Ajker Patrika

লিবিয়ায় কারাভোগ শেষে বাড়ি ফিরলেন তিন যুবক

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ১০: ৪৪
লিবিয়ায় কারাভোগ শেষে বাড়ি ফিরলেন তিন যুবক

দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগ শেষে লিবিয়া থেকে বাড়ি ফিরেছেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মো. রাকিবুল শেখ, মহিদুল ও ইমরান মোল্লা নামের তিন যুবক। সরকারের সহযোগিতায় তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। এতে ভুক্তভোগী তিন যুবকের পরিবারে ফিরেছে স্বস্তি। দালালদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

জানা গেছে, লিবিয়া থেকে ৩ মার্চ ১১৪ জনকে দেশে পাঠানো হয়। এর মধ্যে তিন যুবকের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। দেশে ফিরে তাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ১১ মার্চ তাঁরা বাড়িতে আসেন। ভুক্তভোগী তিন যুবক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

তিন যুবকের মধ্যে মহিদুল উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পিরের বাসা এলাকার, রাকিবুল খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ও ইমরান মজুমদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অন্যের জমিতে বসবাস করা রাকিবুল ২০২১ সালের মার্চ মাসে ধার-দেনা করে বিদেশে পাড়ি জমান। গন্তব্য ছিল ইউরোপের দেশ ইতালি। এ জন্য ৪ লাখ টাকা নেন উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মেরাজ বেপারী ও তাঁর বড় ভাই মাসুদ বেপারী। কিন্তু রাকিবুলকে নেওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে তাঁকে মারধর ও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে রাজৈর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের মাধ্যমে আরও ৩ লাখ টাকা নেন তাঁরা। এর কিছুদিন পরেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ইউনিয়নের মো. ছাপতি সাহার ছেলে মো. তোতা সাহা নামে আরেক দালালের মাধ্যমে ফোন করে আরও ৬ লাখ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকাও মিজানুর রহমানের কাছে দিতে বলা হয়। পরে টাকা নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধ পথে ইতালি পাঠানোর সময় লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে আটক হন রাকিবুল। এ সময় আটক হওয়া সবাইকে গাদাগাদি করে জেলে বন্দী রাখা হয়। একইভাবে ভোগান্তির শিকার হন মহিদুল। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসের চেষ্টায় জেল থেকে রাকিবুল ও মহিদুলসহ ১১৪ জনকে উদ্ধার করে দেশে পাঠানো হয়।

রাকিবুল শেখ বলেন, ‘দালালেরা আমাকে নির্যাতন করে অনেক টাকা নিয়েছেন। ধরা পড়ার পর দালালেরা কোনো খোঁজ নেননি। একটা কসাইখানার মধ্যে আমাদের রেখেছিল পুলিশ। সেখানে সাড়ে চার মাস ছিলাম। সারা দিনে একটা খবজা (প্যাঁচানো রুটির মতো) খেতে দিত। পানি চাইলে মারধর করত। আমি দালালদের বিচার চাই।’

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত