Ajker Patrika

প্রতিবাদের মুখে বন্ধ নির্মাণকাজ

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১২: ৪১
প্রতিবাদের মুখে বন্ধ নির্মাণকাজ

নীলফামারীর ডিমলা সদরের বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও রড কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মুখে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারের বিজয় চত্বর থেকে শুটিবাড়ি মোড় ও টিঅ্যান্ডটি মোড় পর্যন্ত ডিমলা-রংপুর সড়কের দুই পাশে ৪৯০ মিটার ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন ঢাকার ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম। তবে কাজটি করছেন রাকিবুল ইসলাম অনিক নামের এক ব্যক্তি। তিনি সাব-ঠিকাদার হিসেবে এ কাজ করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিম্নমানের ইটের খোয়া, পাথর ও জং ধরা রডের ব্যবহার করা হয়েছে। দেয়ালে ৫ ইঞ্চি দূরত্বের পরিবর্তে ১০ ইঞ্চি দূরত্বে রড বাঁধা হয়েছে। পাথরের সঙ্গে আবর্জনাযুক্ত মাটি মিশিয়ে ড্রেনের কাজ করা হয়।

বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আটটি রডের জায়গায় পাঁচটি রড দিয়ে পাথরের সঙ্গে আবর্জনাযুক্ত মাটি-বালু ব্যবহার করে ড্রেনের নির্মাণকাজ করা হচ্ছিল। এতে আমরা বাধা দিই।’

ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদারকে বারবার বলার পরও রডের পরিমাণ কম দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে আমার দোকানের সামনে নিজের টাকায় রড কিনে দিয়েছি ঠিকাদারকে।’

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, নিম্নমানের খোয়া ও স্থানীয় পাথরের সঙ্গে মাটি ব্যবহার করে বিজয় চত্বরের সামনে ড্রেনের কাজ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সওজের এক কর্মচারী বলেন, ‘আমার চাকরিজীবনে এত নিম্নমানের কাজ দেখিনি। ড্রেনটি অল্প দিনেই ভেঙে যাবে।’

৪ আগস্ট এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে কাজ পরিদর্শনে আসেন নীলফামারী সওজ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আরাফাত রিপন ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইলিয়াস ফারুক। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে তাঁরা বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী ৫ ইঞ্চি দূরত্বে রড বাঁধার নির্দেশনা না মেনে রড কম দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণাধীন ড্রেনের প্রায় ২০ মিটার অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে।’

সাব-ঠিকাদার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘মিস্ত্রি হিসাবের গরমিল করে রড কম দিয়েছে। ভেঙে পুনরায় ঢালাই করা হবে।’

নীলফামারী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মন্জুরুল করিম বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত