Ajker Patrika

ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ না মেনে পোড়াদহের মেলা

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ১৯
ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ না মেনে পোড়াদহের মেলা

করোনা সংক্রমণের এই সময়ে বগুড়ায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অমান্য করে গতকাল বুধবার আয়োজিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা। এতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বড় বড় মাছ, আসবাবপত্র, বাহারি পিঠা-মিষ্টান্ন নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। সাজানো হয় মেলার প্যান্ডেল, বসে চরকি-নাগরদোলা।

বুধবার সকাল থেকেই বেচাকেনা ও মানুষের হই হুল্লোড়ে মুখরিত হয়ে উঠে ইছামতী নদীর তীর। বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ হাজির হন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন। হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন এক ঘণ্টার মধ্যে দোকান গুটিয়ে মেলা বন্ধের। ঘোষণা শুনে একই সঙ্গে ভীত এবং হতভম্ব হয়ে পড়েন মেলার আগন্তুকেরা। দূর দুরান্ত থেকে মালামাল নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পড়েন। ঘোষণার সময় মেলার স্থান ত্যাগ করলেও পরপরই আবারও মেলার কার্যক্রম চালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।

বগুড়ায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। আর এরই মধ্যে গাবতলী উপজেলার ইছামতী নদীর তীরে প্রায় ২৫ বিঘা স্থানজুড়ে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা। প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার এই মেলা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার হয় বউমেলা।

গত তিন দিন ধরে চলছিল মেলার আয়োজন। এর মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা নিষেধ কিছুই করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মেলার প্রথম দিনেই হঠাৎ বন্ধের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার দোকানপাট বন্ধ হয়নি। সবখানেই বেচাকেনা চলছে। তবে কিছুটা ভাটা পড়েছে উৎসাহে।

সারিয়াকান্দি থেকে মেলায় আসা মাছ ব্যবসায়ী হাসমত বলেন, ‘আমি লাখ টাকার মাছ নিয়ে এসেছি। এগুলো কী করব এখন?

ফার্নিচার ব্যবসায়ী রেজাউল বলেন, ‘মেলা বন্ধের নির্দেশ এক সপ্তাহ আগে দেওয়া হলো না কেন? তাহলে তো আমরা কষ্ট করে মেলায় মালামাল আনতাম না।’

জানতে চাইলে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রওনক জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে এবার মেলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও সাধারণ জনগণ এই মেলায় আয়োজন করেছেন।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণরোধে মেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা আবার যাব মেলার স্থানে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী জনসমাগম রোধ করতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে কথা বলতে মেলার আয়োজক মহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত