Ajker Patrika

তুলার বাম্পার ফলনে চাষির মুখে হাসি

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৩
তুলার বাম্পার ফলনে   চাষির মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ইসলাম উদ্দিন নামের এক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে তুলা চাষ করছেন। ইসলাম উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় তুলার ফলন ভালো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার দাম ভালো। তাই ভালো লাভের আশা করছেন ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝখানের চরে ২৫ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করছেন ইসলাম উদ্দিন। স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণসহ তুলা চাষে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। ১০-১২ বছর ধরে ওই জমিতে তিনি বাণিজ্যিকভাবে তুলা চাষ করে আসছেন। তুলার বীজ বিনা মূল্যে সরবরাহের পাশাপাশি প্রতিবছর ৪ শতাংশ সুদে দুই লাখ টাকার ঋণ পান ইসলাম উদ্দিন। তুলা চাষের জন্য চর এলাকার এই মাটি খুবই উপযোগী।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তুলার বাজারদর নির্ধারণ করা হয়। গত বছর এক মণ তুলার দাম ছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা। এ বছর দাম বেশ চড়া। এক মণ তুলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি মণ তুলায় ৭০০ টাকা বেশি পাওয়া যাবে।

সরেজমিন ওই তুলাবাগানে দেখা যায়, ২৫ বিঘা জমির সাতটি বাগানে তুলার চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ বাগানের তুলা ফুটে আছে। দূর থেকে সাদা ধবধবে লাগছে। শ্রমিকেরা তুলা সংগ্রহ করে বস্তায় ভরছেন। এ সময় কথা হয় ইসলামের সঙ্গে।

ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাই মাসে জমিতে তুলার বীজ বপন করেছেন। ডিসেম্বরের শুরুতে তুলা সংগ্রহের উপযোগী হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে তুলা সংগ্রহ চলছে। সাতটি বাগানের ২-৩ টিতে এখনো ফুল ফোটেনি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেগুলোও ফুটবে। তুলা চাষে প্রচুর খাটুনি। শ্রমিক, কীটনাশক খরচসহ সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এবার তুলার ভালো ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমি থেকে ১১-১২ মণ তুলা পাব বলে আশা করছি।’

ইসলাম আরও বলেন, ‘একবার তুলা চাষে ৩-৪ বার তুলা উত্তোলন করা যায়। ২৫ বিঘা জমি থেকে ২৫০-২৬০ মণ তুলা পাব। তুলার দামও ভালো। তাই লাভ ভালো হবে বলে আশা করছি।’

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পাকুন্দিয়া এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কটন ইউনিট অফিসার মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইসলাম উদ্দিনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণসহ চাষাবাদে সব সময় খোঁজ রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানও এই তুলাবাগান পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তুলার ভালো ফলন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত