রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষক মহসীন আলী এবার এক বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। ভেবেছিলেন, আগাম এ সবজিতে ভালোই লাভ করতে পারবেন। কিন্তু পাইকারদের কাছে তিনি এখন প্রতি কেজি শিম বিক্রি করছেন ৪৫ টাকায়। অথচ গতকাল রোববার খুচরা বাজারে তা বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৪০ টাকায়। তিন গুণের বেশি দামের বিক্রি হচ্ছে; অথচ পুরো লাভটাই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসিকান্দ গ্রামের কৃষক মহসীন আক্ষেপ করে বলেন, ‘কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। এই অবস্থায় বাজার তদারকি থাকা প্রয়োজন।’
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আগাম আবাদ হয়েছে প্রায় ৯০ হেক্টর জমি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি সরবরাহ করছেন কৃষকেরা। এর ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে সবজির দাম। তবে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। পাইকারি বাজারের চেয়ে তিন গুণ বেশি দামে সবজি কিনছেন ক্রেতারা। লাউ, টমেটো, গাজর, কাঁচা মরিচ, বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ প্রায় সব কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রেই কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দামের এমন তফাত রয়েছে।
বাজারে আসা কৃষকেরা জানান, তাঁরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও দাম কম পাওয়ায় লোকসান গুনছেন তাঁরা।
উপজেলার খাতামধুপুরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার হাসান আলী এবার ৪০ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ চাষ করেছেন। তিনি জানান, এসব শাকসবজি চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে তিনি সবজি বিক্রি শুরু করছেন। প্রতিটি লাউ বিক্রি করছেন ১০ থেকে ১৫ টাকায়। এই লাউ গতকাল শহরের বাইপাস সড়কসংলগ্ন মিস্ত্রিপাড়ার বাজারে পাইকারেরা বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর খুচরা বাজারগুলোতে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কৃষক কম দামে বিক্রি করলেও আড়তদারদের কাছ থেকে তাঁদের বেশি দামে কিনতে হয়। তা ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বেশি।
কৃষকদের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা বলেন, ‘কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘জনবলের সংকটে সব সময় সবদিকে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে শিগগিরই বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করব।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষক মহসীন আলী এবার এক বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। ভেবেছিলেন, আগাম এ সবজিতে ভালোই লাভ করতে পারবেন। কিন্তু পাইকারদের কাছে তিনি এখন প্রতি কেজি শিম বিক্রি করছেন ৪৫ টাকায়। অথচ গতকাল রোববার খুচরা বাজারে তা বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৪০ টাকায়। তিন গুণের বেশি দামের বিক্রি হচ্ছে; অথচ পুরো লাভটাই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসিকান্দ গ্রামের কৃষক মহসীন আক্ষেপ করে বলেন, ‘কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। এই অবস্থায় বাজার তদারকি থাকা প্রয়োজন।’
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আগাম আবাদ হয়েছে প্রায় ৯০ হেক্টর জমি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি সরবরাহ করছেন কৃষকেরা। এর ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে সবজির দাম। তবে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। পাইকারি বাজারের চেয়ে তিন গুণ বেশি দামে সবজি কিনছেন ক্রেতারা। লাউ, টমেটো, গাজর, কাঁচা মরিচ, বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ প্রায় সব কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রেই কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দামের এমন তফাত রয়েছে।
বাজারে আসা কৃষকেরা জানান, তাঁরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও দাম কম পাওয়ায় লোকসান গুনছেন তাঁরা।
উপজেলার খাতামধুপুরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার হাসান আলী এবার ৪০ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ চাষ করেছেন। তিনি জানান, এসব শাকসবজি চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে তিনি সবজি বিক্রি শুরু করছেন। প্রতিটি লাউ বিক্রি করছেন ১০ থেকে ১৫ টাকায়। এই লাউ গতকাল শহরের বাইপাস সড়কসংলগ্ন মিস্ত্রিপাড়ার বাজারে পাইকারেরা বিক্রি করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আর খুচরা বাজারগুলোতে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কৃষক কম দামে বিক্রি করলেও আড়তদারদের কাছ থেকে তাঁদের বেশি দামে কিনতে হয়। তা ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বেশি।
কৃষকদের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া নিয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা বলেন, ‘কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘জনবলের সংকটে সব সময় সবদিকে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে শিগগিরই বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪