তানিম আহমেদ, ঢাকা ও দেলোয়ার হোসেন আকাইদ, কুমিল্লা
সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে গোমতিপারের কুমিল্লা এখন বেশ সরগরম। নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা হতে না হতেই নগরজুড়ে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যস্ত মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে।
কুসিক নির্বাচনে হারের বৃত্ত থেকে দলকে বেরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান অনেকেই। নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে তাঁরা এখন ব্যস্ত তদবিরে; ঘুরছেন নেতাদের দ্বারে দ্বারে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের পর কুমিল্লায়ও নির্বাচন বয়কটের ধারাবাহিকতা দল বজায় রাখতে পারে– এ আশঙ্কার মুখে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অনেকেই এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। প্রার্থিতা নিয়ে দলটি দুই শিবিরে বিভক্ত।
তদবিরে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
আগামী শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলটির প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ১০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, প্রয়াত দলীয় নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নূর-উর রহমান তানিম এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের কয়েকজন এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। প্রায় প্রতিদিনই দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। নেতাদের কাছে নিজ নিজ রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার গত রোববার আরফানুল হক রিফাতকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্যের কার্যালয়ে দেখা করেন। সেখানে ওই নেতাকে রিফাতের জীবনবৃত্তান্ত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কয়েক শ পৃষ্ঠার একটি বই দেন। এর আগে-পরে কুমিল্লার আরও দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেন। মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদী আরফানুল হক রিফাত।
নূর-উর রহমান তানিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন তাঁকে মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করা হবে। কেন্দ্রীয় ওই নেতা বলেন, বোর্ডের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে। যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
২০১১ সালের সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রবীণ নেতা আফজল খানকে পরাজিত করে মেয়র হন বিএনপি-সমর্থিত মনিরুল হক সাক্কু। ২০১৭ সালে আফজল খানের মেয়ে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হন সাক্কু।
তখন দলে অভিযোগ ছিল বাহাউদ্দিন বাহার বিরোধিতা করায় দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরেছেন। এবার তিনি রিফাতের জন্য কাজ করেছেন। রিফাত মনোনয়ন না পেলে আবারও আগের দুবারের মতো অবস্থা হতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন।
দলীয় কোন্দলে বিগত দুই নির্বাচনে দলের প্রার্থী হেরেছেন—এ অভিযোগ মানতে নারাজ বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, ‘কোন্দল-টোন্দল না। আগে মনোনয়ন ঠিক হয়নি বলে আমরা পাস করতে পারিনি।’ কুমিল্লার রাজনীতিতে বাহার আর আফজল খানের বৈরিতা মশহুর ছিল বলে জানান স্থানীয় অনেকে।
এবার ভোটের মাঠে দলের মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান। তিনি বলেন, গত দুবার যেসব ষড়যন্ত্রের কারণে পাস করতে পারেননি, এইবার সেগুলো কাজ করবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য, সৎ ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বিএনপি নেতাদের হাল
আওয়ামী লীগের অধীনে দল কোনো নির্বাচনে যাবে না—কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির স্থানীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রয়োজনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোটের তৎপরতা শুরু করেছেন স্থানীয় দুই নেতা। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মনিরুল হক সাক্কু এবং কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।
এদিকে কুমিল্লা মহানগর বিএনপিও দুই শিবিরে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতা বর্তমান মেয়র সাক্কু। তিনি নিজেই প্রার্থী। আরেক পক্ষে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। তাঁর প্রার্থী শ্যালক নিজাম উদ্দিন কায়সার। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে প্রভাব রয়েছে ইয়াসিনের। ঐকমত্য না হলে দুজনই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে পারেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
সাক্কুর দাবি, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। নগরবাসীই আমার মূল শক্তি। আমার সব গোছানো আছে।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
এদিকে কায়সার বললেন, তিনিও নেতা-কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তাঁর মতে, বর্তমান মেয়র বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে কটূক্তি করেছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতনসহ দলবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন। এতে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ কষ্ট পেয়েছে বলে তিনি প্রার্থী।
স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক প্রার্থী হলে বিএনপির কপাল পুড়তে পারে।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে গোমতিপারের কুমিল্লা এখন বেশ সরগরম। নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা হতে না হতেই নগরজুড়ে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যস্ত মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে।
কুসিক নির্বাচনে হারের বৃত্ত থেকে দলকে বেরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান অনেকেই। নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে তাঁরা এখন ব্যস্ত তদবিরে; ঘুরছেন নেতাদের দ্বারে দ্বারে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের পর কুমিল্লায়ও নির্বাচন বয়কটের ধারাবাহিকতা দল বজায় রাখতে পারে– এ আশঙ্কার মুখে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পাশ কাটিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অনেকেই এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। প্রার্থিতা নিয়ে দলটি দুই শিবিরে বিভক্ত।
তদবিরে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
আগামী শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলটির প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ১০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, প্রয়াত দলীয় নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নূর-উর রহমান তানিম এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের কয়েকজন এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। প্রায় প্রতিদিনই দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। নেতাদের কাছে নিজ নিজ রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার গত রোববার আরফানুল হক রিফাতকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্যের কার্যালয়ে দেখা করেন। সেখানে ওই নেতাকে রিফাতের জীবনবৃত্তান্ত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কয়েক শ পৃষ্ঠার একটি বই দেন। এর আগে-পরে কুমিল্লার আরও দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেন। মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদী আরফানুল হক রিফাত।
নূর-উর রহমান তানিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন তাঁকে মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করা হবে। কেন্দ্রীয় ওই নেতা বলেন, বোর্ডের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে। যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
২০১১ সালের সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রবীণ নেতা আফজল খানকে পরাজিত করে মেয়র হন বিএনপি-সমর্থিত মনিরুল হক সাক্কু। ২০১৭ সালে আফজল খানের মেয়ে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হন সাক্কু।
তখন দলে অভিযোগ ছিল বাহাউদ্দিন বাহার বিরোধিতা করায় দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরেছেন। এবার তিনি রিফাতের জন্য কাজ করেছেন। রিফাত মনোনয়ন না পেলে আবারও আগের দুবারের মতো অবস্থা হতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন।
দলীয় কোন্দলে বিগত দুই নির্বাচনে দলের প্রার্থী হেরেছেন—এ অভিযোগ মানতে নারাজ বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, ‘কোন্দল-টোন্দল না। আগে মনোনয়ন ঠিক হয়নি বলে আমরা পাস করতে পারিনি।’ কুমিল্লার রাজনীতিতে বাহার আর আফজল খানের বৈরিতা মশহুর ছিল বলে জানান স্থানীয় অনেকে।
এবার ভোটের মাঠে দলের মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান। তিনি বলেন, গত দুবার যেসব ষড়যন্ত্রের কারণে পাস করতে পারেননি, এইবার সেগুলো কাজ করবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য, সৎ ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বিএনপি নেতাদের হাল
আওয়ামী লীগের অধীনে দল কোনো নির্বাচনে যাবে না—কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির স্থানীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রয়োজনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোটের তৎপরতা শুরু করেছেন স্থানীয় দুই নেতা। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মনিরুল হক সাক্কু এবং কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।
এদিকে কুমিল্লা মহানগর বিএনপিও দুই শিবিরে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতা বর্তমান মেয়র সাক্কু। তিনি নিজেই প্রার্থী। আরেক পক্ষে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। তাঁর প্রার্থী শ্যালক নিজাম উদ্দিন কায়সার। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে প্রভাব রয়েছে ইয়াসিনের। ঐকমত্য না হলে দুজনই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে পারেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
সাক্কুর দাবি, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। নগরবাসীই আমার মূল শক্তি। আমার সব গোছানো আছে।’
কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন
এদিকে কায়সার বললেন, তিনিও নেতা-কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তাঁর মতে, বর্তমান মেয়র বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে কটূক্তি করেছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতনসহ দলবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন। এতে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ কষ্ট পেয়েছে বলে তিনি প্রার্থী।
স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক প্রার্থী হলে বিএনপির কপাল পুড়তে পারে।
কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪