Ajker Patrika

আসামিদের আনা হয় না আটকে আছে সাক্ষ্য গ্রহণ

শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২২, ১৩: ৩৯
আসামিদের আনা হয় না আটকে আছে সাক্ষ্য গ্রহণ

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের দিন জঙ্গি হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী ছিল গতকাল ৭ জুলাই। ২০১৬ সালের এই দিনে ঈদের নামাজের আগে পুলিশের নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালানো হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য, এক গৃহবধূ, দুই জঙ্গিসহ পাঁচজন নিহত হন। এই ঘটনার আতঙ্ক কাটেনি এলাকাবাসীর। শোক কাটেনি নিহত ও আহতদের স্বজনদের।

তাঁদের অভিযোগ, ভয়াবহ এই হামলার বিচার কার্যক্রম থমকে আছে আইনি জটিলতায়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, জঙ্গিরা দেশের অন্যান্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আসামি। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁদের স্ব-শরীরে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য শুরু করা যাচ্ছে না সাক্ষ্য নেওয়ার প্রক্রিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ শুরুর আগ মুহূর্তে জঙ্গিদের গুলি আর বোমার আঘাতে কেঁপে উঠে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের চারপাশ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঈদগাহের অদূরে, মুফতি মুহাম্মদ আলী মসজিদের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আবির রহমান নামের এক জঙ্গি। ওই সময় নিজের ঘরের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গৃহবধূ ঝর্ণা ভৌমিক। এর পর ওই বছরের ১০ জুলাই কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন জেএমবি সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, অনোয়ার হোসেন, সোহেল মাহমুদ, রাজীব গান্ধী, মো. আনোয়ার হোসেন ও জাহিদুল হক তানিম নামের ৫ জঙ্গি।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ‘শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দুই বছরের মধ্যে তদন্ত করে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেছি আমরা। প্রতিবেদনে ২৪ জন আসামি শনাক্ত হলেও ইতিমধ্যে ১৯ জন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পরে ৫ জনকে আসামি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

এই মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলি আর্টিজানসহ দেশের অন্যান্য মামলায় এসব জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁদের কিশোরগঞ্জের আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। প্রতি তারিখে সাক্ষীরা উপস্থিত থাকলেও থমকে আছে মামলার বিচার। তবে মামলাটি যেন ঢাকায় স্থানান্তর করা যায়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত