Ajker Patrika

নামাজের ওয়াজিবগুলো

মুফতি আবু দারদা
নামাজের ওয়াজিবগুলো

ওয়াজিব শব্দের অর্থ আবশ্যক। নামাজের যেসব বিধান পালন করা আবশ্যক, তবে ফরজের নিচের স্তরে, সেগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ওয়াজিব বলা হয়। নামাজের ওয়াজিব ১৪টি।যথা—

প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়া।(বুখারি: ৭৫৬)

২. প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা। (বুখারি: ৭৭৬)

৩. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতকে কিরাতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (বুখারি: ৭৭৬)

৪. সুরা ফাতিহা অন্য সুরার আগে পড়া। (বুখারি: ৭৪৩)

৫. নামাজের সব রুকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা। (বুখারি: ৭৯৩)

৬. প্রথম বৈঠক করা। তিন অথবা চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের দুই রাকাতের পর বসা। বুখারি: ৮২৮)

৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া। (বুখারি: ৮৩০-৮৩১)

৮. প্রতি রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলোর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা। (বুখারি: ৬২৫১)

৯. ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার পরপর করা। (বুখারি: ৬২৫১)

১০. বিতর নামাজে তৃতীয় রাকাতে কিরাতের পর কোনো দোয়া পড়া। অবশ্য দোয়া কুনুত পড়লে ওয়াজিবের সঙ্গে সুন্নতও আদায় হয়ে যাবে। (বুখারি: ১০০২)

১১. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা। (আবু দাউদ: ১১৫৩)

১২. দুই ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলার পর রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবির বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ: ৫৭০৭)

১৩. ইমামের জন্য জোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাত আস্তে পড়া। আর ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, দুই ঈদ, তারাবিহ ও রমজান মাসের বিতর নামাজে কিরাত শব্দ করে পড়া। (মুসলিম: ২৫৯; তিরমিজি ১/১০৬)।

১৪. সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (বুখারি: ৮৩৭)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত