Ajker Patrika

বন্যায় স্থগিত ৩২৫ স্কুলের পাঠদান

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ১৬: ৩১
Thumbnail image

উজানের ঢলে নদ-নদীতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে প্লাবিত এলাকার পরিধি। বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গত মানুষের সংখ্যা। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ২৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে।

প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, চলমান বন্যায় জেলার ৯ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিটি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিতরণের ধীর গতিতে এখনো অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সামান্য কমে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকলেও চিলমারী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পাউবো।

এদিকে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় জেলার ২৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতটি মাদ্রাসা ও একটি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে।

সবচেয়ে বেশি ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী উপজেলায়। এরপরেই ৬৮টি বিদ্যালয় রয়েছে রৌমারীতে। এ ছাড়া উলিপুরে ৫৮, চিলমারীতে ৩৮, সদরে ১৮, রাজীবপুরে ১৭, ভূরুঙ্গামারীতে ৭, ফুলবাড়ীতে ৬ ও রাজারহাটে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

চলমান বন্যায় মানুষের সঙ্গে গবাদিপশুও চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, প্লাবিত এলাকায় প্রায় ৪২ হাজার গরু, মহিষ ও ভেড়া বন্যাকবলিত হয়েছে। আর মৎস্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় ১৩৩ দশমিক ৭৯ হেক্টর পুকুর ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬৬ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন মাছ এবং ৬ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন পোনা ভেসে গেছে। এ খাতে এখন পর্যন্ত কোটি টাকার ওপর ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাদের ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে তাঁদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা বিদ্যালয় ভবনে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় লিফলেট বিতরণ করল আ.লীগ

‘মধ্যমপন্থী’ দল গড়ছেন অভ্যুত্থানের নেতারা, আলোচনায় ইলিশ প্রতীক

লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, বিচার চাইল বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত