Ajker Patrika

সেন্ট লুসিয়ায় কি মিলবে ‘রোগ’ সারানোর ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১১: ২৬
সেন্ট লুসিয়ায়  কি মিলবে ‘রোগ’ সারানোর ওষুধ

৬/১০৯, ৬/৪৫, ৫/৫৩,৫/২৪—টেস্টে বাংলাদেশের সর্বশেষ চার ইনিংসের এই করুণ ছবি ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতা বোঝাতে যথেষ্ট। ইনিংসের শুরুর বিপর্যয় বেশির ভাগ টেস্টেই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে সাফল্যের খুব কাছ থেকে। প্রতিটি ইনিংসই যেন ঘুরেফিরে বিপর্যয়ের ‘হাইলাইটস’। মিরপুর থেকে অ্যান্টিগা—জায়গা বদলালেও বদলায়নি চিত্র।

বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট থেকেই ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ধবলধোলাই ও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হারের দায়টাও ব্যাটারদেরই।

টানা কয়েক ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটারদের শূন্য রানে ফেরার মিছিলও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনার বড় কারণ। শূন্য রানে ফেরার বিব্রতকর রেকর্ডেও স্থান করে নিয়েছেন মুমিনুল হক-মাহমুদুল হাসান জয়রা।

ইনিংসের শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারলে লাল বলের সংস্করণে দারুণ সাফল্য পেতে পারত বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই সেটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অথচ ম্যাচের পর ম্যাচ খেলেও একই ভুল বারবার করছেন ব্যাটাররা। বিসিবির কাছেও যেন এ রোগ সারানোর ওষুধ নেই। এখন সেন্ট লুসিয়ায় কি মিলবে এই রোগের ওষুধ?

ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে আজ সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট শুরুর আগে সেই উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ‘সবাই যার যার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা করেছে। কীভাবে ওদের পেস আক্রমণের বিপক্ষে ভালো করতে পারি, নিজেদের শক্তির জায়গা অনুযায়ী কীভাবে খেলা সম্ভব, সেই আলোচনা করেছি।’

আট বছর আগে এ মাঠেই নিজের শেষ টেস্ট খেলেছেন বিজয়। ২০১৪ সালের সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন ডাক মেরে। এরপর লম্বা সময় ক্রিকেট-আভিজাত্যের সংস্করণ থেকে বাইরে ছিলেন বিজয়।

এবার আবারও টেস্ট দলে ফেরায় রোমাঞ্চিত এই ওপেনার। সেন্ট লুসিয়া দিয়েই আবার বাংলাদেশ দলে প্রত্যাবর্তন হবে কি বিজয়ের? সাকিব দিয়েছেন সোজা-সাপ্টা জবাব, ‘আমাদেরও মাথায় বেশ কিছু চিন্তা আছে। আজকের (কালকের) অনুশীলন শেষ হলে আমরা বসব। এরপর একটা মিটিং করে সবাইকে জানিয়ে দেব কারা খেলছে, কারা খেলছে না।’

সাকিবের মতে, কঠিন কন্ডিশন মানিয়ে নিতে না পারায় বার বার এমন ব্যাটিং ধসের কারণ, ‘সর্বশেষ তিন টেস্ট যদি দেখেন, তাহলে বলতে পারেন (পেসারদের সামলাতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা)। কিন্তু তার আগের তিন টেস্ট দেখলে বলবেন স্পিন। সুতরাং কঠিন কন্ডিশনে আমরা কখনোই টিকতে পারিনি। সেটা পেস হোক কিংবা স্পিন। এই টেস্ট (আমাদের ব্যর্থতা ঘোচানোর) সুযোগ, বড় চ্যালেঞ্জও।’

সেন্ট লুসিয়ায় উইকেট স্কিডি ও বাউন্সিই হতে যাচ্ছে। ২২ গজে প্রাণবন্ত ঘাসও দেখা গেছে। পিচ নিয়ে সাকিবের পর্যবেক্ষণ, ‘এমন উইকেটে স্বাভাবিকভাবে রান বেশি হয়। খেলাটাও দ্রুত হয়। তাড়াতাড়ি রানের সম্ভাবনা থাকে। অনুভূমিক খারাপ শটগুলো বেশি কাজে আসে। আমাদের পেস ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

তবে পিচ নিয়ে উইন্ডিজ দলের অভিজ্ঞ পেসার কিমার রোচের ধারণা একদমই ভিন্ন, ‘এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা উইকেট। এখানে পেসারদের জন্য অনেক রসদ আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত