Ajker Patrika

স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পায়ে আড্ডা, ঝাঁজাল দুর্গন্ধ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৫
স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পায়ে  আড্ডা, ঝাঁজাল দুর্গন্ধ

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতিবিজড়িত শহর। নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও আছে এই শহরে। ১৯৭১ সালে ২৫ হাজার বিহারির বাস ছিল এখানে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে বিহারিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙালি নিধন কার্যক্রম শুরু করে। সে সময় সান্তাহারে প্রাণ যায় হিন্দু, মুসলমানসহ অনেকের। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের জন্য সান্তাহারে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয় ২০১৫ সালে।

সরেজমিন দেখা যায়, স্বাধীনতা স্তম্ভটির মূল বেদিতে জুতা পায়ে ওঠা ও বসা নিষেধ থাকলেও তা মানছেন না দর্শনার্থী। পাশাপাশি স্তম্ভের দেয়ালেই প্রস্রাব করছেন অনেকেই। যার কারণে দুর্গন্ধে আশপাশে টেকা দায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই জুতা পরে আড্ডা জমায় স্বাধীনতা স্তম্ভের মূল বেদিতে। সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকেন দর্শনার্থী। পাশাপাশি স্বাধীনতা চত্বরের যেখানে সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। ফলে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে স্বাধীনতা স্তম্ভের।

রেলগেটের ব্যবসায়ী রাঙ্গা খান বলেন, ‘এলোমেলোভাবে মোটরসাইকেল পার্কিং ও বেদিতে জুতা পায়ে দর্শনার্থীরা উঠলে মানা করলে তাঁরা শুনতে চান না। যার ফলে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের জন্য নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের অবমাননা করা হয়। বিষয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা স্তম্ভের স্থপতি সাজেদুল ইসলাম চম্পা বলেন, ‘স্বাধীনতা চত্বরে জুতা পায়ে ওঠা নিয়ে এর আগেও আমি বহুবার মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। স্বাধীনতা আমাদের গৌরবের বিষয়। আমাদের অহংকার আর স্বাধীনতা স্তম্ভ তারই প্রতীক। আমার লজ্জায় মাথা অবনত হয়ে আসে।’

রেলওয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতা স্তম্ভে জুতা পায়ে ওঠা আমাদের কারোই কাম্য নয়। এ বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে; নিজেদের আরও সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি এটি বন্ধের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত