Ajker Patrika

পুঠিয়ায় জন্মসনদ সংশোধনে বিড়ম্বনা

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০৬
পুঠিয়ায় জন্মসনদ সংশোধনে বিড়ম্বনা

ইসমতারা বেগম পুঠিয়া পৌরসভায় এসেছেন নিজের জন্মসনদ সংশোধন করতে। তাঁর দাবি, মেয়েকে ভর্তির সময় ডিজিটাল জন্ম সনদ প্রয়োজন পড়ছে। এর আগে মা-বাবার সনদ ডিজিটাল করাতে হচ্ছে। হাতে লেখা জন্মসনদ ডিজিটাল করাতে এসে তিনি পড়েছেন দুর্ভোগে। হাতে লেখা সনদে ইসমতারা বেগম লেখা রয়েছে। আর ডিজিটাল সনদে এসেছে ইসমত আরা বেগম। নামের বানানের এই ভুলের সংশোধনী করতে এক সপ্তাহ ধরে তিনি ঘুরছেন। শুধু ইসমতারা একা নন, তাঁর মতো হাজারো ভুক্তভোগী নামের বানান সংশোধন করতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘুরছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ডিসেম্বর শুরুর আগে নতুন জন্মসনদ-প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এর মধ্যে অধিকাংশ আসেন জন্মসনদ সংশোধন করাতে। নতুন জন্মসনদ ও সংশোধনীর জন্য বর্তমানে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদিন গড়ে ছয় শতাধিক আবেদন পড়ছে। তবে সার্ভার জটিলতার কারণে সময়মতো আবেদনগুলোর সুরাহা করা যাচ্ছে না। ফলে অনেকেই যথাসময়ে সনদ হাতে পাচ্ছেন না।

ভালুকগাছি ইউনিয়ন এলাকার কামাল হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, তাঁর পরিবারের এক সদস্যের জন্মসনদে নাম ভুল এসেছে। সেটি সংশোধন করাতে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরেছেন। সে সময় সরকার নির্ধারিত ফ্রি ও সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে ৫০০ টাকার মাধ্যমে সনদটি সংশোধন করিয়ে নেন তিনি।

তবে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকবির হাসান বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ করলে অবশ্যই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইউএনও নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস বলেন, ‘জন্মসনদের নাম সংশোধনের বিষয়ে তেমন কোনো জটিলতা নেই। জন্মতারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু যাচাই-বাছাই প্রয়োজন হয়। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা টাকা-পয়সা ছাড়া কাজ করছেন না, এমন অভিযোগ এখনো পাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত