রুবায়েত হোসেন, খুবি
পাখির জন্য একটি অনুকূল আবাসস্থল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাস। ১০৬ একরের এ ক্যাম্পাসের অনেক স্থানে দিনই শুরু হয় পাখির কিচিরমিচির দিয়ে। ভোরে এখানে হাঁটতে বের হলে প্রাণের স্পন্দন আঁচ করা যায়। ক্যা ম্পাসজুড়ে যেন প্রাণের মেলা বসে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আনাগোনা সারা বছরই থাকে এ ক্যাম্পাসে।
কালো ফিঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের আশপাশের গাছগুলোতে বেশি দেখা যায় এ পাখিদের। ‘রাজকীয় কাক’-নামেও পরিচিত এটি। নিজের আকারের চেয়ে বড় যে শিকারি পাখি, যেমন চিল কিংবা বাজ তাদেরও তাড়িয়ে বেড়ায় কালো ফিঙে। তাই কোনো পাখিই সহজে ফিঙেদের ধারেকাছে ঘেঁষতে চায় না। সব সময়ই এড়িয়ে চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য অদম্য বাংলার আশপাশে বেশি আনাগোনা কুবো বা কানাকুয়ো পাখিদের। শহরাঞ্চলে বিরল হলেও বন প্রান্তে ও গ্রামাঞ্চলে এদের ঢের দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তপন-সাইদুল-হুমায়ুনদের ঝুপড়ি দোকানগুলোর আঙিনায় পায়চারি করতে দেখা যায় কাঠ শালিক পাখিদের। এক সময় বাংলাদেশে এই পাখিটি অনেক দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে এরা বিলুপ্তির পথে। কীটপতঙ্গ ও ফল এদের প্রধান খাদ্য। ফলের গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করায় তাদের পাকস্থলীতে সমস্যা হয়। এতে করে স্বাভাবিকভাবে যে আয়ুষ্কাল তার আগেই পাখিগুলো মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া পাখিগুলোর নিজেদের কোনো বাসা নেই। পুরোনো বড় গাছ এবং জঙ্গল কেটে ফেলায় তারা আশ্রয় হারাচ্ছে। এসব কারণে পাখিগুলো দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে।
সারা দেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও চড়ুই পাখিটি সচরাচর চোখে পড়ে। বিশ্বের কোথাও চড়ুইদের অবস্থা বিপন্ন নয়। পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। তারপরও প্রকৃতিতে এদের টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছর ২০ মার্চ পৃথিবীব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস।
বাংলার শহর-নগর-গ্রামে-গঞ্জে প্রচুর পরিমাণে বুলবুল দেখা যায়। বাংলা সাহিত্যের গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও লোক গাঁথায় বারবার এসেছে এ পাখির নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চসহ বিভিন্ন জায়গায় উড়তে দেখা যায় এ পাখিদের।
প্রতিদিন একটি কাঠঠোকরা ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার বার কাঠে ঠোকর দেয়। এভাবে কাঠ ঠোকরানোর ফলে এরা খুঁজে পায় গাছের বাকলের খাঁজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পোকামাকড়দের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের আশপাশে বেশি দেখা যায় এদের।
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল ক্যাম্পাসে সহজেই দেখা মেলে। শালিক পাখির নাম বাংলা সাহিত্যে বারবার এসেছে। এরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। গায়ক পাখি হিসেবে শালিকের সুনাম রয়েছে। তবে শুধু গায়ই না, ঝগড়াঝাঁটিও করে। অন্য পাখি, পশু ও মানুষের কথা অনুকরণেও শালিক দক্ষ।
বাঁশের খুঁটিতে ওত পেতে থাকে মাছ শিকারি পাখি মাছরাঙা। সুযোগ মতো স্বচ্ছ জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারে। অনেকটা পানির ভেতর থেকে সুচালো ঠোঁটে ধরে আনে মাছ। তবে গাছের ডালে বসে শিকারকে গিলে ফেলার সেই দৃশ্য এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। নানা কারণে দৃষ্টিনন্দন শিকারি এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাড়ে এদের দেখতে পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসা বাঁধে এবং তারা এখান থেকে খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। তাই ক্যাম্পাসে এসব পাখির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
পাখির জন্য একটি অনুকূল আবাসস্থল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাস। ১০৬ একরের এ ক্যাম্পাসের অনেক স্থানে দিনই শুরু হয় পাখির কিচিরমিচির দিয়ে। ভোরে এখানে হাঁটতে বের হলে প্রাণের স্পন্দন আঁচ করা যায়। ক্যা ম্পাসজুড়ে যেন প্রাণের মেলা বসে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আনাগোনা সারা বছরই থাকে এ ক্যাম্পাসে।
কালো ফিঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের আশপাশের গাছগুলোতে বেশি দেখা যায় এ পাখিদের। ‘রাজকীয় কাক’-নামেও পরিচিত এটি। নিজের আকারের চেয়ে বড় যে শিকারি পাখি, যেমন চিল কিংবা বাজ তাদেরও তাড়িয়ে বেড়ায় কালো ফিঙে। তাই কোনো পাখিই সহজে ফিঙেদের ধারেকাছে ঘেঁষতে চায় না। সব সময়ই এড়িয়ে চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য অদম্য বাংলার আশপাশে বেশি আনাগোনা কুবো বা কানাকুয়ো পাখিদের। শহরাঞ্চলে বিরল হলেও বন প্রান্তে ও গ্রামাঞ্চলে এদের ঢের দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তপন-সাইদুল-হুমায়ুনদের ঝুপড়ি দোকানগুলোর আঙিনায় পায়চারি করতে দেখা যায় কাঠ শালিক পাখিদের। এক সময় বাংলাদেশে এই পাখিটি অনেক দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে এরা বিলুপ্তির পথে। কীটপতঙ্গ ও ফল এদের প্রধান খাদ্য। ফলের গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করায় তাদের পাকস্থলীতে সমস্যা হয়। এতে করে স্বাভাবিকভাবে যে আয়ুষ্কাল তার আগেই পাখিগুলো মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া পাখিগুলোর নিজেদের কোনো বাসা নেই। পুরোনো বড় গাছ এবং জঙ্গল কেটে ফেলায় তারা আশ্রয় হারাচ্ছে। এসব কারণে পাখিগুলো দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে।
সারা দেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও চড়ুই পাখিটি সচরাচর চোখে পড়ে। বিশ্বের কোথাও চড়ুইদের অবস্থা বিপন্ন নয়। পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। তারপরও প্রকৃতিতে এদের টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছর ২০ মার্চ পৃথিবীব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবস।
বাংলার শহর-নগর-গ্রামে-গঞ্জে প্রচুর পরিমাণে বুলবুল দেখা যায়। বাংলা সাহিত্যের গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও লোক গাঁথায় বারবার এসেছে এ পাখির নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চসহ বিভিন্ন জায়গায় উড়তে দেখা যায় এ পাখিদের।
প্রতিদিন একটি কাঠঠোকরা ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার বার কাঠে ঠোকর দেয়। এভাবে কাঠ ঠোকরানোর ফলে এরা খুঁজে পায় গাছের বাকলের খাঁজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পোকামাকড়দের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের আশপাশে বেশি দেখা যায় এদের।
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল ক্যাম্পাসে সহজেই দেখা মেলে। শালিক পাখির নাম বাংলা সাহিত্যে বারবার এসেছে। এরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। গায়ক পাখি হিসেবে শালিকের সুনাম রয়েছে। তবে শুধু গায়ই না, ঝগড়াঝাঁটিও করে। অন্য পাখি, পশু ও মানুষের কথা অনুকরণেও শালিক দক্ষ।
বাঁশের খুঁটিতে ওত পেতে থাকে মাছ শিকারি পাখি মাছরাঙা। সুযোগ মতো স্বচ্ছ জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারে। অনেকটা পানির ভেতর থেকে সুচালো ঠোঁটে ধরে আনে মাছ। তবে গাছের ডালে বসে শিকারকে গিলে ফেলার সেই দৃশ্য এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। নানা কারণে দৃষ্টিনন্দন শিকারি এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাড়ে এদের দেখতে পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসা বাঁধে এবং তারা এখান থেকে খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। তাই ক্যাম্পাসে এসব পাখির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২১ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫