সম্পাদকীয়
আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার টানা ১৫ বছরের কিছু বেশি সময় ক্ষমতায় থেকে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে বলে একধরনের প্রচারণা কান পাতলেই শোনা যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ আমলে সন্ত্রাস, দখল, চাঁদাবাজি ও অনিয়মের যে রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, ‘আওয়ামী লীগমুক্ত’ নতুন শাসনামলে সেসবের অবসান হওয়াই স্বাভাবিক প্রত্যাশা।
কিন্তু তা যে হয়নি, দেশে যে নতুন চাঁদাবাজ ও দখলদারেরা দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেছে, সেই খবরও জানা যাচ্ছে।
শনিবারের আজকের পত্রিকার প্রকাশিত দুটি খবরের শিরোনাম ১. চাঁদা না দিলে আন্দোলনের আসামি, ২. এক মাসে ২৪ বিঘা জমি দখল। প্রথম খবরে বলা হয়েছে: খুলনার বিভিন্ন এলাকায় চরমপন্থীদের নামে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির নেতাদের পরিচয়েও বিভিন্ন এলাকায় চলছে চাঁদাবাজি। চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ায় ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না জেলার শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, স্কুলশিক্ষক, ব্যাংকার, সাংবাদিকেরাও। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবসায়ী থানায় ও বিএনপি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলেও অনেকে কোথাও অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
দ্বিতীয় খবরে বলা হয়েছে: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বনভূমি জবরদখলের মহোৎসব থেমে নেই। গত এক মাসে উপজেলায় বনের প্রায় ২৪ বিঘা জমি দখল হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় দখল করা এসব জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের অবৈধ স্থাপনা। দখল করা বনভূমি উদ্ধারে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন বনকর্মীরা।
দুটি খবরই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। দুঃশাসক বিদায় নিলেও দুঃশাসন অব্যাহত আছে। এটা একদিকে মানুষের মনে অস্বস্তির জন্ম দিচ্ছে, অন্যদিকে তাদের আশাহতও করছে। বলা হচ্ছে, এবারের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-আন্দোলন এক নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছে। এই বাংলাদেশে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, বৈষম্য থাকবে না। জোর-জুলুম থাকবে না। কোনো ধরনের জুলুমবাজি করে কিংবা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একজন আরেকজনের অধিকার কেড়ে নেবে না। কেউ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে না। ধর্মবিশ্বাসের কারণে কোনো মানুষ কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারপ্রধান দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটিই। উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
দেশের মানুষও সেটাই চায়। এখন যারা সুযোগ বুঝে দখলদারি ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প আছে কি? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু কাজে-কর্মে এখনো এই সরকার দিতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার টানা ১৫ বছরের কিছু বেশি সময় ক্ষমতায় থেকে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে বলে একধরনের প্রচারণা কান পাতলেই শোনা যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ আমলে সন্ত্রাস, দখল, চাঁদাবাজি ও অনিয়মের যে রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, ‘আওয়ামী লীগমুক্ত’ নতুন শাসনামলে সেসবের অবসান হওয়াই স্বাভাবিক প্রত্যাশা।
কিন্তু তা যে হয়নি, দেশে যে নতুন চাঁদাবাজ ও দখলদারেরা দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেছে, সেই খবরও জানা যাচ্ছে।
শনিবারের আজকের পত্রিকার প্রকাশিত দুটি খবরের শিরোনাম ১. চাঁদা না দিলে আন্দোলনের আসামি, ২. এক মাসে ২৪ বিঘা জমি দখল। প্রথম খবরে বলা হয়েছে: খুলনার বিভিন্ন এলাকায় চরমপন্থীদের নামে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির নেতাদের পরিচয়েও বিভিন্ন এলাকায় চলছে চাঁদাবাজি। চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ায় ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না জেলার শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, স্কুলশিক্ষক, ব্যাংকার, সাংবাদিকেরাও। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবসায়ী থানায় ও বিএনপি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলেও অনেকে কোথাও অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
দ্বিতীয় খবরে বলা হয়েছে: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বনভূমি জবরদখলের মহোৎসব থেমে নেই। গত এক মাসে উপজেলায় বনের প্রায় ২৪ বিঘা জমি দখল হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় দখল করা এসব জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের অবৈধ স্থাপনা। দখল করা বনভূমি উদ্ধারে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন বনকর্মীরা।
দুটি খবরই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। দুঃশাসক বিদায় নিলেও দুঃশাসন অব্যাহত আছে। এটা একদিকে মানুষের মনে অস্বস্তির জন্ম দিচ্ছে, অন্যদিকে তাদের আশাহতও করছে। বলা হচ্ছে, এবারের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-আন্দোলন এক নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছে। এই বাংলাদেশে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, বৈষম্য থাকবে না। জোর-জুলুম থাকবে না। কোনো ধরনের জুলুমবাজি করে কিংবা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একজন আরেকজনের অধিকার কেড়ে নেবে না। কেউ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে না। ধর্মবিশ্বাসের কারণে কোনো মানুষ কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারপ্রধান দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটিই। উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
দেশের মানুষও সেটাই চায়। এখন যারা সুযোগ বুঝে দখলদারি ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প আছে কি? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু কাজে-কর্মে এখনো এই সরকার দিতে পারছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪