Ajker Patrika

লম্বা বিরতির পর বড় পর্দায় নিজেকে দেখলাম

শিহাব আহমেদ
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১: ২৭
লম্বা বিরতির পর বড় পর্দায় নিজেকে দেখলাম

শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সাবরিনা সুলতানা কেয়া অভিনীত সিনেমা ‘কথা দিলাম’। বানিয়েছেন রকিবুল আলম রকিব। এ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন কেয়া। নতুন সিনেমা ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।

‘কথা দিলাম’ সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? 
সবাই অনেক আনন্দ নিয়ে কাজটা করেছি। তবে একটি দৃশ্য আছে, যেখানে রাতে সাঁতরে নদী পার হতে হবে আমাকে। এটা আমার জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নদীতে যখন সাঁতার কাটা শুরু করলাম, ঢেউ এসে বারবার আমাকে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছিল। অনেক কষ্ট করে দৃশ্যটি শেষ করেছিলাম।

মুক্তির পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন? 
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি। সবার সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখলাম। দর্শক অনেক উপভোগ করেছেন। হাততালি দিয়েছেন, শিস বাজিয়েছেন, তাঁরা টেনশনে ছিলেন এরপরের দৃশ্যে কী হবে। সিনেমা হল থেকে বের হয়ে অনেকে বলেছেন, ‘কথা দিলাম’ দেখতে আবার তাঁরা সিনেমা হলে আসবেন।

অনেক দিন পর বড় পর্দায় নিজেকে দেখার অনুভূতি কেমন? 
সর্বশেষ ২০১৫ সালে আমার ‘ব্ল্যাক মানি’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। লম্বা একটা বিরতির পর বড় পর্দায় নিজেকে দেখলাম। কিছুটা টেনশনে ছিলাম। কিন্তু হলে যখন দেখলাম দর্শক উপভোগ করছেন, তখন আমার সব টেনশন ভালো লাগায় রূপান্তর হয়ে গেছে।

সিনেমার প্রচারে বইমেলায় গিয়েছিলেন...
বইমেলায় যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের সঙ্গে আমাদের সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণার জন্য গিয়ে খেয়াল করলাম, অনেকে বলিউডের ‘পাঠান’ সিনেমার সঙ্গে তুলনা দিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আমি বলব, পাঠান তৈরি হয়েছে কয়েক শ কোটি টাকা দিয়ে। এর সঙ্গে আমাদের সিনেমার তুলনা যায় না। যখন আমাদের সিনেমা এত বাজেটের হবে, তখন আমরা তুলনা করতে পারব। এখন তো আমাদের হলগুলোর অবস্থাই নাজুক। দর্শকদের ধন্যবাদ, এই নাজুক অবস্থার মাঝেও তাঁরা হলে আসছেন।

এত দিন কাজ থেকে দূরে থাকার কারণ কী ছিল? 
মূলত পারিবারিক কারণে বিরতি নিয়েছিলাম। আমার আব্বু স্ট্রোক করেছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর আম্মুর কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এসব কারণে অনেক দিন সিনেমায় কাজ করিনি।

তারপর বিরতি ভেঙেছেন কোন সিনেমা দিয়ে?
‘কথা দিলাম’ সিনেমাটি আগে মুক্তি পেলেও আমি কাজে ফিরেছিলাম ‘ইয়েস ম্যাডাম’ দিয়ে। সেটিও পরিচালনা করেছেন রকিবুল ইসলাম রকিব। করোনার পরপর রকিব ভাই আমাকে গল্পটি পাঠিয়ে বললেন, ‘তোমাকে নিয়ে কাজটি করতে চাই। দেখো, গল্পটা ভালো লাগে কি না।’ গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছিল। তবে দ্বিধায় ছিলাম কাজটি করব কি না, কারণ তখন মা অসুস্থ ছিলেন। পরে মা বললেন, ‘কাজটা করো।’ তখন কাজটি শুরু করি। আমার ভাই-বোন অনেক সাহায্য করে। এ কারণে আবার কাজ করতে পারছি।

ইদানীং নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন…
প্রথম যখন কাজ শুরু করি তখন আমিও নতুন ছিলাম। তখন আমাকে সবাই সাপোর্ট করেছেন। এখন আমিও নতুনদের সাপোর্ট করার চেষ্টা করি। দর্শক এখন কিন্তু চেহারা নয়, অভিনয় দেখছে। গল্প অনুযায়ী কে কেমন অভিনয় করছে, সেটিই এখন মুখ্য। সে হিসেবে নতুনরা ভালো করছেন।

হাতে এখন কতগুলো সিনেমা আছে?
‘কথা দিলাম’ ছাড়া আরও সাতটি সিনেমার কাজ শেষ করেছি। রকিবুল আলম রকিবের ‘ইয়েস ম্যাডাম’ ও ‘সীমানা’; মেহেদী হাসানের ‘জল জ্যোৎস্না’, সালমান জসিমের ‘পরানের পরান’, সাজ্জাদ খানের ‘কাঠগোলাপ’, আলী আজাদ স্যারের ‘বনলতা’ ও ইভান মল্লিকের ‘মোনাফিক’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত