Ajker Patrika

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জসিম মাহমুদ, চাটখিল (নোয়াখালী)
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ১৪
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে বিভিন্ন স্তরের ৫০ পদই শূন্য। লোকবলের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম। এতে করে স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। বিশেষ করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষদের। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন।

জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার প্রধান কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫০টি পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ চিকিৎসকের ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও ১০টি পদই শূন্য রয়েছে। অন্য দিকে স্বাস্থ্য সহকারী ৪৫টির মধ্যে ১২টি, সিনিয়র স্টাফ নার্স ২০টির মধ্যে ৬টি, সিনিয়র স্টাফ নার্স (মিডওয়াইফারি) ৪টির মধ্যে ২টি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৩টির মধ্যে ২টি, মেডিকেল অফিসারের (ইনডোর) ১টি, সহকারী সার্জন ১০টির মধ্যে ১টি, প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক ১টি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৩টির মধ্যে ১টি পদসহ অন্যান্য পদের মোট ৫০টি দীর্ঘ দিন থেকেই শূন্য রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কার্ডিওলজি, চর্ম ও যৌন, নাক কান ও গলা (ইএনটি), চক্ষু, গাইনি, অর্থোপেডিকস, শিশু, সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও মেডিকেল অফিসার এবং ইউনানিসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তবে বর্তমানে সবগুলো পদই শূন্য। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট ৩টি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ১টি, প্রধান সহকারী ১টি, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১টি, পরিসংখ্যানবিদ ১টি, স্টোর কিপার ১টি, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট ১টি, কুক/মশালচি ১টি, ওয়ার্ড বয় ১টিসহ মোট ৫০টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রোগীর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, জনবল ঘাটতির কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পেয়ে এলাকার লোকজনকে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় হয়রানি শিকার হচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি বিপুল অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। করোনাকালীন এ সময়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় থানা-পুলিশ এনে রোগীদের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, জনবল সংকটের কারণে তারা অতিরিক্ত কাজ করে হাঁপিয়ে উঠছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ ইফতেখার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই তারা এটির সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত