Ajker Patrika

পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৮
পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ২৮ নভেম্বর। প্রচারে ব্যস্ত চেয়ারম্যান পদসহ সদস্য প্রার্থীরা। তাঁরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।

এদিকে নির্বাচনী পোস্টার রশি দিয়ে ঝোলানোর কথা থাকলে কেউ মানছে না সেই বিধি। স্কুলের দেয়াল, ঘরের দেয়াল, ঈদগাহ ময়দানের দেয়াল, শৌচাগার, গোসলখানা এমনকি গাছেও প্রার্থীদের পোস্টার আঠা দিয়ে লাগানো হয়েছে।

প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তবে প্রার্থীদের দাবি তাঁরা আচরণবিধি মেনেই পোস্টার সাঁটাচ্ছেন।

সরেজমিনে বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রার্থীদের ব্যানার–পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রচারণা। নির্বাচন কমিশনের আইন রয়েছে, প্রার্থীদের পোস্টার রশি দিয়ে টানানোর কথা। কিন্তু সেটা কেউই মানছে না। সর্বত্রই প্রার্থীদের পোস্টার আঠা দিয়ে লাগানো আছে।

কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবারও তিনি বিজয়ী হবেন। নির্বাচনীবিধি মেনেই তাঁরা প্রচার করেছেন। সেই সঙ্গে কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন কেউ যেন দেয়াল বা গাছে কোনো পোস্টার না সাঁটান।

একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ হোসেন জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে ওই ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা থাকার কারণে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনিও নেতা–কর্মীদের নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আচরণবিধি মেনেই পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে। দেয়াল বা গাছে কোনো পোস্টার সাঁটানো হয়নি।

মৃগী ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি নতুন বাড়ি করেছেন। সেই বাড়িতে রংও করেছেন। কিন্তু নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা তাঁদের পোস্টার দেওয়ালে লাগিয়ে গেছেন। নিষেধ সত্ত্বেও কেউ কথা শোনেনি। পোস্টার সাঁটানোয় দেওয়ালের রং নষ্ট হয়ে যাবে।

একই এলাকার হারেজ প্রামাণিক জানান, টিনের ঘরে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। কিছুদিন পরে দেখা যাবে টিনে মরিচা ধরেছে।

জানা যায়, কালুখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩০ জন। অন্যদিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের রয়েছে ৩১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত