Ajker Patrika

ভেঙে ফেলা সেতুর কাজ শুরু হয়নি এক মাসেও

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

দুর্ঘটনা এড়াতে ভাঙা হয় বাঁশের ঠেকনা দেওয়া সেতু। এটির অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে, যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের হতাহতের আশঙ্কা ছিল। ঝুঁকি নিয়েই মানুষ ও যান চলাচল করত।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি এ বছররে ৬ মার্চ ভেঙে ফেলে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। সে সঙ্গে জানানো হয়, কয়েক দিনের মধ্যে পুনর্নির্মাণকাজ শুরু হবে। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরু হয়নি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ আতঙ্কের মধ্যেই যাতায়াত করে আসছিলেন। ভয়ে থাকতে হতো কখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এই সেতুতে দুর্ঘটনায় মানুষ মারাও গেছে। তাই বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। অবশেষে সেতুটি ভাঙা হলেও নির্মাণের আর কোনো উদ্যোগে চোখে পড়েনি।

স্থানীয় মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘চার-পাঁচ বছর ধরে সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বাঁশের ঠেকনা দিয়েই খাঁড়া করা ছিল।কর্তৃপক্ষ সেতুটি ভেঙে দিয়েছে; কিন্তু কেন যে কাজ শুরু করছে না, তা জানি না।’

কৃষক মো. জাকির হোসেন বলেন,  ‘যানবাহন দিয়ে ফসল তোলার সময় খুব আতঙ্কে থাকতে হতো, কখন ভেঙে পড়ে সেতুটি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সুনজর পড়েছে সেতুটিতে।’

অটোচালক সুমন হোসেন বলেন, ‘দেবীপুর থেকে তিরাইল হয়ে গাংনীতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ লোকজন গাড়ি থামিয়ে বলে, সেতুটি ভেঙে ফেলেছে। তাই অন্য পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। যদি অতি দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা না হয়, তাহলে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে।’

বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, তেরাইল হয়ে গাংনী যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কের ভাঙা সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল এবং আতঙ্কের মধ্য দিয়ে জনগণ পার হয়।

তা ছাড়া তেরাইল মাঠের কৃষকদের জমির ফসল ঘরে তুলতে হয় এই ভাঙা সেতু দিয়েই। ঠিকাদার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘মিস্ত্রি পাওয়া যাচ্ছে না তাই কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে গেল। ইনশা আল্লাহ কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করব।’

উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘সেতুটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। মানুষের চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। তাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত