চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
‘নিজ দায়িত্বে পারাপার হউন, পারাপারের সময় দুর্ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়’—এমন লেখা সংবলিত সাইনবোর্ড রয়েছে লেভেল ক্রসিংগুলোর দুপাশে। কিন্তু নেই কোনো গেটম্যান। অরক্ষিত এসব লেভেল ক্রসিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন। এ চিত্র লাকসাম জংশন রেলরুটের।
জানা গেছে, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আওতায় রয়েছে ১৮৪ কিলোমিটার রেলপথ। ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম, লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে রয়েছে ২০০ টির বেশি লেভেল ক্রসিং। যদিও স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই সংখ্যা হবে দ্বিগুণের বেশি। তবে লেভেল ক্রসিংয়ের সঠিক হিসেব নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছেও। লেভেল ক্রসিংয়ের প্রায় ৯০ শতাংশই অনুমোদনহীন। এগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
লাকসাম রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথে ৬৮ টি, লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত একটি এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে ৪৯ টিসহ ১১৭টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে রয়েছে গেটম্যান। বাকিগুলোতে নেই।
অপরদিকে, জংশনের আওতাধীন লাকসাম পৌর কার্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণাংশ, দৌলতগঞ্জ, ফতেহপুর, গোমতী নদীর উত্তরপাড়, রসুলপুর, গাজীপুর, রাজাপুর, হরিমঙ্গলবাজার, শশীদল, বজরা, চৌমুহনী, হাতিমারা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার পেয়ারাপুর, চিতৈষী বাজার, গন্ডামারা, কুচাইতলি, সাতবাড়িয়া, হরিশ্বর, আজগরা বাজার, বাইনচাটিয়া, ভৈষকপালিয়া, ফয়েজগঞ্জ, পেরুল, দুর্লভপুর, বাটিয়াভিটা, কালিয়াচৌ, চন্দনাবাজার, বিষ্ণুপুর, রাজাপুর, খিলা, বাতাবাড়িয়া, সাতেশ্বর, লুদুয়া, তুগুরিয়া, দত্তপুর, শ্রীমন্তপুর, শ্রীনিবাস, জাঙ্গালিয়া, নোয়াগাঁও, কাকসার, শ্রীরামপুর, মাতাইলপুর, আলীশ্বর, জয়নগর, বরল, সৈয়দপুর, বাগমারা, বিজয়পুর জেলখানা বাড়ি, মাইজদী ও সোনাপুর এলাকায় প্রায় ৮৪টি অনুমোদনবিহীন লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এসব লেভেল ক্রসিং পারাপার হতে গিয়ে ট্রেন ও যানবাহনের সংঘর্ষে প্রাণহানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। অনেকই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লাকসাম থেকে মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৬১ কিলোমিটারের এ পথে বেশির ভাগ লেভেল ক্রসিংয়ে গেট নেই।
নাঙ্গলকোট পৌর বাজারে থাকা অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, এই লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ এই লেভেল ক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ বা গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি। কিছুদিন পরপরই এখানে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মরার ঘটনা ঘটে।
লাকসামের উত্তরদা এলাকার মনপালের লতিফুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় দুটি লেভেল ক্রসিং থাকলেও একটিরও গেট বা গেটম্যান নেই। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।’
অপরদিকে, লাকসাম রেল জংশনের প্ল্যাটফর্ম ফরম থেকে মাত্র ১০০ গজ উত্তরে রয়েছে একটি বৈধ লেভেল ক্রসিং। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী বিভিন্ন দ্রুতগামী ট্রেন এ পথে চলাচল করে। কিন্তু এখানেও গেটম্যান সেই। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকার সিফাত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, কলেজছাত্র সাহাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জানান, লাকসাম রেলওয়ে ১৫০-২০০ লেভেল ক্রসিংয়ের কথা বললেও এর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে চলাচল করছেন। এতে এই সংখ্যা বাড়ছে।
১৮৪ কিলোমিটার রেলপথে কতগুলো বৈধ ও অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে জানতে চাইলে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কতগুলো রেলক্রসিং রয়েছে এর সঠিক কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে বেশির ভাগ রেলক্রসিংয়েই অনুমোদনহীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।’
লাকসাম রেলওয়ের আই ড্রাবলিও কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চলতি দায়িত্ব) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংগুলো পরিদর্শন করেছেন রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তারা।’
‘নিজ দায়িত্বে পারাপার হউন, পারাপারের সময় দুর্ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়’—এমন লেখা সংবলিত সাইনবোর্ড রয়েছে লেভেল ক্রসিংগুলোর দুপাশে। কিন্তু নেই কোনো গেটম্যান। অরক্ষিত এসব লেভেল ক্রসিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন। এ চিত্র লাকসাম জংশন রেলরুটের।
জানা গেছে, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আওতায় রয়েছে ১৮৪ কিলোমিটার রেলপথ। ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম, লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে রয়েছে ২০০ টির বেশি লেভেল ক্রসিং। যদিও স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই সংখ্যা হবে দ্বিগুণের বেশি। তবে লেভেল ক্রসিংয়ের সঠিক হিসেব নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছেও। লেভেল ক্রসিংয়ের প্রায় ৯০ শতাংশই অনুমোদনহীন। এগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
লাকসাম রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথে ৬৮ টি, লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত একটি এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে ৪৯ টিসহ ১১৭টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে রয়েছে গেটম্যান। বাকিগুলোতে নেই।
অপরদিকে, জংশনের আওতাধীন লাকসাম পৌর কার্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণাংশ, দৌলতগঞ্জ, ফতেহপুর, গোমতী নদীর উত্তরপাড়, রসুলপুর, গাজীপুর, রাজাপুর, হরিমঙ্গলবাজার, শশীদল, বজরা, চৌমুহনী, হাতিমারা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার পেয়ারাপুর, চিতৈষী বাজার, গন্ডামারা, কুচাইতলি, সাতবাড়িয়া, হরিশ্বর, আজগরা বাজার, বাইনচাটিয়া, ভৈষকপালিয়া, ফয়েজগঞ্জ, পেরুল, দুর্লভপুর, বাটিয়াভিটা, কালিয়াচৌ, চন্দনাবাজার, বিষ্ণুপুর, রাজাপুর, খিলা, বাতাবাড়িয়া, সাতেশ্বর, লুদুয়া, তুগুরিয়া, দত্তপুর, শ্রীমন্তপুর, শ্রীনিবাস, জাঙ্গালিয়া, নোয়াগাঁও, কাকসার, শ্রীরামপুর, মাতাইলপুর, আলীশ্বর, জয়নগর, বরল, সৈয়দপুর, বাগমারা, বিজয়পুর জেলখানা বাড়ি, মাইজদী ও সোনাপুর এলাকায় প্রায় ৮৪টি অনুমোদনবিহীন লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এসব লেভেল ক্রসিং পারাপার হতে গিয়ে ট্রেন ও যানবাহনের সংঘর্ষে প্রাণহানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। অনেকই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লাকসাম থেকে মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৬১ কিলোমিটারের এ পথে বেশির ভাগ লেভেল ক্রসিংয়ে গেট নেই।
নাঙ্গলকোট পৌর বাজারে থাকা অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, এই লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ এই লেভেল ক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ বা গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি। কিছুদিন পরপরই এখানে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মরার ঘটনা ঘটে।
লাকসামের উত্তরদা এলাকার মনপালের লতিফুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় দুটি লেভেল ক্রসিং থাকলেও একটিরও গেট বা গেটম্যান নেই। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।’
অপরদিকে, লাকসাম রেল জংশনের প্ল্যাটফর্ম ফরম থেকে মাত্র ১০০ গজ উত্তরে রয়েছে একটি বৈধ লেভেল ক্রসিং। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী বিভিন্ন দ্রুতগামী ট্রেন এ পথে চলাচল করে। কিন্তু এখানেও গেটম্যান সেই। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকার সিফাত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, কলেজছাত্র সাহাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জানান, লাকসাম রেলওয়ে ১৫০-২০০ লেভেল ক্রসিংয়ের কথা বললেও এর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে চলাচল করছেন। এতে এই সংখ্যা বাড়ছে।
১৮৪ কিলোমিটার রেলপথে কতগুলো বৈধ ও অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে জানতে চাইলে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কতগুলো রেলক্রসিং রয়েছে এর সঠিক কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে বেশির ভাগ রেলক্রসিংয়েই অনুমোদনহীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।’
লাকসাম রেলওয়ের আই ড্রাবলিও কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চলতি দায়িত্ব) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংগুলো পরিদর্শন করেছেন রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তারা।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪