বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় স্কুলশিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল রোববার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে প্রায় আড়াইহাজার শিক্ষার্থীকে বরগুনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে টিকা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বলেন, সংক্রমণ বাড়ার মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে টিকাদান কার্যক্রম স্বাস্থ্য বিভাগের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানের জন্য সদর উপজেলার ৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৭টি মাদ্রাসা ও ১১টি কারিগরি স্কুলের মোট ২৭ হাজার শিক্ষার্থীকে ডিসেম্বর মাসে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাস শেষ হওয়ায় তাঁদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আওতায় গত শনিবার থেকে বরগুনা সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত শনিবার বরগুনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। ধারাবাহিকতায় রোববার সমসংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়।
জানা গেছে, গতকাল সকাল ৭টা থেকে বরগুনা জিলা স্কুল টিকা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়ে। পাঁচটি দীর্ঘ সারিতে গাদাগাদি করে দাঁড় করিয়ে সকাল ৮টা থেকে জিলা স্কুলের দোতলায় একটি বুথে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। বেলা ১টা নাগাদ ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ সময় দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।
সারিতে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অনেকে সকালে না খেয়ে এসে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কড়ইতলা সোনাখালী গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে যেভাবে আমাদের টিকাদান চলছে, এতে সুরক্ষার চেয়ে বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দিয়েছি। স্বাস্থ্য বিভাগ বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকাগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করলে এমন অবস্থা হতো না।’
টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘জিলা স্কুল টিকাকেন্দ্রের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছি। আসলে একসঙ্গে এত শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মানিয়ে টিকাকেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এনামুল কবির বলেন, ‘পর্যাপ্ত বুথ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমাদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আরও কয়েকটি বুথ থাকলে সহজে এবং দ্রুততম সময়ে টিকা দেওয়া যেত।’
বরগুনা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আসলে প্রথম ডোজ টিকার এক মাস পার হওয়ায় দ্বিতীয় ডোজ নিতে শিক্ষার্থীদের আসতে বলেছি। প্রথম ডোজের ধারাবাহিকতায় ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছে, তাদেরকেই পর্যায়ক্রমে ২২ জানুয়ারি থেকে আসতে বলা হয়েছে। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি জারি করায় সেটা মানার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছি। তবে পরে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে টিকা দেওয়া হবে।’
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘বরগুনা জিলা স্কুলে একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থাকায় ফাইজারের টিকা শিক্ষার্থীদের আলাদা কেন্দ্র স্থাপন করা যাচ্ছে না এ মুহূর্তে। সরেজমিন ঘুরে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
বরগুনায় স্কুলশিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল রোববার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে প্রায় আড়াইহাজার শিক্ষার্থীকে বরগুনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে টিকা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বলেন, সংক্রমণ বাড়ার মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে টিকাদান কার্যক্রম স্বাস্থ্য বিভাগের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানের জন্য সদর উপজেলার ৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৭টি মাদ্রাসা ও ১১টি কারিগরি স্কুলের মোট ২৭ হাজার শিক্ষার্থীকে ডিসেম্বর মাসে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাস শেষ হওয়ায় তাঁদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আওতায় গত শনিবার থেকে বরগুনা সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত শনিবার বরগুনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। ধারাবাহিকতায় রোববার সমসংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়।
জানা গেছে, গতকাল সকাল ৭টা থেকে বরগুনা জিলা স্কুল টিকা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়ে। পাঁচটি দীর্ঘ সারিতে গাদাগাদি করে দাঁড় করিয়ে সকাল ৮টা থেকে জিলা স্কুলের দোতলায় একটি বুথে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। বেলা ১টা নাগাদ ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ সময় দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।
সারিতে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অনেকে সকালে না খেয়ে এসে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কড়ইতলা সোনাখালী গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে যেভাবে আমাদের টিকাদান চলছে, এতে সুরক্ষার চেয়ে বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দিয়েছি। স্বাস্থ্য বিভাগ বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকাগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করলে এমন অবস্থা হতো না।’
টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘জিলা স্কুল টিকাকেন্দ্রের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছি। আসলে একসঙ্গে এত শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মানিয়ে টিকাকেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এনামুল কবির বলেন, ‘পর্যাপ্ত বুথ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমাদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আরও কয়েকটি বুথ থাকলে সহজে এবং দ্রুততম সময়ে টিকা দেওয়া যেত।’
বরগুনা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আসলে প্রথম ডোজ টিকার এক মাস পার হওয়ায় দ্বিতীয় ডোজ নিতে শিক্ষার্থীদের আসতে বলেছি। প্রথম ডোজের ধারাবাহিকতায় ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছে, তাদেরকেই পর্যায়ক্রমে ২২ জানুয়ারি থেকে আসতে বলা হয়েছে। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি জারি করায় সেটা মানার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছি। তবে পরে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে টিকা দেওয়া হবে।’
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘বরগুনা জিলা স্কুলে একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থাকায় ফাইজারের টিকা শিক্ষার্থীদের আলাদা কেন্দ্র স্থাপন করা যাচ্ছে না এ মুহূর্তে। সরেজমিন ঘুরে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫