Ajker Patrika

আ.লীগ প্রার্থীর সভায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে  

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৯
আ.লীগ প্রার্থীর সভায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে  

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় নির্বাচনী পথসভা করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে ওই সভা হয়। সেখানে জুতা পায়ে নেতাকর্মীদের শহীদ মিনারের বেদিতে ওঠা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে চরমোন্তাজে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন আবু মিয়ার (নৌকা) সমর্থনে সভাটি হয়। আবু মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। ওই সভায় শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে উঠেছিলেন প্রার্থী আবু মিয়াসহ দলীয় নেতারাও।

গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন ঘটনার ভিডিও ও ছবি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, শহীদ মিনার পেছনে রেখে বেদির ওপর সাজানো চেয়ারের সারিতে বসে ছিলেন নৌকার প্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন এবং দলীয় নেতাকর্মীরা। তিনজন বাদে বেদিতে থাকা নৌকার প্রার্থীসহ প্রত্যেকের পায়েই ছিল জুতা। এ সময় প্রার্থীসহ দুজনকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তখনো তাঁদের পায়ে জুতা ছিল। এই ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশিত হলে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগ ওঠে শহীদ মিনার অবমাননার।

ওই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কাশেম মোল্লা (আনারস) বলেন, ‘শহীদ মিনারে জুতা পায়ে আবু মিয়ার নির্বাচনী সভার তীব্র নিন্দা জানাই।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ১৩ ডিসেম্বর বিকেলের। প্রচারণা শুরুর সাত দিনের মাথায় এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে নির্বাচনী এক পথসভায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি ছিলাম না। যদি ঘটনা সঠিক হয়ে থাকে তা নিন্দাজনক। জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে উঠে থাকলে আমি নিন্দা জানাই।’

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন আবু মিয়া বলেন, ‘নো নো নো। জুতা নিয়ে ওঠেনি কেউ। এ রকম কোনো ঘটনা হয়নি। আমি ছিলাম। আরও লোকজন ছিল। আমি তো জুতা লইনি, কিন্তু কীভাবে যে জুতা দেখাইছে! শহীদ মিনার করছি আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। সেখানে যদি কেউ জুতা নিয়ে ওঠে সেটা অন্যায়, শহীদদের অবমাননা হয়। নিজের অজান্তে যদি কিছু হয় তা মার্জনীয়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত