আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী
রড, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন নরসিংদীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারেরা। ঠিকাদারেরা বলছেন, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অবকাঠামোর উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন তাঁরা। তাই চলমান কাজে ৪০ ভাগ ভর্তুকিসহ বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী সরকারি সংস্থার রেট শিডিউল হালনাগাদ করার দাবি তাঁদের।
ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের মতো নরসিংদীতেও বেড়েছে রড, সিমেন্ট, পাথর, ইট, বিটুমিনসহ সব নির্মাণসামগ্রীর দাম। কিন্তু বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো স্থাপনা, সড়ক, সেতুসহ উন্নয়নকাজের দরপত্র হালনাগাদ করা হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা পরিষদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লাইসেন্সধারী ঠিকাদাররা পুরোনো দরে পাওয়া কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া ভ্যাট, ট্যাক্সসহ অন্যান্য বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদারেরা লোকসানের মুখে পড়ছেন।
বিশেষ করে সড়ক, সেতু, বিল্ডিংসহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারেরা কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এতে নতুন করে কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকছেন অনেক ঠিকাদার। ফলে এসব কাজ বাস্তবায়নের জন্য পুন: দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে। দ্রুত নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য সমন্বয় করা না হলে সরকারের উন্নয়নকাজ স্থবির হয়ে পড়াসহ শতাধিক ঠিকাদারকে লোকসান গুনতে হবে।
জেলাজুড়ে চলমান উন্নয়নকাজগুলোতে ৪০ ভাগ ভর্তুকি প্রদানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার রেট শিডিউল দ্রুত হালনাগাদ করার দাবি জেলার ঠিকাদারদের।
প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফারুক ট্রেডার্সের মালিক ফারুক সরকার বলেন, দেড় বছর ধরে রড, সিমেন্ট, বিটুমিন, পাথরসহ সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ছিল। গত ৬ মাসে এটা নির্মাণ সামগ্রীর দাম এত বেড়েছে, যা আমরা ভাবতেও পারছি না। দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা বিপাকে আছি। এরপরও সরকারি দপ্তরের চাপ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু দাম বাড়তির বিষয়ে কোনো ভর্তুকির আশ্বাস দিচ্ছেন না।’
অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শান্তা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. খোকন ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার পর প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় লোকসানের মুখেও সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এভাবে আর কত দিন কাজ চালাতে পারব। করোনার আগে টেন্ডার নেওয়ার সময় নির্মাণ সামগ্রীর দাম কম ছিল। পরে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে সকল প্রকার কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপর আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে গিয়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির মুখে পড়েছি। এ ছাড়া শ্রমিক মজুরিসহ অন্যান্য খরচও বাড়তি।’
মোল্লা ট্রেডার্সের মালিক রিপন মোল্লা বলেন, তারকাটা থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। একদিকে উপকরণের বাড়তি দাম, অপরদিকে ভ্যাট ট্যাক্সের চাপ। সব সামাল দিতে গিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক ঠিকাদার নতুন করে কাজ নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। দাম সমন্বয় না করা হলে উন্নয়নকাজ ব্যাহত হবে। দাম সমন্বয় করার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন জেলার ঠিকাদাররা।
যোগাযোগ করা হলে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকাদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবুও তারা সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঠিকাদারেরা স্মারকলিপির মাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রড, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন নরসিংদীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারেরা। ঠিকাদারেরা বলছেন, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অবকাঠামোর উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন তাঁরা। তাই চলমান কাজে ৪০ ভাগ ভর্তুকিসহ বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী সরকারি সংস্থার রেট শিডিউল হালনাগাদ করার দাবি তাঁদের।
ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের মতো নরসিংদীতেও বেড়েছে রড, সিমেন্ট, পাথর, ইট, বিটুমিনসহ সব নির্মাণসামগ্রীর দাম। কিন্তু বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো স্থাপনা, সড়ক, সেতুসহ উন্নয়নকাজের দরপত্র হালনাগাদ করা হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা পরিষদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লাইসেন্সধারী ঠিকাদাররা পুরোনো দরে পাওয়া কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া ভ্যাট, ট্যাক্সসহ অন্যান্য বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদারেরা লোকসানের মুখে পড়ছেন।
বিশেষ করে সড়ক, সেতু, বিল্ডিংসহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারেরা কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এতে নতুন করে কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকছেন অনেক ঠিকাদার। ফলে এসব কাজ বাস্তবায়নের জন্য পুন: দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে। দ্রুত নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য সমন্বয় করা না হলে সরকারের উন্নয়নকাজ স্থবির হয়ে পড়াসহ শতাধিক ঠিকাদারকে লোকসান গুনতে হবে।
জেলাজুড়ে চলমান উন্নয়নকাজগুলোতে ৪০ ভাগ ভর্তুকি প্রদানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার রেট শিডিউল দ্রুত হালনাগাদ করার দাবি জেলার ঠিকাদারদের।
প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফারুক ট্রেডার্সের মালিক ফারুক সরকার বলেন, দেড় বছর ধরে রড, সিমেন্ট, বিটুমিন, পাথরসহ সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ছিল। গত ৬ মাসে এটা নির্মাণ সামগ্রীর দাম এত বেড়েছে, যা আমরা ভাবতেও পারছি না। দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা বিপাকে আছি। এরপরও সরকারি দপ্তরের চাপ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু দাম বাড়তির বিষয়ে কোনো ভর্তুকির আশ্বাস দিচ্ছেন না।’
অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শান্তা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. খোকন ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার পর প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় লোকসানের মুখেও সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এভাবে আর কত দিন কাজ চালাতে পারব। করোনার আগে টেন্ডার নেওয়ার সময় নির্মাণ সামগ্রীর দাম কম ছিল। পরে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে সকল প্রকার কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপর আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে গিয়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির মুখে পড়েছি। এ ছাড়া শ্রমিক মজুরিসহ অন্যান্য খরচও বাড়তি।’
মোল্লা ট্রেডার্সের মালিক রিপন মোল্লা বলেন, তারকাটা থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। একদিকে উপকরণের বাড়তি দাম, অপরদিকে ভ্যাট ট্যাক্সের চাপ। সব সামাল দিতে গিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক ঠিকাদার নতুন করে কাজ নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। দাম সমন্বয় না করা হলে উন্নয়নকাজ ব্যাহত হবে। দাম সমন্বয় করার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন জেলার ঠিকাদাররা।
যোগাযোগ করা হলে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকাদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবুও তারা সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঠিকাদারেরা স্মারকলিপির মাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫