সম্পাদকীয়
আমরা স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্ণ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা করতে পারিনি। আইন না থাকায় এটা করা সম্ভব হয়নি। প্রায় এক দশক আগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি জোরালো হয়েছিল। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অনেক পরে রাজাকারদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করে। এতে নানা ভুল ও অসংগতি থাকায় পরে তালিকাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের আগস্ট মাসে আইন সংশোধন করে এই তালিকা তৈরির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা)। কিন্তু প্রায় দেড় বছর আগে সংশোধিত আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পরও তালিকাটি তারা করতে পারেনি। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় শনিবার ‘রাজাকার-আলবদরদের তালিকা: আশ্বাস আর কমিটিতেই ঘুরপাক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের নেতৃত্বে একটি উপকমিটি গঠন করা হয় ওই বছরের ৯ আগস্ট। কমিটি কার্যকর না হওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিলে আগের উপকমিটি বাতিল করে আবার নতুন উপকমিটি গঠন করা হয়। সেই সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী (২০২৩ সাল) ২৬ মার্চ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই সময়সীমাও পার হয়ে গেছে আট মাস আগে। কিন্তু তালিকা আর পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন হচ্ছে, আইনে রাজাকারদের কীভাবে চিহ্নিত করা হবে? মাঠপর্যায়ে কারা তাদের চিহ্নিত করবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। প্রকৃত রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হলে মাঠপর্যায়ে ব্যাপক গবেষণা করতে হবে। এই কাজগুলো কারা করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে। রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন করতে হলে মাঠপর্যায়ে সৎ, নিরপেক্ষ ও নিবেদিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া জরুরি।
জামুকা কেন এখন পর্যন্ত তালিকা করতে পারল না, সেই জবাবদিহিও তাদের করতে হবে। সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন হওয়ার পরই আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, একাত্তরের রাজাকার-আলবদরসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা করা হবে। আরেকটি নির্বাচন চলে এল। অথচ মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার দলটি কেন তালিকাটি করতে পারল না?
সরকারের উচিত ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত কমিটি করে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা। এই কমিটির সদস্যরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবেন। আর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে তালিকাটা করা হবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ কাজে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষকদেরও যুক্ত করা যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যেমন দরকার, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদেরও তালিকা থাকা জরুরি।
আমরা স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্ণ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা করতে পারিনি। আইন না থাকায় এটা করা সম্ভব হয়নি। প্রায় এক দশক আগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি জোরালো হয়েছিল। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অনেক পরে রাজাকারদের তালিকা করার উদ্যোগ নেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করে। এতে নানা ভুল ও অসংগতি থাকায় পরে তালিকাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের আগস্ট মাসে আইন সংশোধন করে এই তালিকা তৈরির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা)। কিন্তু প্রায় দেড় বছর আগে সংশোধিত আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পরও তালিকাটি তারা করতে পারেনি। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় শনিবার ‘রাজাকার-আলবদরদের তালিকা: আশ্বাস আর কমিটিতেই ঘুরপাক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের নেতৃত্বে একটি উপকমিটি গঠন করা হয় ওই বছরের ৯ আগস্ট। কমিটি কার্যকর না হওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিলে আগের উপকমিটি বাতিল করে আবার নতুন উপকমিটি গঠন করা হয়। সেই সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী (২০২৩ সাল) ২৬ মার্চ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই সময়সীমাও পার হয়ে গেছে আট মাস আগে। কিন্তু তালিকা আর পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন হচ্ছে, আইনে রাজাকারদের কীভাবে চিহ্নিত করা হবে? মাঠপর্যায়ে কারা তাদের চিহ্নিত করবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। প্রকৃত রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হলে মাঠপর্যায়ে ব্যাপক গবেষণা করতে হবে। এই কাজগুলো কারা করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে। রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন করতে হলে মাঠপর্যায়ে সৎ, নিরপেক্ষ ও নিবেদিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া জরুরি।
জামুকা কেন এখন পর্যন্ত তালিকা করতে পারল না, সেই জবাবদিহিও তাদের করতে হবে। সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন হওয়ার পরই আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, একাত্তরের রাজাকার-আলবদরসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা করা হবে। আরেকটি নির্বাচন চলে এল। অথচ মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার দলটি কেন তালিকাটি করতে পারল না?
সরকারের উচিত ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত কমিটি করে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করা। এই কমিটির সদস্যরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করবেন। আর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে তালিকাটা করা হবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ কাজে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষকদেরও যুক্ত করা যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যেমন দরকার, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদেরও তালিকা থাকা জরুরি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪