রাজনীতিকে কেউ কেউ কৌশলের খেলা বলে থাকেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় থাকার জন্য গোপনে-প্রকাশ্যে নানা আপস-সমঝোতা কিংবা ছলাকলার আশ্রয় নেওয়া হয় না, তা নয়। তবে এসব গোপন কথা কেউ প্রকাশ্যে স্বীকার করেন না বা বলেন না। ওবায়দুল কাদের তলে তলে আপসের কথা বলে দেশের রাজনীতিতে যে সংকট চলছে, তা কমাতে না বাড়াতে ভূমিকা রাখলেন?
শিরোনাম দেখে কেউ ভাবতে পারেন, এ আবার কেমন কথা! আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও গরু কেনাবেচার ব্যবসা করেন বলে শোনা যায়নি। নেতাদের গরুর খামার আছে বলেও কোনো খবর বের হয়নি। তাহলে সম্পাদকীয়র শিরোনাম ‘নেতাদের গরু হারিয়েছে’ কেন?
লোকপ্রিয় কৌতুকটি শুনেছেন তো? সেই যে একবার গোপালের একটি গরু হারিয়ে গিয়েছিল। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ্দুরে মাঠঘাট, বনবাদাড়ে ‘গরুখোঁজা’ খুঁজে বিফল মনোরথ হয়ে বিকেলে নিজের বাড়ির দাওয়ায় ধপাস করে বসে ছেলেকে ডেকে বলল, ‘ও ভাই, জলদি এক ঘটি জল আন, তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে।’ গোপাল হা-হুতাশ করে বলতে থাকে, ‘ভাই রে! তেষ্টায় আর বুঝি বাঁচি না।’
ঘরে গোপালের কোনো ভাই ছিল না। একমাত্র ছেলে আর বউ নিয়ে তার সংসার। গোপালের স্ত্রী রান্নাঘর থেকে গোপালের কথা শুনে মুখ খিঁচিয়ে জবাব দিল, ‘মিনসের এতটা বয়স হলো, তবু যদি একটু কাণ্ডজ্ঞান থাকত! নিজের ছেলেকে ভাই বলে ডাকছে! ঘরে ছেলে ছাড়া আর কটা ভাই আছে গো তোমার?’
স্ত্রীর কথা শুনে গোপাল বলল, ‘সাধের গরু হারালে এমনই হয় মা!’ স্ত্রীকে মা বলায় এক হাত জিব বের করে স্ত্রী তেড়ে ওঠে, ‘মিনসের হলো কী গো আজ?’
হ্যাঁ, একসময় গরু ছিল কৃষকের বড় সম্পদ। সেই গরু হারিয়ে গেলে কৃষকের মাথা ঠিক থাকত না। গরু খুঁজে না পেলে ছেলেকে ভাই, স্ত্রীকে মা বলার মতো ঘটনা স্বাভাবিক ছিল।
সম্প্রতি আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা শুনে মনে হয়, তাঁদেরও বুঝি মাথা ঠিক নেই, তাঁদের গরু হারিয়েছে। হারানো গরু খুঁজে না পেয়ে তাই কাণ্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলছেন!
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের আর কোনো নিয়মতান্ত্রিক পথ নেই। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু বিরোধী দল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারপতনের গোঁ ধরে আছে। তারা আশা করছে, যেকোনো দিন দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়ে যাবে।
তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দলীয় কর্মীদের সাহস জোগানোর জন্য (নাকি নিজের বুকে জোর ফিরে পাওয়ার জন্য) বলেছেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে, আর কোনো চিন্তা নেই, এবার নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’ কিন্তু তাঁর এই ছেলেমানুষি বক্তব্য দলকে নতুন চাপে ফেলেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, কার সঙ্গে কে তলে তলে আপস করল? কিসের বিনিময়ে হলো এই আপস?
এটা ঠিক, রাজনীতিকে কেউ কেউ কৌশলের খেলা বলে থাকেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় থাকার জন্য গোপনে-প্রকাশ্যে নানা আপস-সমঝোতা কিংবা ছলাকলার আশ্রয় নেওয়া হয় না, তা নয়। তবে এসব গোপন কথা কেউ প্রকাশ্যে স্বীকার করেন না বা বলেন না। ওবায়দুল কাদের তলে তলে আপসের কথা বলে দেশের রাজনীতিতে যে সংকট চলছে, তা কমাতে না বাড়াতে ভূমিকা রাখলেন?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫