Ajker Patrika

শচীনের মাঠে এখন কোহলি-রোহিত হওয়ার স্বপ্ন

রানা আব্বাস, মুম্বাই থেকে
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ৫৮
শচীনের মাঠে এখন কোহলি-রোহিত হওয়ার স্বপ্ন

ক্রিকেট-পর্যটকদের সামনে যদি মুম্বাইয়ের কিছু ক্রিকেটীয় স্পটের নামের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়, অবশ্যই ওপরের দিকেই থাকবে শিবাজি পার্ক। যাঁরা ক্রিকেটের গভীর খোঁজখবর করেন, শচীন টেন্ডুলকারের গড়ে ওঠার ইতিহাস জানেন—তাঁদের কাছে মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্ক অতিপরিচিত এক নাম।

শিবাজি পার্কে গতকাল শনিবার পড়ন্ত বিকেলে পা রাখতেই অবধারিতভাবে যে প্রশ্নটা মনে এল, জায়গাটা কোথায়? কোথায় রামাকান্ত আচরেকার সঙ্গে টেন্ডুলকার অনুশীলন করতেন? ‘ওই মাঝে টেম্পু দেখছেন না? ওখানে’—একদল কিশোর ক্রিকেটারের অনুশীলন তত্ত্বাবধান করা কোচ সুমিত পাওয়ার হাত উঁচিয়ে দেখিয়ে দিলেন।

২৮ একর বিশাল জায়গাজুড়ে বিশাল মাঠ, যে মাঠ পুরো বিশ্বের কাছেই বিখ্যাত শুধু শচীন টেন্ডুলকারের জন্য। তাঁর নামের পাশে অনেকটা ম্লান বন্ধু বিনোদ কাম্বলি। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই মাঠেই অনুশীলন করেছেন টেন্ডুলকার। আচরেকারের সঙ্গে তাঁর সেই শৈশবের বেড়ে ওঠার গল্প নতুন করে আর কী বলার আছে। ভারতীয় কিংবদন্তির অসংখ্য সাক্ষাৎকারে শিবাজি পার্ক এসেছে। ২০১৩ সালে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার সময়ে তাঁর বিদায়ী ভাষণে এসেছে। এসেছে নিজের আত্মজীবনীতেও।

শিবাজি পার্ক নিয়ে বিদায়ী ভাষণে টেন্ডুলকারের স্মৃতিচারণা ছিল এমন, ‘…১১ বছর বয়সে ও (বড় ভাই অজিত) আমাকে আচরেকার স্যারের কাছে নিয়ে যায় এবং এরপর আমার জীবনটাই বদলে যায়। আমার ১১-১২ বছর বয়সে ওনার স্কুটারের পেছনে চড়ে দিনে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলেছি। শিবাজি পার্কে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করার পর আবার আজাদ ময়দানে হয়তো অন্য কোনো ম্যাচে। যাতে আমি ম্যাচ প্র্যাকটিস পেতে পারি, তিনি এ কারণে আমাকে নিয়ে মুম্বাই চষে বেড়িয়েছেন…।’

সেই শিবাজি পার্কে বছরের পর বছর কত খুদে ক্রিকেটার বিভোর হয়েছে একজন শচীন টেন্ডুলকার হওয়ার স্বপ্নে। কেউ পরে অজিত আগারকার, আজিঙ্কা রাহানে কিংবা হালের পৃথ্বী শ হয়েছেন। তবে এখনকার প্রজন্মের সবাই যে টেন্ডুলকার হতে চান, তা নয়। তাদের সামনে নতুন ‘আইকন’ এসেছে। শায়াস নামের পাঁচ-ছয় বছরের এক খুদে ক্রিকেটারের চোখে যেমন মুম্বাইয়ের বর্তমান তারকা রোহিত শর্মা হওয়ার স্বপ্ন। সময়ের সঙ্গে স্বপ্নের ধরন ভিন্ন হলেও শিবাজি পার্কে কাল একাধিক ক্রিকেটার সমস্বরে বললেন, ‘এটা আমাদের কাছে ড্রিম সেন্টার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কারও স্বপ্ন পূরণ হয়, কারণ স্বপ্ন পূরণ হয় না—তবে স্বপ্নের শুরু এখানেই।’

শচীন টেন্ডুলকারের কৃতিত্ব এখানেই। মাঠেই শুধু অসংখ্য কীর্তিগাথা গড়েননি, স্বপ্নের বাতিঘর হয়েছেন লাখো কোটি কিশোর-তরুণের। মুম্বাইয়ে যে বাতিঘরের অবস্থান, ক্রিকেট তীর্থের অবস্থান শিবাজি পার্কে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত