Ajker Patrika

টাকা নিয়ে আপস না করায় জোড়া খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ০২
টাকা নিয়ে আপস না করায় জোড়া খুন

হত্যা মামলায় আপসের কথা বলে বছর দুয়েক আগে প্রতিবেশী নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোয়ণপ্রত্যাশী এরশাদুল হক। কিন্তু টাকা নিয়েও আপস না করায় তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন নজরুল। সম্প্রতি ওই মামলায় নজরুলের বাবা আবু নাছিরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরেই খুন করা হয় এরশাদুল ও তাঁর সহযোগী বাদল সরকারকে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আশরাফুল ইসলাম রাব্বীকে (৩৭) গ্রেপ্তারের পর তাঁর কাছ থেকে এসব তথ্য জেনেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার দিবাগত রাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালানোর সময় কসবা উপজেলার বিদ্যানগর এলাকা থেকে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। যে হত্যা মামলা নিয়ে বিরোধ, রাব্বী নিজেও সেই মামলার একজন আসামি। এরশাদুল ও বাদল হত্যায় তিনি সরাসরি অংশ নিয়েছেন।

তবে এরশাদুলের বাবা নাটঘর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আবুল কাশেমের দাবি, আপসের কথা বলে তাঁর ছেলে কোনো টাকা নেননি। আসামিরা বারবার চাপ দেওয়ার পরও এরশাদুল মামলা তুলতে রাজি হয়নি বলেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।

২০১৯ সালে এরশাদুলের চাচাতো ভাই সাইদুল্লাহ খুন হন। এ ঘটনায় নান্দুরা গ্রামের বাসিন্দা আবু নাছির ও তাঁর ছেলে নজরুলসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন এরশাদুল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বী জানিয়েছে, এই মামলা আপসের কথা বলে এরশাদুল আসামিদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আপস না করে তিনি মামলা চালিয়ে যাওয়ায় তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন নজরুল। সম্প্রতি ওই মামলায় নাছিরকে আদালত কারাগারে পাঠানোয় নজরুলের ক্ষোভ আরও বাড়ে এবং তিনি এরশাদুলকে খুনের পরিকল্পনা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রাব্বীর সঙ্গে নজরুলের পূর্বপরিচয় ছিল। একটি ডাকাতির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর, গ্রেফতার এড়াতে গত এক মাস ধরে তিনি নজরুলের বাড়িতে ছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে নাটঘরের কুড়িঘর গ্রামে যান রাব্বী ও নজরুল। এরশাদুলকে বহনকারী মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন রাব্বী। এরশাদুল ও বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান নজরুল। এরপর সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এসে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।

গতকাল দুপুরে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে রাব্বীকে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানতে তাঁর ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত

গ্রামীণ ব্যাংক ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ রাতভর পুলিশি পাহারা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত