Ajker Patrika

লালপুরে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ পাবেন টিসিবির পণ্য

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৭: ৪৩
লালপুরে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ পাবেন টিসিবির পণ্য

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা খোলাবাজারে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২১ ও ২২ মার্চ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রথম পর্বে ১৫ হাজার ২৫১ জন টিসিবির পণ্য ২ কেজি করে তেল, ডাল ও চিনি কিনতে পারবেন। রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বে এর সঙ্গে যুক্ত হবে ছোলা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৯৬ জন ও গোপালপুর পৌরসভায় ২ হাজার ১৬০ জনসহ মোট ১৫ হাজার ২৫১ জন টিসিবি পণ্য কিনতে পারবেন। এর মধ্যে লালপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৯৩৩ জন, ঈশ্বরদীতে ১ হাজার ২৩১ জন, চংধুপইলে ১ হাজার ৪১১ জন, আড়বাবে ১ হাজার ৫৬২ জন, বিলমাড়িয়ায় ১ হাজার ৭৩ জন, দুয়ারিয়ায় ১ হাজার ৩৯০ জন, ওয়ালিয়ায় ১ হাজার ৩৮৩ জন, দুড়দুড়িয়ায় ১ হাজার ৩১০ জন, অর্জুনপুর-বরমহাটিতে ৭৫২ জন এবং কদিমচিলান ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৬ জন কার্ড পেয়েছেন।

লালপুরের টিসিবি ডিলার শান্ত সরকার বলেন, তিনি দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া ও ঈশ্বরদী—এই তিন ইউনিয়নে পণ্য বিক্রি করবেন। ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রথম পর্বে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। দ্বিতীয় পর্বে রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে এর সঙ্গে ৫০ টাকা দরে ২ কেজি ছোলা যুক্ত হবে।

ওয়ালিয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মোছা. শান্তি বেগম বলেন, কম দামে তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা কিনতে পারবেন জেনে আনন্দিত। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন।

লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খোলাবাজারে কিনতে পারলে স্বস্তি পাবে। প্রয়োজনের তুলনায় কমসংখ্যক কার্ড দেওয়া হলেও অধিক দরিদ্রদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, উপজেলায় ১৫ হাজার ২৫১ জন টিসিবির পণ্য কিনতে কুইক রেসপন্স কোড (কিউআর কোড) যুক্ত ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রতারণা ঠেকাতে বিক্রিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ৬ সদস্যের ১১টি ট্যাগ টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে একজন সরকারি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, একজন ইউপি সদস্য, একজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও দুজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত তদারক করবেন।

ইউএনও আরও বলেন, ফ্যামিলি কার্ড স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান/মেয়র ও ইউপি সদস্য/ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তালিকা অনুযায়ী হয়েছে। কার্ডধারী ভোক্তারা ছাড়া কেউ ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত