ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি, খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে কৃষিজমি জলাবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের জন্য পাকা ও কাঁচা রাস্তায় নির্মিত বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ ভরাট করা হয়েছে। অনেকে ইচ্ছেমতো কৃষিজমি, নালা, ডোবা, খাল ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে গড়ে তুলছেন ঘরবাড়ি। কেউবা খনন করেছেন পুকুর। কেউ বাগান তৈরি করেছেন। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ একর জমি জলাবদ্ধ হয়েছে।
উপজেলার শাহবাজার-গেটের বাজার সড়কের সেতুর মুখ ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। এ ছাড়া বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা গ্রামে সদ্য নির্মিত পাশাপাশি দুটি কালভার্টের মুখ ভরাট করে বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। কালভার্ট দুটির মুখ ভরাট করায় চলতি বোরো মৌসুমে অনেক ধানখেত পানিতে তলিয়ে যায়।
বড়ভিটা গ্রামের কৃষক বাদল সরকার, সিরাজ আলী, আব্দুর রশিদ ও নজরুল ইসলাম বকসি বলেন, ‘অনেক দিন এই কালভার্ট দিয়ে আমাদের জমির পানি নেমে যেত ধরলার নালায়। হঠাৎ কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। কালভার্টের মুখ খুলে না দিলে আমন মৌসুমে চাষাবাদ অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
এ ছাড়া বড়ভিটা এলাকার কালি মন্দির-সংলগ্ন আরেকটি কালভার্টের মুখ ভরাট করতে মাটি ফেলা হচ্ছে। উপজেলার ঘোগারকুটি গ্রামে পাঁচ বছরে ১০টির মতো কালভার্টের মুখ ভরাট করা হয়েছে। ফুলবাড়ী সদরের ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন একটি কালভার্টের মুখ ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। উপজেলার শিমুলবাড়ি ভুরিয়ারকুটি-যকুরটল ভায়া পানিমাছকুটি কাশিয়াবাড়ী হয়ে চাতড়ার দোলার পানি নিষ্কাশনের আধা পাকা নালাটির বিভিন্ন অংশে নির্মিত চারটি সেতুর মুখে পুকুর, ঘরবাড়ি ও মাটি ভরাট করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওইসব এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন মহলের মতে, ভরাট হয়ে যাওয়া সেতু ও কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে কৃষিতে জলাবদ্ধতার বিরূপ প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব বলেন, স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধির দাবি ও চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। আবার তাঁদের অবহেলায় এসব বিলুপ্ত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সেতু ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করায় প্রায় ২০০ একর জমি জলাবদ্ধ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে জনসচেতনতা দরকার। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিরা এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা অভিযোগ পেলে জনগণকে বুঝিয়ে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করি। না পারলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি, খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে কৃষিজমি জলাবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের জন্য পাকা ও কাঁচা রাস্তায় নির্মিত বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ ভরাট করা হয়েছে। অনেকে ইচ্ছেমতো কৃষিজমি, নালা, ডোবা, খাল ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে গড়ে তুলছেন ঘরবাড়ি। কেউবা খনন করেছেন পুকুর। কেউ বাগান তৈরি করেছেন। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ একর জমি জলাবদ্ধ হয়েছে।
উপজেলার শাহবাজার-গেটের বাজার সড়কের সেতুর মুখ ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। এ ছাড়া বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা গ্রামে সদ্য নির্মিত পাশাপাশি দুটি কালভার্টের মুখ ভরাট করে বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। কালভার্ট দুটির মুখ ভরাট করায় চলতি বোরো মৌসুমে অনেক ধানখেত পানিতে তলিয়ে যায়।
বড়ভিটা গ্রামের কৃষক বাদল সরকার, সিরাজ আলী, আব্দুর রশিদ ও নজরুল ইসলাম বকসি বলেন, ‘অনেক দিন এই কালভার্ট দিয়ে আমাদের জমির পানি নেমে যেত ধরলার নালায়। হঠাৎ কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। কালভার্টের মুখ খুলে না দিলে আমন মৌসুমে চাষাবাদ অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
এ ছাড়া বড়ভিটা এলাকার কালি মন্দির-সংলগ্ন আরেকটি কালভার্টের মুখ ভরাট করতে মাটি ফেলা হচ্ছে। উপজেলার ঘোগারকুটি গ্রামে পাঁচ বছরে ১০টির মতো কালভার্টের মুখ ভরাট করা হয়েছে। ফুলবাড়ী সদরের ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন একটি কালভার্টের মুখ ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। উপজেলার শিমুলবাড়ি ভুরিয়ারকুটি-যকুরটল ভায়া পানিমাছকুটি কাশিয়াবাড়ী হয়ে চাতড়ার দোলার পানি নিষ্কাশনের আধা পাকা নালাটির বিভিন্ন অংশে নির্মিত চারটি সেতুর মুখে পুকুর, ঘরবাড়ি ও মাটি ভরাট করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওইসব এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন মহলের মতে, ভরাট হয়ে যাওয়া সেতু ও কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে কৃষিতে জলাবদ্ধতার বিরূপ প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব বলেন, স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধির দাবি ও চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। আবার তাঁদের অবহেলায় এসব বিলুপ্ত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সেতু ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করায় প্রায় ২০০ একর জমি জলাবদ্ধ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে জনসচেতনতা দরকার। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিরা এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা অভিযোগ পেলে জনগণকে বুঝিয়ে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করি। না পারলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪