রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে কিছুদিন ধরে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে আসছে। যাত্রীবাহী পরিবহনকে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পেতে। আর পণ্যবাহী ট্রাককে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দুই থেকে তিন দিন। গতকাল রোববার সকালেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বৈরী আবহাওয়া, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, ফেরি কম ও ঘাট স্বল্পতার জন্য এই সারি।
গতকাল সকালে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে বাস ও ট্রাক। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে আরও ২ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। এদিকে আটকে থাকা গাড়িচালক, সহকারী ও বাসের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। দীর্ঘ যানজটের কারণে অনেক সময় পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও তাঁদের সহকারীরা গাড়ির ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়ছেন। চালকেরা জানান, ঢাকামুখী গাড়িগুলো ফেরিঘাটের দিকে এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। মহাসড়কের পাশে খাওয়াদাওয়া ও টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের ভোগান্তির শেষ নেই। গাড়ি রেখে বাইরে কোথাও যেতেও পারছেন না।
খড়বোঝাই ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাবেন চালক মো. আলী আকবার। তিনি গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। সেখান থেকে ঘাট এলাকায় রোববার ভোরে এসে বেলা ১টায় তিনি ঘাট থেকে এখনো দুই কিলোমিটার দূরে আছেন।
মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ নামে এক বাসযাত্রী জানান, তিনি শনিবার দিবাগত রাত ১টায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসেছেন। রোববার সকাল ৯টায়ও ফেরিতে উঠতে পারেননি। ফেরিতে উঠতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। সারা রাত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
আরেক যাত্রী ইকরামুল জানান, তাঁর ভাইয়ের অপারেশন। তিনি ভাইকে দেখতে ঢাকায় যাচ্ছেন। কিন্তু রাত ১টা থেকে আটকে আছেন। সঙ্গে থাকা শিশুটি বমি করে ক্লান্ত হয়ে গেছে।
বিনা রানী নামে একজন বলেন, ‘সারা রাত বাসে বসে আছি। পুরুষেরা মাঝেমধ্যেই বাস থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি করছে। কিন্তু আমাদের সে ব্যবস্থাও নেই। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় নেই শৌচাগার।’
ট্রাকচালক হোসেন আলী বলেন, ‘দুই দিন ঘুমাই না। গাড়িতেই বসে থাকি স্টিয়ারিং ধরে। একটু আগাই আবার বন্ধ করি। এভাবেই সারা রাতে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিছি। কখন যেন গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আনলোড পয়েন্ট পিচ্ছিল হয়ে গাড়ি ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় পণ্যবাহী ট্রাক উঠতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করায় গাড়ির বাড়তি চাপ পড়ছে। এরপরও মানুষের ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে কিছুদিন ধরে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে আসছে। যাত্রীবাহী পরিবহনকে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পেতে। আর পণ্যবাহী ট্রাককে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দুই থেকে তিন দিন। গতকাল রোববার সকালেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বৈরী আবহাওয়া, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, ফেরি কম ও ঘাট স্বল্পতার জন্য এই সারি।
গতকাল সকালে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে বাস ও ট্রাক। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে আরও ২ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। এদিকে আটকে থাকা গাড়িচালক, সহকারী ও বাসের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। দীর্ঘ যানজটের কারণে অনেক সময় পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও তাঁদের সহকারীরা গাড়ির ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়ছেন। চালকেরা জানান, ঢাকামুখী গাড়িগুলো ফেরিঘাটের দিকে এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। মহাসড়কের পাশে খাওয়াদাওয়া ও টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের ভোগান্তির শেষ নেই। গাড়ি রেখে বাইরে কোথাও যেতেও পারছেন না।
খড়বোঝাই ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাবেন চালক মো. আলী আকবার। তিনি গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। সেখান থেকে ঘাট এলাকায় রোববার ভোরে এসে বেলা ১টায় তিনি ঘাট থেকে এখনো দুই কিলোমিটার দূরে আছেন।
মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ নামে এক বাসযাত্রী জানান, তিনি শনিবার দিবাগত রাত ১টায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসেছেন। রোববার সকাল ৯টায়ও ফেরিতে উঠতে পারেননি। ফেরিতে উঠতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। সারা রাত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
আরেক যাত্রী ইকরামুল জানান, তাঁর ভাইয়ের অপারেশন। তিনি ভাইকে দেখতে ঢাকায় যাচ্ছেন। কিন্তু রাত ১টা থেকে আটকে আছেন। সঙ্গে থাকা শিশুটি বমি করে ক্লান্ত হয়ে গেছে।
বিনা রানী নামে একজন বলেন, ‘সারা রাত বাসে বসে আছি। পুরুষেরা মাঝেমধ্যেই বাস থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি করছে। কিন্তু আমাদের সে ব্যবস্থাও নেই। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকায় নেই শৌচাগার।’
ট্রাকচালক হোসেন আলী বলেন, ‘দুই দিন ঘুমাই না। গাড়িতেই বসে থাকি স্টিয়ারিং ধরে। একটু আগাই আবার বন্ধ করি। এভাবেই সারা রাতে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিছি। কখন যেন গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আনলোড পয়েন্ট পিচ্ছিল হয়ে গাড়ি ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় পণ্যবাহী ট্রাক উঠতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করায় গাড়ির বাড়তি চাপ পড়ছে। এরপরও মানুষের ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪