Ajker Patrika

সংস্কারে ধীরগতিতে দুর্ভোগ

শরীফ হাসান, দোহার
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ৪১
সংস্কারে ধীরগতিতে দুর্ভোগ

দোহার পৌরসভা থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে সংস্কার করা হচ্ছে খারাকান্দা সড়ক। সঙ্গে চলছে পয়োনালা নির্মাণের কাজও। তবে ছয় মাসেও শেষ হয়নি এর কাজ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। আর এ দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পৌরসভাকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে পয়োনালা নির্মাণে বিচ্ছিন্নভাবে ও দায়সারাভাবে কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে সড়কের কাটা জায়গায় পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে গিয়েছে। এতে ডেঙ্গু মশার প্রজননস্থলে পরিণত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়কটির মাঝিবাড়ি থেকে আবেদ আলী মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত অনেক দিন ধরে চলছে পয়োনালা নির্মাণের কাজ। সড়ক খুঁড়ে রাখায় আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, এতে ধসে যেতে পারে সড়ক সংলগ্ন বাড়িঘর। তাই তাঁদের অনেকেই নিজেদের বাড়ি রক্ষায় বাঁশ দিয়ে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়ক সংস্কার ও পয়োনালা নির্মাণের কাজ এক দিন চলে, তো দুদিন বন্ধ থাকে। আর এ কারণেই বেড়েছে তাদের ভোগান্তি।

খারাকান্দার বাসিন্দা আফছানা আক্তার বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে সমস্যার মধ্যে রয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে। নালার জন্য খুঁড়ে রাখা রাস্তায় আমার বাসার এক অংশ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। এখন আমার ঘর যদি পুরোটাই পড়ে যায়, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? আমার বাসা তখন কে ঠিক করে দেবে? সে জন্য আমি চাই, আমাদের এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হোক।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই এলাকার অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। এরা এই জায়গা দিয়ে আসা-যাওয়া করে। এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে কেটে রেখেছে, এই কাটা জায়গায় আমাদের বাচ্চারা পড়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

ওই বাসিন্দা বলেন, ‘এখন স্কুল খুলে দিয়েছে। সড়কটি দিয়ে অনেক ছেলেমেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। তাই আমাদের দাবি, এটি দ্রুত ঠিক করা হোক।’

সড়কটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উষা এন্টারপ্রাইজের মো. জুলহাস বলেন, ‘এখন বর্ষার সিজন চলছে। আর নালার কাজ করতে গেলে ১২ ফুট মাটি কাটতে হয়। এই ১২ ফুট মাটি কাটলে পানি ওঠে, সে জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি কমলেই আমরা কাজ শুরু করব।’

নালা নির্মাণের জন্য মাটি কাটার ফলে বাড়িঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে–এমন প্রশ্নের উত্তরে জুলহাস বলেন, ‘আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই কোনো সমস্যা হবে না।’

দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কন্ট্রাকটা এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজটা শেষ করবে। আর এখন বর্ষার সময়, মাটি কাটলে পানি ওঠে। সে জন্য কাজটা এখন বন্ধ আছে। পানি কমলে কাজ শুরু করবে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত