প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর
বাড়ির মাত্র ১০ শতক জমির ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষ দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। বর্তমানে জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতক। যার পুরোটা পরিণত হয়েছে পারিবারিক কৃষিখামারে। এই সফলতার কল্যাণে মিলেছে একের পর এক স্বীকৃতি। সর্বশেষ পাওয়া গেছে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা।
বলছিলাম নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নের কিষানি সূর্য্য বেগমের কথা। তিনি চুহড় কৃষি ব্লকের আওতাধীন ইসলামপুর নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সূর্য্য অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন। বসতবাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে সফল এই নারী বিভাগের সেরা পাঁচ জয়িতার একজন হন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। সেই সঙ্গে তিনি সনদ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।
সূর্য্যের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কথা হয় গত শুক্রবার। স্বামী, চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। আলাপচারিতায় তিনি জানান, ২০ বছর আগে ১০ শতক জমিতে শাকসবজি, ঘরের চালে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শিম ও নলকূপের নালার মাথায় গর্ত করে মাছ চাষ এবং গর্তের ওপর কবুতর পালনসহ বহুমুখী কৃষি উৎপাদন শুরু করেন। বাড়িতে এক খণ্ড জমিও পতিত রাখেননি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় বাড়িকে পরিণত করেন খামারে। এভাবেই তাঁর এগিয়ে চলা।
বর্তমানে সূর্য্যের পরিবারের জমির পরিমাণ ৭৫ শতক। ২০ শতকে চালকল বসিয়েছিলেন। কিন্তু মহাসড়ক চার লেন করার জন্য ১৯ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো পাননি বলে জানান তাঁর স্বামী আজিজুল ইসলাম।
জমির এক দিকে চার ছেলেকে নিয়ে সূর্য্য থাকেন। বাকি অংশে রয়েছে মাল্টা, কমলা, ড্রাগনসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে শাকসবজি চাষ করেন। বাগানের জৈব সারের চাহিদা পূরণে এক অংশে সার তৈরি করেন। বাড়ির আশপাশে প্রায় ১০০ শজনেগাছ লাগিয়েছেন। শজনে বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের খরচ চলে যায়। এ ছাড়া প্রতি বছর মাল্টা ও ড্রাগন ফল থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় হয়।
সূর্য্যের কৃষিকাজে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন স্বামী আজিজুল। তাঁদের বাড়িতে ২০০১ সালে এসেছিলেন তৎকালীন কৃষি প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাড়ি খামারে পরিণত করায় সূর্য্য ২০০৫ সালে জাতীয় কৃষি পুরস্কার (স্বর্ণ পদক) পান। তিনি ২০১২ সালে সরকারি খরচে ভিয়েতনাম সফর করেন। ২০১৮ সালে পান সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের চালু করা শেফালী বেগম স্মৃতি পদক। তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের আগে উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও জয়িতা হয়েছেন।
সূর্য্য জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কৃষি উৎপাদনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। চিকিৎসা করাতে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন একটু সুস্থ আছেন। তাঁর স্বামী আজিজুল জানান, তিনি স্ত্রীর সাফল্যে গর্ববোধ করেন।
কৃষি উৎপাদনে নারীদের অংশ গ্রহণ বাড়াতে একটি শিখন খামার গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন সূর্য্য। এ জন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বাড়ির মাত্র ১০ শতক জমির ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষ দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। বর্তমানে জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতক। যার পুরোটা পরিণত হয়েছে পারিবারিক কৃষিখামারে। এই সফলতার কল্যাণে মিলেছে একের পর এক স্বীকৃতি। সর্বশেষ পাওয়া গেছে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা।
বলছিলাম নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নের কিষানি সূর্য্য বেগমের কথা। তিনি চুহড় কৃষি ব্লকের আওতাধীন ইসলামপুর নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সূর্য্য অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন। বসতবাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে সফল এই নারী বিভাগের সেরা পাঁচ জয়িতার একজন হন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। সেই সঙ্গে তিনি সনদ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।
সূর্য্যের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কথা হয় গত শুক্রবার। স্বামী, চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। আলাপচারিতায় তিনি জানান, ২০ বছর আগে ১০ শতক জমিতে শাকসবজি, ঘরের চালে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শিম ও নলকূপের নালার মাথায় গর্ত করে মাছ চাষ এবং গর্তের ওপর কবুতর পালনসহ বহুমুখী কৃষি উৎপাদন শুরু করেন। বাড়িতে এক খণ্ড জমিও পতিত রাখেননি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় বাড়িকে পরিণত করেন খামারে। এভাবেই তাঁর এগিয়ে চলা।
বর্তমানে সূর্য্যের পরিবারের জমির পরিমাণ ৭৫ শতক। ২০ শতকে চালকল বসিয়েছিলেন। কিন্তু মহাসড়ক চার লেন করার জন্য ১৯ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো পাননি বলে জানান তাঁর স্বামী আজিজুল ইসলাম।
জমির এক দিকে চার ছেলেকে নিয়ে সূর্য্য থাকেন। বাকি অংশে রয়েছে মাল্টা, কমলা, ড্রাগনসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে শাকসবজি চাষ করেন। বাগানের জৈব সারের চাহিদা পূরণে এক অংশে সার তৈরি করেন। বাড়ির আশপাশে প্রায় ১০০ শজনেগাছ লাগিয়েছেন। শজনে বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের খরচ চলে যায়। এ ছাড়া প্রতি বছর মাল্টা ও ড্রাগন ফল থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় হয়।
সূর্য্যের কৃষিকাজে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন স্বামী আজিজুল। তাঁদের বাড়িতে ২০০১ সালে এসেছিলেন তৎকালীন কৃষি প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাড়ি খামারে পরিণত করায় সূর্য্য ২০০৫ সালে জাতীয় কৃষি পুরস্কার (স্বর্ণ পদক) পান। তিনি ২০১২ সালে সরকারি খরচে ভিয়েতনাম সফর করেন। ২০১৮ সালে পান সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের চালু করা শেফালী বেগম স্মৃতি পদক। তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের আগে উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও জয়িতা হয়েছেন।
সূর্য্য জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কৃষি উৎপাদনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। চিকিৎসা করাতে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন একটু সুস্থ আছেন। তাঁর স্বামী আজিজুল জানান, তিনি স্ত্রীর সাফল্যে গর্ববোধ করেন।
কৃষি উৎপাদনে নারীদের অংশ গ্রহণ বাড়াতে একটি শিখন খামার গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন সূর্য্য। এ জন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫