মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর থেকে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০ গ্রামসহ আশপাশের লাখো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
শুষ্ক মৌসুমে ধুলোময় হয়ে এই সড়কটি চলাচলে যেমন দুর্ভোগ। তেমনই বর্ষাকালেও বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষের বছরের সব সময়ই দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ে না।
মহম্মদপুর উপজেলার সঙ্গে নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। যা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। আবার ছোট-বড় যানবাহনে চলাচলের সময় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
এ ছাড়াও সমস্যায় পড়ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী। সীমান্তবর্তী এলাকায় কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে তাঁদের উপজেলা সদরে বা জেলা হাসপাতালে নিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পরিবহন পাওয়া যায় না। পেলেও অতিরিক্ত অর্থ ও সময় দুটিই ব্যয় হয়। ভাঙাচোরা সড়কের ফলে সময় বেশি লাগায় রোগীর জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হরেকৃষ্ণপুর থেকে উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের পুরাটায় কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা সড়কটি যেন কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে। এতে এই সড়কে একটি গাড়ি আরেকটিকে অতিক্রম করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কৃষক মো. ওলিয়ার রহমানসহ কয়েকজনে বলেন, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে নিতে হয়। কিন্তু এই ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যান বা নছিমন চালকেরা যেতে চান না। আবার গেলেও এর জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। আর তাই দ্রুত এই সড়কটির সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।
আব্দুর রউফসহ ৪ জন ভ্যানচালক বলেন, ভাঙা রাস্তার জন্য ভ্যানে বেশি মাল নেওয়া যায় না। এ ছাড়া ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু কি করব পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে এই ভাঙাচোরা রাস্তায় ভ্যান চালাতে হচ্ছে।
চরঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম রেজাইল করিম চুন্নু বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, রোগীসহ সাধারণ পথচারীদের। এ ছাড়া এই এলাকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
পলাশবাড়ীয়া ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সিকান্দার আলী বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ধুলোময় হয়ে খানাখন্দে ভরা এবং বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির এই বেহাল অবস্থা। এতে এলাকার কৃষক, ভ্যান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের বছরের সকল সময়ই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উপজেলা মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। সর্বসাধারণের কথা ভেবে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসাইন জানান, এই সড়কটি উপজেলা এলজিইডির না। তাই উপজেলা এলজিইডি কিছু করতে পারবে না। এটা জেলা হাইওয়ের।
হাইওয়ে রোড পরিদর্শক মো. জাকির মিয়া বলেন, ‘উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটারের এই সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ১৩ কোটি টাকার দরপত্র হয়েছে। আশা করছি, অল্পদিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর থেকে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৭০ গ্রামসহ আশপাশের লাখো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
শুষ্ক মৌসুমে ধুলোময় হয়ে এই সড়কটি চলাচলে যেমন দুর্ভোগ। তেমনই বর্ষাকালেও বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষের বছরের সব সময়ই দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ে না।
মহম্মদপুর উপজেলার সঙ্গে নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। যা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। আবার ছোট-বড় যানবাহনে চলাচলের সময় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
এ ছাড়াও সমস্যায় পড়ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী। সীমান্তবর্তী এলাকায় কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে তাঁদের উপজেলা সদরে বা জেলা হাসপাতালে নিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পরিবহন পাওয়া যায় না। পেলেও অতিরিক্ত অর্থ ও সময় দুটিই ব্যয় হয়। ভাঙাচোরা সড়কের ফলে সময় বেশি লাগায় রোগীর জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হরেকৃষ্ণপুর থেকে উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের পুরাটায় কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা সড়কটি যেন কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে। এতে এই সড়কে একটি গাড়ি আরেকটিকে অতিক্রম করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কৃষক মো. ওলিয়ার রহমানসহ কয়েকজনে বলেন, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে নিতে হয়। কিন্তু এই ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যান বা নছিমন চালকেরা যেতে চান না। আবার গেলেও এর জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। আর তাই দ্রুত এই সড়কটির সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।
আব্দুর রউফসহ ৪ জন ভ্যানচালক বলেন, ভাঙা রাস্তার জন্য ভ্যানে বেশি মাল নেওয়া যায় না। এ ছাড়া ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু কি করব পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে এই ভাঙাচোরা রাস্তায় ভ্যান চালাতে হচ্ছে।
চরঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম রেজাইল করিম চুন্নু বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, রোগীসহ সাধারণ পথচারীদের। এ ছাড়া এই এলাকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
পলাশবাড়ীয়া ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সিকান্দার আলী বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে ধুলোময় হয়ে খানাখন্দে ভরা এবং বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির এই বেহাল অবস্থা। এতে এলাকার কৃষক, ভ্যান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের বছরের সকল সময়ই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উপজেলা মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। সর্বসাধারণের কথা ভেবে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসাইন জানান, এই সড়কটি উপজেলা এলজিইডির না। তাই উপজেলা এলজিইডি কিছু করতে পারবে না। এটা জেলা হাইওয়ের।
হাইওয়ে রোড পরিদর্শক মো. জাকির মিয়া বলেন, ‘উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটারের এই সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ১৩ কোটি টাকার দরপত্র হয়েছে। আশা করছি, অল্পদিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪