Ajker Patrika

পটোল চাষে স্বাবলম্বী সুজাউল

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ২৭
Thumbnail image

নওগাঁর ধামইরহাটে পটোল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষক সুজাউল করিম (৬২)। তিনি উপজেলার উত্তর চকযদু ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেউটা এলাকার বাসিন্দা কৃষক সুজাউল করিম। তিনি প্রায় ৪৫ শতাংশ জমিতে পটোলের চাষ করেছেন। বাগানের তিন সারিতে রোপণ করা পটোলগাছের একদিকে ফুটেছে ফুল, অন্যদিকে দেখা মিলছে ছোট-বড় পটোল।

জানা গেছে, বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ মণ পটোল তিনি বাজারে বিক্রি করেন। এতে সপ্তাহে ভ্যানভাড়া, শ্রমিকসহ ৭০০ টাকা খরচ হয়। বছরের এপ্রিল আর মে মাসে ভালো ফলন ও দাম পাওয়া যায়। বাকি সাত মাস বাজারদর কম হলেও সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা মণ দরে পটোল বিক্রি করা হয়। বর্তমানে বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে প্রতি মণ পটোল ২ হাজার ৪০০ টাকায় কেনাবেচা হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন সুজাউল করিম।

কৃষক সুজাউল করিম বলেন, গত বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম দিকে তিনি পটোলের চারা রোপণ করেন। এরপর পরিচর্যার জন্য পানি, সার, সুতা, কীটনাশক, বাঁশের তৈরি মাচা ও শ্রমিকের খরচ বাবদ বছরে তাঁর ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় গত বছর এই বাগান থেকে পটোল বিক্রি করে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা আয় করেন।

কৃষক সুজাউল করিম আরও বলেন, ‘প্রথমে ফুলকপির চাষ করেছিলাম। কপি বছরে একবার ফলন হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ফসল হিসেবে পটোলকে বেছে নিই। দ্বিতীয় বছরে এসেও পটোলের ভালো দাম ও ভালো ফলন পাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি।’

প্রতিবেশী কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, সুজাউল করিমের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে এবার আমি ১৫ শতাংশ জমিতে পটোলগাছ লাগিয়েছি। আশা করছি ভালো ফলন পাব।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের জানান, পটোল অবশ্যই একটি লাভজনক ফসল। একজন কৃষক সঠিক নিয়মে পটোল চাষাবাদ করলে ৩৩ শতাংশ জমি থেকে বছরে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিট আয় করা সম্ভব। বাজারে পটোলের দামও থাকে ভালো। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন কৃষক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত