ড. আশরাফ সিদ্দিকী
মোহাম্মদ আবদুল মজিদের খুব ইচ্ছে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ করবেন। হ্যাঁ, আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদের কথাই বলছি। অনার্স করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএল কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে গিয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হওয়ার ফরম চাইলে কর্তাব্যক্তিটি বললেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএতে মাইগ্রেশন করানোর কোনো নিয়ম নেই।’ আবদুল মজিদ ভাবলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কি তাহলে মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয় ভাবা হচ্ছে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কুলীন?
বুঝিয়ে দিলেন কর্তাব্যক্তিটি, ‘এটা আশরাফ-আতরাফের ব্যাপার নয়। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স আর এমএ সিলেবাসে কিছু পার্থক্য আছে, তাই এই নিয়ম।’
বিভাগীয় চেয়ারম্যান যদি রাজি থাকেন, তাহলেই কেবল ভর্তি হওয়া সম্ভব। ১৯৭৪ সালে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছানো যায় কী করে?
মনে পড়ল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. আশরাফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তো খুব জানাশোনা আছে। খুলনা বইমেলা আর সাহিত্য সম্মেলনগুলোয় হয়েছিল ঘনিষ্ঠতা। আশরাফ সিদ্দিকীকে গিয়ে সমস্যার কথা বললেন মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। তিনি বললেন, ‘কাল বাংলা একাডেমিতে এসো।’
পরদিন বাংলা একাডেমিতে গিয়ে দেখলেন কবীর চৌধুরী চা খাচ্ছেন আশরাফ সিদ্দিকীর সঙ্গে। তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল সাহিত্যকর্মী বলে আবদুল মজিদকে কবির চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর বাংলা একাডেমির সদস্য হওয়ার একটা ফরম পূরণ করতে বললেন। তাতে প্রস্তাবকের ঘরে সই করলেন আশরাফ সিদ্দিকী, সমর্থকের ঘরে কবীর চৌধুরী।
এবার কবীর চৌধুরীকে আশরাফ সিদ্দিকী বললেন, ‘বাংলা একাডেমির একজন সদস্য যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারে, তাহলে আর কে পড়বে বলুন?’ এরপর কবীর চৌধুরীকে সমস্যাটা বুঝিয়ে বললেন। একগাল হেসে কবীর চৌধুরী বললেন, ‘আগামীকাল একটা আবেদনপত্র নিয়ে আমার কাছে এসো।’ আশরাফ সিদ্দিকীর বুদ্ধিমত্তার কারণে বিশেষ বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন আবদুল মজিদ।
সূত্র: মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, সৌরভে গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৩২৮-৩২৯
মোহাম্মদ আবদুল মজিদের খুব ইচ্ছে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ করবেন। হ্যাঁ, আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদের কথাই বলছি। অনার্স করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএল কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে গিয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হওয়ার ফরম চাইলে কর্তাব্যক্তিটি বললেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএতে মাইগ্রেশন করানোর কোনো নিয়ম নেই।’ আবদুল মজিদ ভাবলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কি তাহলে মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয় ভাবা হচ্ছে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কুলীন?
বুঝিয়ে দিলেন কর্তাব্যক্তিটি, ‘এটা আশরাফ-আতরাফের ব্যাপার নয়। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স আর এমএ সিলেবাসে কিছু পার্থক্য আছে, তাই এই নিয়ম।’
বিভাগীয় চেয়ারম্যান যদি রাজি থাকেন, তাহলেই কেবল ভর্তি হওয়া সম্ভব। ১৯৭৪ সালে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছানো যায় কী করে?
মনে পড়ল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. আশরাফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তো খুব জানাশোনা আছে। খুলনা বইমেলা আর সাহিত্য সম্মেলনগুলোয় হয়েছিল ঘনিষ্ঠতা। আশরাফ সিদ্দিকীকে গিয়ে সমস্যার কথা বললেন মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। তিনি বললেন, ‘কাল বাংলা একাডেমিতে এসো।’
পরদিন বাংলা একাডেমিতে গিয়ে দেখলেন কবীর চৌধুরী চা খাচ্ছেন আশরাফ সিদ্দিকীর সঙ্গে। তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল সাহিত্যকর্মী বলে আবদুল মজিদকে কবির চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর বাংলা একাডেমির সদস্য হওয়ার একটা ফরম পূরণ করতে বললেন। তাতে প্রস্তাবকের ঘরে সই করলেন আশরাফ সিদ্দিকী, সমর্থকের ঘরে কবীর চৌধুরী।
এবার কবীর চৌধুরীকে আশরাফ সিদ্দিকী বললেন, ‘বাংলা একাডেমির একজন সদস্য যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারে, তাহলে আর কে পড়বে বলুন?’ এরপর কবীর চৌধুরীকে সমস্যাটা বুঝিয়ে বললেন। একগাল হেসে কবীর চৌধুরী বললেন, ‘আগামীকাল একটা আবেদনপত্র নিয়ে আমার কাছে এসো।’ আশরাফ সিদ্দিকীর বুদ্ধিমত্তার কারণে বিশেষ বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন আবদুল মজিদ।
সূত্র: মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, সৌরভে গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৩২৮-৩২৯
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫