গনেশ দাস, বগুড়া
কৃষকদের বলা হয় ‘জাত গবেষক’। নিজেদের প্রয়োজনে তাঁরা প্রায়ই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান ফসল উৎপাদনে। কেউ কেউ স্বীকৃতিহীন ‘গবেষণা’ চালিয়ে যান নিরন্তর। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নয়, ফসলের অভিযোজনও বড় বিষয় এখানে।
বগুড়ার কৃষি উদ্যোক্তা আহসানুল কবির ডালিম সে রকম ঘটনাই ঘটিয়েছেন। তিনি ৮ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন ফিলিপাইনের কালো আখ ‘ফিলিপিনো ব্ল্যাক সুগার কেইন’। সেই আখ থেকে তৈরি করছেন গুড় ও লাল চিনি। তা ছাড়া দেশীয় আখের চেয়ে বেশি মিষ্টি, নরম ও রসাল হওয়ায় বাজারে এই আখের চাহিদাও ব্যাপক। চার বছর আগে তিনি একখণ্ড আখ থেকে চারা তৈরি শুরু করেছিলেন।
আহসানুল কবির ডালিম উচ্চশিক্ষিত এক তরুণ। বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে চাকরি করেছেন কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু চাকরির ধরাবাঁধা নিয়মে থাকতে পারেননি বেশি দিন। চাকরি ছেড়ে শুরু করেন স্বাধীন ব্যবসা। তৈরি পোশাকের ব্যবসা করতেন শুরুতে। বাকিতে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন কারণে সেই ব্যবসা ততটা এগোয়নি। এরপর ২০১৯ সালে ফিরে আসেন গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার কাজীনূরইলে। ফিরে শুরু করেন চাষাবাদ। মূলত বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ সবজির চাষ করতেন তিনি। এরপর হঠাৎ ফিলিপাইনফেরত এক চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে উপহার দেন কালো আখের খণ্ড। তা থেকে চারা উৎপাদন করেন তিনি। প্রথমবার ১৬টি চারা গজালেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে ৭টি। সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে চারা বাড়ানোর চেষ্টা চালান তিনি। এভাবে তিন বছরে ৫০ হাজার চারা তৈরি করে গত বছর বাণিজ্যিকভাবে সেই আখ চাষ শুরু করেন ডালিম।
এ বছর রমজান মাস থেকে তিনি আখ বিক্রির পাশাপাশি আখের রস দিয়ে গুড় ও লাল চিনি তৈরি শুরু করেন। সেগুলো বিক্রির জন্য ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচার শুরু করে ব্যাপক সাড়া পান ইতিমধ্যে। আখ চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ৮০ হাজার টাকা। একবার জমিতে আখের চারা রোপণের পর সেখানে আর চারা রোপণ করতে হয় না। আখ কন্দাল প্রজাতির ফসল হওয়ায় এক চারা থেকে নতুন গাছ জন্মায়। এ কারণে প্রতিবছর চাষের খরচও কমে যায়। ডালিম জানান, এ বছর আখ চাষে বিঘাপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ কমে অর্ধেক হবে।
প্রতিদিন মাঠ থেকে প্রতিটি ৫০ টাকা হিসেবে প্রায় ৭০০ আখ বিক্রি করেন আহসানুল কবির ডালিম। এ ছাড়া প্রায় ১ হাজার আখ মাড়াই করে পাওয়া রস থেকে গুড় ও চিনি তৈরি করছেন তিনি। দেশি আখের ১০০ লিটার রস থেকে গুড় তৈরি হয় প্রায় ১১ কেজি। সমপরিমাণ কালো আখের রস থেকে গুড় তৈরি হচ্ছে ১৯ কেজি। একটি আখ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ১৭ ফুট উচ্চতার প্রতিটি আখ বাজারে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
কালো আখের রস থেকে তৈরি গুড় ও লাল চিনি ‘কর্ষণ’ নামের একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করেন আহসানুল কবির ডালিম। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার পাচ্ছেন। একখণ্ড আখ থেকে ডালিমের এই ব্যাপক সফলতা বগুড়ায় অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।
কৃষকদের বলা হয় ‘জাত গবেষক’। নিজেদের প্রয়োজনে তাঁরা প্রায়ই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান ফসল উৎপাদনে। কেউ কেউ স্বীকৃতিহীন ‘গবেষণা’ চালিয়ে যান নিরন্তর। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নয়, ফসলের অভিযোজনও বড় বিষয় এখানে।
বগুড়ার কৃষি উদ্যোক্তা আহসানুল কবির ডালিম সে রকম ঘটনাই ঘটিয়েছেন। তিনি ৮ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন ফিলিপাইনের কালো আখ ‘ফিলিপিনো ব্ল্যাক সুগার কেইন’। সেই আখ থেকে তৈরি করছেন গুড় ও লাল চিনি। তা ছাড়া দেশীয় আখের চেয়ে বেশি মিষ্টি, নরম ও রসাল হওয়ায় বাজারে এই আখের চাহিদাও ব্যাপক। চার বছর আগে তিনি একখণ্ড আখ থেকে চারা তৈরি শুরু করেছিলেন।
আহসানুল কবির ডালিম উচ্চশিক্ষিত এক তরুণ। বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে চাকরি করেছেন কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু চাকরির ধরাবাঁধা নিয়মে থাকতে পারেননি বেশি দিন। চাকরি ছেড়ে শুরু করেন স্বাধীন ব্যবসা। তৈরি পোশাকের ব্যবসা করতেন শুরুতে। বাকিতে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন কারণে সেই ব্যবসা ততটা এগোয়নি। এরপর ২০১৯ সালে ফিরে আসেন গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার কাজীনূরইলে। ফিরে শুরু করেন চাষাবাদ। মূলত বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ সবজির চাষ করতেন তিনি। এরপর হঠাৎ ফিলিপাইনফেরত এক চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে উপহার দেন কালো আখের খণ্ড। তা থেকে চারা উৎপাদন করেন তিনি। প্রথমবার ১৬টি চারা গজালেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে ৭টি। সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে চারা বাড়ানোর চেষ্টা চালান তিনি। এভাবে তিন বছরে ৫০ হাজার চারা তৈরি করে গত বছর বাণিজ্যিকভাবে সেই আখ চাষ শুরু করেন ডালিম।
এ বছর রমজান মাস থেকে তিনি আখ বিক্রির পাশাপাশি আখের রস দিয়ে গুড় ও লাল চিনি তৈরি শুরু করেন। সেগুলো বিক্রির জন্য ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচার শুরু করে ব্যাপক সাড়া পান ইতিমধ্যে। আখ চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ৮০ হাজার টাকা। একবার জমিতে আখের চারা রোপণের পর সেখানে আর চারা রোপণ করতে হয় না। আখ কন্দাল প্রজাতির ফসল হওয়ায় এক চারা থেকে নতুন গাছ জন্মায়। এ কারণে প্রতিবছর চাষের খরচও কমে যায়। ডালিম জানান, এ বছর আখ চাষে বিঘাপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ কমে অর্ধেক হবে।
প্রতিদিন মাঠ থেকে প্রতিটি ৫০ টাকা হিসেবে প্রায় ৭০০ আখ বিক্রি করেন আহসানুল কবির ডালিম। এ ছাড়া প্রায় ১ হাজার আখ মাড়াই করে পাওয়া রস থেকে গুড় ও চিনি তৈরি করছেন তিনি। দেশি আখের ১০০ লিটার রস থেকে গুড় তৈরি হয় প্রায় ১১ কেজি। সমপরিমাণ কালো আখের রস থেকে গুড় তৈরি হচ্ছে ১৯ কেজি। একটি আখ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ১৭ ফুট উচ্চতার প্রতিটি আখ বাজারে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
কালো আখের রস থেকে তৈরি গুড় ও লাল চিনি ‘কর্ষণ’ নামের একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করেন আহসানুল কবির ডালিম। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার পাচ্ছেন। একখণ্ড আখ থেকে ডালিমের এই ব্যাপক সফলতা বগুড়ায় অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪