Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে জমেছে নির্বাচন

নড়াইল প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৩৮
শেষ মুহূর্তে জমেছে নির্বাচন

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ২ দিন। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। প্রার্থীদের সাদাকালো পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে পৌর এলাকার অলিগলি। মাইকেও প্রার্থীদের প্রচার চলছে সমানভাবে।

নানা অভিযোগ মাথায় নিয়েও আবার জগ প্রতীকে মাঠে রয়েছেন বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুর আলম। সরকারদলীয় প্রার্থী লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমানও আছেন মাঠে। ২০১৬ সালে আশরাফুল আলম নৌকা প্রতীকের লিপি খানমকে হারিয়ে জয়লাভ করেন।

২০০৩ সালে নবগঙ্গা নদীর দুপাড়ের লক্ষ্মীপাশা, লোহাগড়া আর জয়পুর ইউনিয়নের অংশ নিয়ে ১৫ বর্গ কিলোমিটার লোহাগড়া পৌরসভা যাত্রা করে। নদীর এপারে থানা, উপজেলা পরিষদ এলাকার ৫০ শতাংশ ভোটার বসবাস করে। ওপারের লোহাগড়া দক্ষিণ, মাইটকুমড়া, কুন্দশী, পোদ্দারপাড়া মিলে ভোট ৩৭ শতাংশ আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাড়ির জয়পুর অংশে ১৩ শতাংশ ভোটার যা আঞ্চলিতায় একবারেই সংখ্যালঘু।

মো. আশরাফুর আলমের সমর্থকের অভিযোগ, তাঁদের সকল পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন। প্রচার মাইক ও কর্মীদের বের করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রচারণায়। ২১ অক্টোবর রাতে তাঁর ভাই জসিমকে কচুবাড়িয়া থেকে এবং ইমরান ও শিমুলকে কুপিয়েছে জয়পুর থেকে। ইমরানের চোখে কোপ লাগায় তাঁর একটি চোখ উঠিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আশরাফুল আলম উন্নয়ন প্রসঙ্গে নানা জটিলতার কথা উল্লেখ করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা যতই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করুক আর ভয়ভীতি দেখাক তাতে আমার জনপ্রিয়তা কমাতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব মহলে আবেদন করেছি।’

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মশিউর রহমানের প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। তিনি যেসব এলাকায় গণসংযোগ করছেন সেখানে তাঁর গ্রামের গুটিকয়েক মানুষ সঙ্গে রয়েছে । স্থানীয় নেতাকর্মীদের তাঁর পাশে দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগের কর্মীদের না থাকা এবং কারচুপির মাধ্যমে ভোটে জেতার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ভোট হবে ইভিএম এ। এখানে কারচুপির প্রশ্নই ওঠে না। আমার সঙ্গে উপজেলা আর জেলা আওয়ামী লীগের সবাই তো রয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সমর্থক লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ী নেতা শাহাদত হোসেন সাবু বলেন, বর্ষার কাদা-পানিতে বাজারে নারীরা কাপড় তুলে হাঁটেন এটা আমাদের জন্য লজ্জার, ৫ বছরে বাজারে তিনি ২ বার এসেছেন কিনা সন্দেহ।

বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আবুল হোসেন পাল্টা বলেন, লোহাগড়া বাজারে উন্নয়ন না হলেও মেয়র আশরাফুল আলমের ৫ বছরে কোনো চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস হয়নি । আমরা খুবই নিরাপদে ব্যবসা করেছি।

লোহাগড়া পৌর নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। কোনো প্রকার কারচুপি হবে না, স্বচ্ছ ভোট হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।

উল্লেখ, আগামী ২ নভেম্বর ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমএ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ২৩ হাজার ৭৩৭ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...