মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট
হালুয়াঘাটের বেশির ভাগ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার উৎসব। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজও করছেন সমানতালে। আবার কোথাও কোথাও শেষ দিকে এসে ধানখেতে দিতে হচ্ছে সেচ। ডিজেলের দাম বাড়ায় চাষাবাদের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।
ডিজেল ও বীজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদে বাড়বে খরচ। এতে উৎপাদন খরচ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মাস থেকে ইতিমধ্যে অনেক কৃষক আগাম জাতের আমন ধান কেটে বীজতলা তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ নিচু জমিতে বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বীজতলা তৈরির কাজ চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। বীজতলা তৈরিতে কৃষকেরা শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেয়েছেন। ডিজেলের পাশাপাশি বেড়েছে বীজের দামও। তবে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বীজ প্রণোদনা তালিকা করা হচ্ছে। শিগগির তাঁদের বীজ দেওয়া হবে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, হঠাৎ ডিজেল ও বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ১ লিটার ডিজেলের দাম ৮০ টাকা। ১ লিটার তেলে ৫ শতাংশ (শুকনো) জমিতে পানি দেওয়া যায় না। এইভাবে চলতে থাকলে কৃষক বাঁচব কেমনে?
সরেজমিনে উপজেলার বিএডিসি অনুমোদিত ডিলারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ব্রিআর-১৭, ২৮, ৫৫, ৬৩, ৬৮, ৮৬, ৮৮ ও বিনা-৭, ৮, ১০, ১৪ জাতের ধান বীজ বাজারে এসেছে। এগুলোর মধ্যে এ বছর হালুয়াঘাটে আগাম জাত ২৮ ও ২৬ ধানের পাশাপাশি ব্রিআর জাতের ধানবীজের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তবে গত বছরের তুলনায় ধানবীজের দাম বেশি। প্রতি কেজি ব্রিআর ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা দরে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘তেলের দাম যেরম বাড়াই দিছে সেরম ধানের দাম বাড়াইলে সে ধান কইরা পোষবো। নইলে তো কৃষকের মরণ ছাড়া উপায় নেই। এখন বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের ডিজেল কিনতে হচ্ছে প্রায় ৮০ টাকা দরে।’
অন্যদিকে কৃষক মন্তাজ আলী বলেন, ‘২০ হাজার ট্যাহা খরচ কইরা আমন ধান লাগাইছিলাম। সব নষ্ট অই গেছে। ধান শিষ বাইর অইছে আর মরছে। এহন আবার তেলের দাম বাড়ছে। কৃষক মরলেই তাগো কী? এই যে মাইনশে কত কিছু পায় আমরা তো কিছুই পাই না।’
এদিকে উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি থাকায় এই বছর উৎপাদন খরচও বাড়বে। সেই হিসেবে ধানের প্রকৃত দাম কৃষক না পেলে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষকদের তেল, সার ও বীজ ভর্তুকি দিচ্ছে। তবে বীজের দাম বাড়ার কথা না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’
হালুয়াঘাটের বেশির ভাগ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার উৎসব। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজও করছেন সমানতালে। আবার কোথাও কোথাও শেষ দিকে এসে ধানখেতে দিতে হচ্ছে সেচ। ডিজেলের দাম বাড়ায় চাষাবাদের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা।
ডিজেল ও বীজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদে বাড়বে খরচ। এতে উৎপাদন খরচ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মাস থেকে ইতিমধ্যে অনেক কৃষক আগাম জাতের আমন ধান কেটে বীজতলা তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ নিচু জমিতে বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বীজতলা তৈরির কাজ চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। বীজতলা তৈরিতে কৃষকেরা শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেয়েছেন। ডিজেলের পাশাপাশি বেড়েছে বীজের দামও। তবে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বীজ প্রণোদনা তালিকা করা হচ্ছে। শিগগির তাঁদের বীজ দেওয়া হবে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, হঠাৎ ডিজেল ও বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ১ লিটার ডিজেলের দাম ৮০ টাকা। ১ লিটার তেলে ৫ শতাংশ (শুকনো) জমিতে পানি দেওয়া যায় না। এইভাবে চলতে থাকলে কৃষক বাঁচব কেমনে?
সরেজমিনে উপজেলার বিএডিসি অনুমোদিত ডিলারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ব্রিআর-১৭, ২৮, ৫৫, ৬৩, ৬৮, ৮৬, ৮৮ ও বিনা-৭, ৮, ১০, ১৪ জাতের ধান বীজ বাজারে এসেছে। এগুলোর মধ্যে এ বছর হালুয়াঘাটে আগাম জাত ২৮ ও ২৬ ধানের পাশাপাশি ব্রিআর জাতের ধানবীজের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তবে গত বছরের তুলনায় ধানবীজের দাম বেশি। প্রতি কেজি ব্রিআর ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা দরে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘তেলের দাম যেরম বাড়াই দিছে সেরম ধানের দাম বাড়াইলে সে ধান কইরা পোষবো। নইলে তো কৃষকের মরণ ছাড়া উপায় নেই। এখন বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের ডিজেল কিনতে হচ্ছে প্রায় ৮০ টাকা দরে।’
অন্যদিকে কৃষক মন্তাজ আলী বলেন, ‘২০ হাজার ট্যাহা খরচ কইরা আমন ধান লাগাইছিলাম। সব নষ্ট অই গেছে। ধান শিষ বাইর অইছে আর মরছে। এহন আবার তেলের দাম বাড়ছে। কৃষক মরলেই তাগো কী? এই যে মাইনশে কত কিছু পায় আমরা তো কিছুই পাই না।’
এদিকে উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি থাকায় এই বছর উৎপাদন খরচও বাড়বে। সেই হিসেবে ধানের প্রকৃত দাম কৃষক না পেলে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষকদের তেল, সার ও বীজ ভর্তুকি দিচ্ছে। তবে বীজের দাম বাড়ার কথা না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪