Ajker Patrika

অমর একুশে বইমেলা: এখানে থেমো না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ৫৩
Thumbnail image

ক্যানসার হলেই জীবন শেষ নয়। এরপরেও বেঁচে থাকার আশা করতে হবে। বেঁচে থাকতে হবে। থেমে থাকা যাবে না। এ জন্য বইয়ের নামও ‘এখানে থেমো না’। চিকিৎসক, সাধারণ মানুষসহ ৪৫ জনের ক্যানসার থেকে ফিরে আসার গল্প বলা হয়েছে এই বইয়ে। বইটি প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর ক্যানসার কেয়ার ফাউন্ডেশন। পরিবেশক ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)।

বইটি নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় অমর একুশে বইমেলায় অনুষ্ঠান করেছেন ক্যানসার লড়াকুরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা প্রমুখ।

ড. সেঁজুতি সাহা একজন ক্যানসার থেকে বেঁচে ফেরা মানুষ। ১২ বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সেঁজুতি জানান, ক্যানসারের সময় তিনি কানাডা ছিলেন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা ফ্রিতে হয়েছে। কোনো কিছু নিয়ে সমস্যা হয়নি। এক বছরের মধ্যেই ক্যানসার থেকে ফিরে আসেন। এটা তাঁর জন্য আশ্চর্যের ছিল। ‘বাংলাদেশের মেয়ে হিসেবে এত সহজে দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি, এতে আশ্চর্য লাগে—বলেন সেঁজুতি।  

শুভাগত চৌধুরী বলেন, বইয়ে সব ক্যানসার লড়াকুর অভিজ্ঞতা, ফিরে আসার গল্প বলা হয়েছে। ক্যানসার মানেই যে সব শেষ, তা নয়। যুদ্ধ করে বের হয়ে আসতে হবে। 

ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে, বাড়েনি বিক্রি
বইমেলার ১০ দিন পার হয়েছে গতকাল। মাসের প্রথম ১০ দিনের শেষ ২ দিন ছিল শুক্রবার আর শনিবার। স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশকদের আশা ছিল ছুটির এই দুই দিনে ভিড় বাড়বে, বিক্রিও হবে বেশি। তবে তেমনটি হয়নি।

গতকাল মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় তিলধারণের ঠাঁই নেই। উৎসবের আমেজ নিয়ে মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন দর্শনার্থীরা, তবে বই কিনছেন কম। তবে গতকাল সকাল থেকেই মেলার মূল আকর্ষণ শিশুপ্রহরে ভিড় দেখা যায় শিশুদের।  

কেরানীগঞ্জ থেকে মেলায় ঘুরতে আসা পলাশ মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বই কিনব এমন ভাবনা থেকে আসা হয়নি। বউ, বাচ্চা নিয়ে ছুটির দিনে ঘুরতে আসলাম।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউপিএল প্রকাশনীর এক কর্মকর্তা জানালেন, কাগজের দাম বেড়েছে। তাই বইয়েরও দাম বেড়েছে। এতে করে বিক্রয় হার সমান হলেও সংখ্যা বাড়েনি বই বিক্রির।

এদিকে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের ভিড়ে মেলায় বেড়েছে ধুলাবালি। এতে শিশু বইপ্রেমীরা কিছুটা অস্বস্তিবোধ করছে।

মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘অনেক ভিড়। মানুষের হাঁটাহাঁটিতে ধুলা বেশি। বাচ্চাটা অসুস্থতাবোধ করছে। চলে যাব।’

এদিকে গতকাল দুপুরের পর থেকে মেলার পরিবেশ বদলে যায়। এর প্রভাব পড়ে টিএসসি এলাকাতে। টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এলাকায় যানবাহনের গতি কম দেখা যায়। শাহবাগ ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় সিগন্যাল পার হতে।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল দশম দিনে মেলায় ১৫২টি বই এসেছে। এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা। ১০ দিনে আসা মোট বইয়ের সংখ্যা ৮২৩। 
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার মূলমঞ্চে এদিন আয়োজন করা হয় ‘জন্মশতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি: সুচিত্রা মিত্র’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। মফিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইম রানা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত